সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪ মিনিটে জিয়া উদ্যান থেকে স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার মতো।
রাত ১০টার দিকে স্মৃতিসৌধে পৌঁছে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান।
সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে রাত ১০টার দিকে ঢাকা উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
এর আগে দুপুরে তারেক রহমান তার বাবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে শেরেবাংলা নগরে যান।
২টা ৫২ মিনিটে তার গাড়িবহর গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে জিয়া উদ্যানের পথে রওনা দেয়। আগের দিন যে বুলেটপ্রুফ বাসে করে তিনি বিমানবন্দর থেকে এসেছিলেন, সেই বাসে করেই তিনি শেরেবাংলা নগরে যান।
লাল-সবুজ পতাকার রঙে সাজানো বাসের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে তারেক রহমান কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। বাস ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগে যায় পৌনে ২ ঘণ্টা।
বেলা ৪টা ৩৬ মিনিটে বাস থেকে নেমে তিনি সমাধিস্থলে হেঁটে রওনা দেন। এরপর সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তাকে চোখ মুখতে দেখা যায়।
জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর ওই বাসে করেই বিকাল ৫টা ৪ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারেক রহমান।
তার আগমন উপক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ভিড় করেছেন স্মৃতিসৌধের বাইরে।
যুক্তরাজ্যে ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার দেশে ফেরেন বিএনপি নেতা তারেক রহমান। জনসমুদ্রে শুভেচ্ছা বিনিময়, বক্তৃতা শেষে মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর রাতে বিএনপি নেতা গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে পৌঁছান।
তারেক রহমান নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটার তালিকায় নাম লেখাবেন শনিবার। জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ সেরে তিনি যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেখানে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করবেন।
পরে শ্যামলীতে যাবেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)। জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে তিনি সেখানে যাবেন।