২০ মে ২০১২, সোমবার, ০৩:৪৬:২২ পূর্বাহ্ন


দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২৪
দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, সরকার জনগণের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে ছেলে খেলায় মেতে উঠেছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কতৃর্ত্ববাদী শাসন চালাচ্ছে। এখন আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দল এবং ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর দমন-পীড়নের খড়গ নামিয়ে এনেছে সরকার। 

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, বর্তমানে দেশ থেকে আইনের শাসন ও সুশাসন উধাও হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাচনকে সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের বাইরে বিত্তবানদের খেলায় পরিণত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে সাধারণ রাজনীতিকদের অংশগ্রহণ দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানতের অঙ্ক লাখ টাকায় উন্নীত করা, নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ব্যবহারসহ নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন বিধিতে পরিবর্তন এনেছে। উপজেলা নির্বাচন এমন এক অরাজনৈতিক রূপ নিয়েছে, সেখানে কেবল টাকা, পরিবারতন্ত্র ও প্রশাসনকে ব্যবহার করার বিষয়ই প্রধান হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখানে রাজনীতি, জনগণ ও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ এসব বিষয় আর প্রধান নয়। সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের যে উৎসাহটুকু ছিল, এই উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেটাও যাবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম প্রমুখ। 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় উপজেলা নির্বাচন ও দেশবাসি বর্জন করবে। জনৈক নির্বাচন কমিশনের মন্তব্য, যে দেশের মানুষ এখন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। এহেন মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ ও দলদাস নির্বাচন কমিশন শুধু সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। এ কশিনের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। তাই দেশের মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় উপজেলা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত থাকবে। ভোট বর্জন করে কমিশন ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানাবে। দলের মজলিসে আমেলার সভায় বলা হয়, সরকার মধুখালির ঘটনার মূল হোতাদের পালানোর সুযোগ দিয়ে এখন লোক দেখানো আসামীদের ধরিয়ে দিন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সভায় বলা হয় গণপিটুনিতে দুই সহোদরকে হত্যা পরিকল্পিত। কাজেই অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শেয়ার করুন