২৫ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ০১:৪৩:০৫ অপরাহ্ন


এনআইডি নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির মতবিনিময়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১০-২০২৫
এনআইডি নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির মতবিনিময় বক্তব্য রাখছেন কনসাল জেনারেল মোজাম্মেল হক


আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের ভোটার হওয়ার বা এনআইডি পাওয়ার। অবশেষে গত ৩ অক্টোবর সেই স্বপ্ন পূরণ শুরু হয়েছে। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কন্স্যুলেট, ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, ফ্লোরিডা ও লস অ্যাঞ্জেলেস বাংলাদেশ কনস্যুলেট থেকে প্রবাসীদের এনআইডি দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই এনআইডি কীভাবে করতে হবে এবং কী কী লাগবে তা নিয়ে গত ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে বাংলাদেশ সোসাইটির উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি এবং মূল বক্তা ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। এ সময় মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিমুর রহমান বোরহান, আতোয়ারুল আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা হাসান জিলানী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষ থেকে আমরা আন্দোলন করে আসছিলাম এবং দাবি জানিয়ে আসছিলাম যাতে করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সেই দাবি পূরণ করেছে।

ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ প্রবাসী বাংলাদেশিদের দাবি পূরণের জন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং কনসাল জেনারেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আজকের অনুষ্ঠানে এসে বিষয়টি সবার সামনে উপস্থপানের জন্য।

কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ হক বলেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী এবং আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ১৮ বছরের অধিক বয়সী (২০০৮ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্মগ্রহণকারী) সন্তানরাও পাবেন এনআইডি (ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ড)। আবেদনের সময় জন্মগত সার্টিফিকেটের (১৭ ডিজিট ক্রমিকের) কপি অথবা নম্বর এবং বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি। মেয়াদের কোনো বিষয় নেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট হলেই হবে। এ পাসপোর্টের নাম, জন্ম তারিখ এবং বার্থ সার্টিফিকেটের নাম ও জন্মতারিখে গরমিল হলে চলবে না। ইতিমধ্যেই যারা বাংলাদেশে আবেদন করেছেন তারা এখান থেকে আর কোন সুযোগ পাবেন না অর্থাৎ তাদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই। কারণ নিউইয়র্ক থেকে শুধু নয়া এনআইডি কার্ড ইস্যু করা হবে। প্রথমে এনআইডির জন্য আবেদন করা হবে। পরবর্তীতে ভোটার হতে হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এনআইডি পাওয়ার পর যারা প্রবাস থেকে ভোটার হবেন তারা এখান থেকে ভোট দিতে পারবেন আর ভোটার না হলে তারা এনআইডির মাধ্যমে বাংলাদেশে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। পাসপোর্ট, জন্মসনদের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশে যার নাম এবং যোগাযোগের নম্বর দেবেন। তাকে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলবেন। তা না হলে পুরো বিষয়টি ঝুলে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনসুলেট থেকেও এটা করা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে একটু ধীরগতিতে চলছে। তবে আগামী দিনের আরো দ্রুত করা হবে।

শেয়ার করুন