২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৫:০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন


অভিবাসীদের বহিষ্কার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই মোশনে আদালতের ভিন্ন সিদ্ধান্ত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২৫
অভিবাসীদের বহিষ্কার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই মোশনে আদালতের ভিন্ন সিদ্ধান্ত ইমিগ্রেশন কোর্ট


যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বিচার প্রক্রিয়া ঘিরে উত্তেজনা ও বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট গত কয়েক মাসে আদালতে উপস্থিত অভিবাসীদের মামলাগুলো দ্রুত খারিজ করার জন্য মৌখিক মোশন দাখিল শুরু করেছে। দেশজুড়ে ইমিগ্রেশন আদালতগুলোতে আইসের উপস্থিতি ও অভিবাসী গ্রেফতার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ত্বরান্বিত বহিষ্কারের লক্ষ্যে চলমান মামলাগুলো দ্রুত খারিজ করার প্রবণতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। নতুন তথ্য বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, একই আইনের আওতায় থাকলেও এক স্টেটের আদালত অন্য স্টেটের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে। ফলে অভিবাসীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে পড়ছে কোন আদালতে তাদের বিচার চলছে তার ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ২০ মে একটি নতুন নির্দেশনা জারি করে, যেখানে তাদের প্রসিকিউটরদের বলা হয় আদালতে উপস্থিত অভিবাসীদের মামলাগুলো মৌখিকভাবে খারিজের আবেদন জানাতে, যাতে তাদেরকে সরাসরি ‘এক্সপেডাইটেড রিমুভাল’ বা ত্বরান্বিত বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায় পাঠানো যায়। এই প্রক্রিয়া দ্রুত হলেও এতে অভিবাসীরা ন্যায্য শুনানি, যুক্তি উপস্থাপন এবং আইনগত সুরক্ষার অধিকারের একটি বড় অংশ হারিয়ে ফেলেন। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী ‘মোশন টু ডিসমিস’ লিখিতভাবে দাখিল করতে হয় এবং প্রতিপক্ষকে কমপক্ষে ১০ দিনের জবাব দেওয়ার সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু নতুন নির্দেশনা কার্যত এই নিয়মকে অগ্রাহ্য করে মৌখিক মোশনের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।

ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০ মে-পরবর্তী সময়ে মৌখিক মোশন দাখিলের হার আগের তুলনায় ৬৩৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। ২০ মে থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত দাখিল হওয়া মোশনগুলোর ৮০ শতাংশের বেশি ছিল মৌখিক এবং এর ৮৬ শতাংশই বিচারকরা একই দিনে নিষ্পত্তি করেছেন। সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, একই দিনে নিষ্পত্তিকৃত মোশনগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশই মঞ্জুর হয়েছে, যা অভিবাসীদের ত্বরান্বিত বহিষ্কারের পথে ঠেলে দিয়েছে। ন্যায়বিচারের নীতির আলোকে এই প্রবণতা অত্যন্ত বিতর্কিত, কারণ অভিবাসীরা নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনার সুযোগ পাচ্ছেন না।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আদালতগুলোর অবস্থান এক নয়। নিউ ইয়র্ক সিটির ফেডারেল প্লাজা ইমিগ্রেশন কোর্ট, যেখানে আইসিই গ্রেফতার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক মিডিয়া নজর রয়েছে-সেখানে তুলনামূলক প্রতিরোধী অবস্থান দেখা গেছে। এখানে ২৬৮টি মৌখিক মোশন দাখিল হলেও বিচারকরা মাত্র ৭৭টি মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ আদালত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আইসিইর ত্বরান্বিত বহিষ্কারের উদ্যোগকে প্রতিহত করেছে। অন্যদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসের ভ্যান নয়স ইমিগ্রেশন কোর্টে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র দেখা যায়। সেখানে দাখিল হওয়া ২১৭টি মৌখিক মোশনের মধ্যে ২১৫টিই একই দিনে মঞ্জুর করা হয়েছে। এক দিনে ৯৯ শতাংশ মোশন মঞ্জুর হওয়ার ফলে এটি আদালতের নিরপেক্ষতা ও বিচারিক স্বাধীনতার ওপর গুরুতর প্রশ্ন তোলে। আরও কঠোর অবস্থান দেখা যায় আটলান্টার ডব্লিউট্রি ইমিগ্রেশন কোর্টে, যেখানে দাখিল হওয়া ১৯৩টি মৌখিক মোশনের সবকটিই বিচারকরা তাৎক্ষণিকভাবে মঞ্জুর করেছেন।

বাকি আদালতগুলোর তথ্য বিশ্লেষণেও বৈষম্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মিনেসোটার ফোর্ট স্নেলিং আদালতে সব মৌখিক মোশনের ১০০ শতাংশ একই দিনে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ৭৯ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে। সান দিয়েগো আদালতে দ্রুত নিষ্পত্তির হার মাত্র ৫৯ শতাংশ এবং অনুমোদন হার ৫০ শতাংশ যা তুলনামূলকভাবে মধ্যম প্রবণতা নির্দেশ করে। অন্যান্য আদালতগুলোর মধ্যে ফিনিক্সে ১৮৮টি মৌখিক মোশনের ৮৫ শতাংশই একই দিনে নিষ্পত্তি ও অনুমোদিত হয়েছে। ডালাসেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে। ১৭৮টি মৌখিক আবেদনের ৯৯ শতাংশ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি এবং একই হারে অনুমোদিত হয়েছে। শিকাগো আদালতে ১৩৩টি মৌখিক মোশনের ৫৬ শতাংশই একই দিনে সিদ্ধান্ত পেয়েছে, কিন্তু অনুমোদন হার মাত্র ৪৩ শতাংশ। এই হার তুলনামূলক সংযত অবস্থান নির্দেশ করে। অরল্যান্ডো আদালত আবার সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে। ১২৯টি মামলার ৯৮ শতাংশ মুহূর্তেই নিষ্পত্তি হয়েছে এবং ৯৭ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে, যা আইসিইর নীতির প্রতি শক্ত সমর্থন প্রতিফলিত করে। ফিলাডেলফিয়ায় ১১৪টি মৌখিক মোশনের ৬৫ শতাংশ একই দিনে নিষ্পত্তি হলেও মাত্র ২৫ শতাংশ অনুমোদিত হয়েছে। এটি গোটা তালিকায় সবচেয়ে কম অনুমোদনের হার।

এই বৈষম্য দেখায় যে অভিবাসীর ভাগ্য এখন উল্লেখযোগ্যভাবে নির্ভর করছে কোন আদালতে তার শুনানি হচ্ছে তার ওপর। নিউইয়র্কে যেখানে একটি মামলা আগ্রাসীভাবে খারিজ করা হয় না, সেখানে লস অ্যাঞ্জেলেস বা আটলান্টায় একই মামলা মুহূর্তেই মঞ্জুর হয়ে ত্বরান্বিত বহিষ্কারে পরিণত হতে পারে। এটি শুধু মানবাধিকার নয়, মার্কিন বিচারব্যবস্থার মৌলিক ন্যায়নীতির জন্যও উদ্বেগজনক। কারণ একই আইনের ভিন্ন প্রয়োগ বিচার ব্যবস্থাকে অসম করে তোলে এবং অভিবাসীদের নিরাপত্তাকে আরো জটিল করে দেয়।

ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা মোট ৬ হাজার ৬১৬টি রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এতে মোশন দাখিলের তারিখ, নিষ্পত্তির তারিখ, সিদ্ধান্তের ধরন এবং আদালতের অবস্থান কোড অন্তর্ভুক্ত ছিল। এখানে ২০৬টি লোকেশন কোডের মধ্যে ১১টি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি; যার সঙ্গে সম্পর্কিত ৭০টি রেকর্ড বিশ্লেষণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বাকি রেকর্ডগুলোর প্রবণতা দেখায় যে, যদিও আইসিইর নতুন নির্দেশনা সারা দেশে কার্যকর, এর বাস্তবায়ন আদালতভেদে বিস্তর ভিন্নতা দেখাচ্ছে। কোথাও আইসিইর অনুরোধ প্রতিহত করা হচ্ছে, আবার কোথাও তা প্রায় অন্ধভাবে অনুমোদন করা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে এই ডেটা দেখায়, একই নীতি থাকা সত্ত্বেও অভিবাসী আদালতগুলোতে মৌখিক মোশনের সিদ্ধান্ত একেক জায়গায় একেবারেই ভিন্ন। কোথাও দ্রুত নিষ্পত্তি ও উচ্চ অনুমোদনের মাধ্যমে অভিবাসীদের ত্বরান্বিত বহিষ্কারের পথ সহজ করা হচ্ছে; আবার কোথাও বিচারকরা আইসিইর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে অভিবাসীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ বজায় রাখছেন। ফলে অভিবাসীর ভাগ্য নির্ভর করছে তার মামলা কোন আদালতে পড়েছে তার ওপর আদালতের বিচারিক সমতা ও ন্যায়বিচারের মৌলিক ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আদালত ব্যবস্থায় এই বৈষম্যমূলক প্রয়োগ অভিবাসীদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকারকে বিপন্ন করছে। কিছু আদালত আইসিইর আক্রমণাত্মক নীতিকে চ্যালেঞ্জ করলেও বৃহত্তর অংশ তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে অভিবাসীদের ত্বরান্বিত বহিষ্কারে সহায়তা করছে, যা বিচারপ্রাপ্তির অধিকার সংকুচিত করছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এ ধরনের প্রক্রিয়া বিচারব্যবস্থার বৈষম্য বাড়ানোর পাশাপাশি অভিবাসীদের জীবন ও নিরাপত্তাকে অনিশ্চিত করে তুলছে। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে ভিন্ন রায় পাওয়া একটি উন্নত বিচারব্যবস্থায় অগ্রহণযোগ্য। তবু আজ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী আদালতগুলোতে সেই বৈষম্যই দিন দিন আরও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।

মিনেসোটার সোমালিদের টিপিএস সুরক্ষা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ শেষ করার হুমকি ট্রাম্পের

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণায় মিনেসোটায় বসবাসকারী সোমালি সম্প্রদায়ের জন্য প্রদত্ত সাময়িক আইনগত সুরক্ষা (টিপিএস) তাৎক্ষণিকভাবে বাতিলের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পদক্ষেপে স্থানীয় সোমালি সম্প্রদায়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং আইনগতভাবে কি তা সম্ভব তা নিয়ে জল্পনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘোষণায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয় নেতা ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা এটিকে আইনি ভিত্তিহীন ও ইসলামোফোবিক আক্রমণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ট্রাম্পের ঘোষণা : মিনেসোটার সোমালিদের সুরক্ষা তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করার হুমকি, উত্তেজনা ও আইনি প্রশ্ন উত্থাপিত।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, মিনেসোটায় বসবাসকারী সোমালি সম্প্রদায়ের জন্য প্রদত্ত সাময়িক আইনগত সুরক্ষা (টিপিএস) তাৎক্ষণিকভাবে শেষ করার পরিকল্পনা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মিনেসোটার গভীরভাবে জড়িত অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পদক্ষেপে ভয় সৃষ্টি হয়েছে, পাশাপাশি আইনি অধিকার ও ক্ষমতা সম্পর্কেও প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্প ২১ নভেম্বর রাতে ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মিনেসোটার সোমালি নাগরিকদের টিপিএস থেকে বঞ্চিত করবেন। টিপিএস হলো নির্দিষ্ট দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে উৎখাত ডিপোর্টেশন রোধ করার একটি আইনি সুরক্ষা। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মিনেসোটার রাজ্য নেতারা এবং অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা এ পদক্ষেপকে আইনি ভিত্তিহীন ও সোমালি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় এবং সন্দেহ ছড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ন্যাশনাল ইমিগ্র্যান্ট জাস্টিস সেন্টারের নীতি পরিচালক হেইডি অল্টম্যান বলেন, কোনো আইনগত প্রক্রিয়া নেই যা প্রেসিডেন্টকে এক বিশেষ সম্প্রদায় বা রাজ্যের জন্য টিপিএস বাতিল করার অনুমতি দেয়।

মিনেসোটার ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, আমি একজন নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ সোমালিও নাগরিক। এই নীতি পরিবর্তন সত্যিই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলে না। তবে স্থানীয় সক্রিয়রা সতর্ক করেছেন যে, এমন পদক্ষেপ ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধির সঙ্গে মিলিত হয়ে সম্প্রদায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়, এটি সোমালি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর রাজনৈতিক আক্রমণ, যা ইসলামফোবিক এবং ঘৃণাপূর্ণ বক্তব্য দ্বারা পরিচালিত।

ট্রাম্প তার পোস্টে কোনো প্রমাণ ছাড়া অভিযোগ করেছেন যে সোমালি গ্যাংস মিনেসোটার বাসিন্দাদের লক্ষ্য করেছে এবং রাজ্যকে ‘ফ্রডুলেন্ট মানি লন্ডারিংয়ের হাব হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে, সাম্প্রতিক অভিযোগের অনেকেই সোমালি বংশোদ্ভূত হলেও এটি সম্প্রদায়কে নির্দেশ করে না। মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বলেছেন, প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্য একটি সম্পূর্ণ সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করা। এটি আলোচনার বিষয় পরিবর্তনের কৌশল। রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কিথ এলিসনও মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প কেবল এক রাজ্য বা সম্প্রদায়ের টিপিএস বাতিল করতে পারেন না।

১৯৯১ সাল থেকে সোমালিদের জন্য ২৭ বার টিপিএস বৃদ্ধি করা হয়েছে, কারণ মার্কিন সরকার নির্ধারণ করেছে যে এই সময়ে সোমালিতে ফেরত যাওয়া নিরাপদ নয়। সোমালিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা এবং খাদ্য সংকট চলমান। সম্প্রদায়ের সক্রিয়রা উল্লেখ করেন, মিনেসোটার সোমালি জনগোষ্ঠী স্থানীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। হেইডি অল্টম্যান বলেন, সম্প্রদায়ের পরিবার ও সম্প্রদায়কে অস্থিতিশীল করা আমাদের সবার জন্য বিপজ্জনক।

ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যে ভেনেজুয়েলা ও হাইতির টিপিএস বাতিল করেছে এবং কিউবা ও সিরিয়ার মতো দেশগুলোর অভিবাসীদের সুরক্ষা সীমিত করার চেষ্টা করেছে। মিনেসোটার সোমালি সম্প্রদায়ের টিপিএস বাতিলের ঘোষণায় স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

শেয়ার করুন