০৯ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০১:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন


২ বাংলাদেশীর মর্মান্তিক মৃত্যু
একজনের মৃতদেহ ঘরে আরেকজনের মৃতদেহ মর্গে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১০-২০২৫
একজনের মৃতদেহ ঘরে আরেকজনের মৃতদেহ মর্গে আলমগীর, আহমেদ রেফাত


গত সপ্তাহে দুই প্রবাসী বাংলাদেশীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের মৃত দেহ তার লংআইল্যান্ডের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। আরেক বাংলাদেশীর মৃত দেহ মর্গে রয়েছে। জানা গেছে, এই দুই বাংলাদেশীর প্রবাসে স্ত্রী-সন্তান এবং আত্মীয় স্বজন রয়েছে। যদিও দুই জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। ঢাকার পল্লীর (স্থায়ী ঠিকানা মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে) সন্তান রেফাত আহমেদ কয়েক বছর আগে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় এসেছিলেন। স্ত্রীই তাকে আমেরিকায় নিয়ে আসেন। বনিবনা না হওয়ায় প্রায় ৬/৭ আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর রেফাত আহমেদ লং আইল্যান্ডের ফোরাম হেমলেটে এক বাসায় একা থাকতেন। কাজ করতেন লংআইল্যান্ডের হোম ডিপোতে। গত ৩ অক্টোবর ঘটনার জানাজানি হয়। রেফাত আহমেদের এক বন্ধু আব্দুল্লাহ রেফাতকে ফোন করছিলেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরছিলেন না। সন্দেহ হলে পুলিশ কল করা হয়। পুলিশ এসে রেফাত আহমেদকে তার বাসা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। বৃহত্তর নোয়াখালি সোসাইটির নব নির্বাচিত সভাপতি জাহিদ মিন্টু গত ৩ অক্টোবর জ্যামাইকায় গিয়েছিলেন নোয়াখালির অন্য একজনের নামাজের জানাজা পড়তে। সেখানেই তাকে রেফাতের কথা জানানো হয়। দেশের বাড়ি জানার পর তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীকে কল করেন। এক প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন সিদ্দিকী বলন, রেফাত আহমেদ ঘরে একা থাকতেন। কবে মারা গিয়েছেন তা কেউ জানে না। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ দিকে রেফাত আহমেদের মা, ভাই এবং বোনের সাথে যোগাযোগ করা হয় তার সাবেক স্ত্রীর কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে। তার পরিবারের দাবি অনুযায়ী গত ৭ অক্টোবর রেফাত আহমেদের লাশ বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তার নামাজে জানাজা গত ৬ অক্টোবর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।

আলমগীরের মৃত্যু

তার পুরো নাম কেউ বলতে পারছেন না। জ্যামাইকাতে সবাই এক নামেই চিনতেন- আলমগীর। যদিও তার পরিবার- পরিজন ছিলো। কিন্তু তার কারণেই সে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। কয়েক বছর ধরে সে হোম লেসের মত বসবাস করতো। জ্যামাইকার ১৬৯-১৬৮ স্টিটেই তাকে দেখা যেত। তার শরীরের দুর্গন্ধের করণে কেউ তার কাছে যেতে না। সেই আলমগীর কয়েকদিন আগে ট্রেটের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কয়েকদিন দিন ধরে তার লাশ ব্রঙ্কসের একটি মর্গে রয়েছে। কেউ তার লাশের খোঁজখবর নিচ্ছে না। জ্যামাইকায় কয়েকজন বাংলাদেশী বিষয়টি জানার পর তারা সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শেয়ার করুন