০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:১৬:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


প্রসঙ্গ : ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশে খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন
উনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত ওনাকে মুক্তি দেওয়ার কী আছে- আনিসুল হক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১২-২০২২
উনি (খালেদা জিয়া) মুক্ত ওনাকে মুক্তি দেওয়ার কী আছে- আনিসুল হক


“খবরের কাগজে দেখছি তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিতে বলছেন নেতারা। উনি তো মুক্ত। উনি ওনার বাসায় আছেন। প্রায় সময় চিকিৎসা নেবার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান, চিকিৎসা নিয়ে আবার বাসায় যান। ওনাকে মুক্তি দেওয়ার আর কী আছে? নেতারা (বিএনপি) বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ওনাকে দিয়ে বক্তৃতা দেওয়াবেন। উনি রাজনীতি করতে পারবেন না, এমন শর্ত দেওয়া হয়নি। কিন্তু উনি হাঁটাচলাও করতে পারেন না এমন কথা বলে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চাওয়া হয়েছিল। তিনি যদি সমাবেশে বক্তৃতা করেন তার মানে আবেদনে মিথ্যা বলা হয়েছিল।” কথাগুলো আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে  নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির নবনির্মিত ভবন উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

এ সময় আইনমন্ত্রী বলেণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার মহানুভবতায় ৪০১ ধারায় দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে ২ শর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালদা জিয়া মুক্তি পেয়েছিলেন। তারপরও বিএনপির লোকেরা বলে তাকে ‘বেইল’ দিকে হবে। আপনারাই বলেন, মুক্ত মানুষকে কোর্ট কেমনে ‘বেইল’ দেয়? 

আইনমন্ত্রী পেছনের কথা স্বরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘২০০৭ ও ২০০৮ সালে যখন তত্বাবধায়ক সরকার ছিল তখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২টি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। সে মামলার তদন্ত হয়,এফআইআর ও চার্জসিট হয়। প্রতিটা সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা আদালতের শরনাপন্ন হন। নিন্ম আদালত থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত যান তারা। আদালত তাকে সাজা দেয়। 

তিনি বলেন, “ জেলে থাকাবস্থায় তার পরিবার থেকে খালেদা জিয়ার শরীর অত্যন্ত খারাপ বলে দরখাস্ত করা হয়। আইনের যেকোনো প্রক্রিয়ায় তাকে জেল থেকে ছাড়ার প্রার্থনা করা হয়। মনে রাখতে হবে, হাইকোর্ট, আপিল বিভাগে তাকে মুক্তি দেয় নাই। তাকে বেইল দেয়া হয় নাই। মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।”

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতা পেয়েছি বলেই উচ্চস্বরে আইনের শাসনের জন্য লড়াই করতে পারছি। বঙ্গবন্ধু অনেকবার আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। বারবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন। আমাদের মুখ মলিন হওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমরা আইনের সুশাসন দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রীম কোর্টের অ্যাটার্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিন, শামীম ওসমান এমপি, সেলিম ওসমান ও লিয়াকত হোসেন প্রমুখ। 


শেয়ার করুন