দিলারা হানিফ পূর্ণিমা
দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তরুণ-তরুণীদের কাছে তিনি অনিন্দ্য সুন্দরী। শুধু অভিনয়েই নয়, দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন রূপে এবং গুণেও। বয়স বাড়লেও রূপের ঝলকানি যেন একটুও কমেনি তার। তরুণ বয়সে যেভাবে রূপে মাতিয়েছিলেন এখনও যেন তার চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ১১ জুলাই ছিল তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিন এবং বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন আলমগীর কবির
প্রশ্ন: জীবন থেকে আরো একটি বছর চলে গেল। কেমন উপলব্দি আপনার?
পূর্ণিমা: কোনো কিছু চলে যাওয়া নিয়ে আমি কখনো আফসোস করি না। এতে নতুন প্রাপ্তিটা নষ্ট হয়। আমি যে নতুন আরো একটি বছরে পা রাখতে পেরেছি এটা অনেক ভালো লাগছে। সবার ভালোবাসা নিয়ে এতোদিন ধরে আনন্দে বেঁচে আছি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে জীবনে।
প্রশ্ন: জন্মদিনের কোন দিকটা আপনাকে সবচেয়ে আলোড়িত করে?
পূর্ণিমা: এই দিনে মানুষের ভালোবাসা পাই, মানুষ ভালোবেসে উইশ করে, আর্শীবাদ করে, মনে করে খোঁজ নেয়, এটাই তো পাওয়া। দিনটি এলে ভালোই লাগে। এই দিনে মনে হয় বেঁচে থাকা সুন্দর, পৃথিবী সুন্দর। জীবন অনেক সুন্দর। জীবনের মানে হচ্ছে কর্ম। কর্মময় জীবন হলে, মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে তখন জীবন আসলেই সুন্দর।
প্রশ্ন: কত বছরে পা দিলেন?
পূর্ণিমা: বয়স কোনো ব্যাপার নয়। এটি একটি সংখ্যা মাত্র। সবার ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি, ভালো আছি, এটাই বড় কথা, সার্থকতা।
প্রশ্ন: বিশেষ দিনটিতে কার অবদান সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে?
পূর্ণিমা: অবশ্যই মা-বাবার। বিশেষ করে আমার মায়ের আগ্রহ, সাপোর্ট, ভালোবাসা, পরিশ্রম আমাকে আজকের পূর্ণিমা হতে সহায়তা করেছে। মা চেয়েছেন তাঁর মেয়ে প্রতিষ্ঠিত হোক। সে পথেই চেষ্টা করে গিয়েছি আমি।
প্রশ্ন: আপনার দীর্ঘ ক্যারিয়ার। এতে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব করলে কি মনে হয়?
পূর্ণিমা: অপ্রাপ্তি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। প্রাপ্তি নিয়ে যদি বলি, অনেক কিছু পেয়েছি। এখনো যে মানুষ আমাকে ভুলে যায়নি, এটাই তো অনেক। এখনো দর্শকরা মনে রেখেছেন, ভালোবাসা দিচ্ছেন। তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। এ বছরই তো আমার ক্যারিয়ারের ২৫ বছর পূর্ণ হল। আমি তো খুব বেশি ছবি করিনি। আমার হিসেবে মতে ৮২ কিংবা ৮৩টা ছবি মুক্তি পেয়েছে আমার। অভিনয় করেছি ৮৭টি ছবিতে। এরমধ্যে কিছু মুক্তি পায়নি। আর নাটক করেছি ১০০ এর মত, বিজ্ঞাপন হবে ৫০টা। শো উপস্থাপনা তো একশোরও বেশি হবে। ক্যারিয়ার অনুযায়ী আমার ছবির সংখ্যা অনেক কম কারণ আমি অনেক বেশি ছবি করিনি। খুব বেছে বেছে কাজ করেছি।
প্রশ্ন: আপনার সময়ের অনেকেই এখন শোবিজে নেই, আপনি অভিনয় কম করলেও নানা কর্মে আছেন। এভাবে টিকে থাকা কতটা সুখকর?
পূর্ণিমা: হ্যাঁ, আমার সময়ের অনেকেই এখন নেই। আমি টিকে আছি। কাজ করছি। হয়তো সিনেমার অভিনয়ে খুব একটা নেই, টিভি উপস্থাপনায় আছি। এটা তো সুখকরই মনে হয়। আমি যে শুধু সিনেমাই করতাম, তা কিন্তু নয়। অভিনয় শুরুর কয়েক বছর পর যখন সিনেমায় অশ্লীলতার জোয়ার চলে আসে, তখন টেলিভিশনে কাজ শুরু করি। পরে দুই জায়গাতেই নিয়মিত কাজ করেছি। গত সাত-আট বছর তো উপস্থাপনাই আমাকে এগিয়ে রেখেছে। এটা দিয়েই এখন মানুষের কাছাকাছি থাকছি।
প্রশ্ন: আপনার অভিনীত ‘গাঙচিল’ ও ‘জ্যাম’ ছবির খবর কী?
পূর্ণিমা: ছবি দুটির কোনো খবর আমার কাছে নেই। পরিচালক সব বলতে পারবেন। তবে কাজ করার পর ছবি মুক্তি না পেলে মন খারাপ হয়।