২০ মে ২০১২, সোমবার, ৬:৪৯:৩১ পূর্বাহ্ন


দোয়া ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তারা
তারেক রহমান স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৫-২০২৪
তারেক রহমান স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক বক্তব্য রাখছেন গিয়াস আহমেদ


বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশালের কবর রচনা করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। তারেক রহমান হচ্ছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের শেফ মহল রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবী নাজনীনের মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ সোলায়মান ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন সবুজ ও গিয়াস উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী বেবী নাজনীন। গেস্ট অর্নার ছিলেন বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বুলবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া, বিএনপি নেতা কাজী আজহারুল হক মিলন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বিএনপি নেতা কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, বিএনপি নেত্রী সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, খন্দকার ফরহাদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান, বিএনপি নেতা শাহজাহান শেখ, ইমরান শাহ রন, আকিকুল রহমান ফারুক প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পী বেবী নাজনীন তার মায়ের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলে আসার জন্য সবার ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের পতনে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন করতে হবে।

গেস্ট অব অনার গিয়াস আহমেদ বলেন, বিএনপি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে একদলীয় বাকশালের কবর রচনা করে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আবারো বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। তারেক রহমান হচ্ছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। তিনি আরো বলেন, ১/১১-এর সময় আমরা আন্দোলন করেছিলাম এবং মঈন- ফখরুদ্দীন সরকারের পতন নিশ্চিত করেছিলাম। আর সেই আন্দোলনের ফসল বিএনপি নিতে পারেনি। কারণ বেগম খালেদা জিয়া অবৈধদের ক্ষমা করতে রাজি ছিলেন না। শেখ হাসিনা অবৈধদের ক্ষমা করে এবং গোপন ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি একটা, আর আমরাই সেই বিএনপি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, যারা বিএনপি করেনি, এখন তারা প্রধান অতিথি হতে চায়, তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।

জসীম ভুইয়া বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতৃত্বে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন না হবে এবং তারেক রহমান ক্ষমতায় না আসবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।

আলহাজ বাবর উদ্দিন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে সরাতে হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে।

আলহাজ সোলায়মান ভূইয়া অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রথম অংশ বেবী নাজনীনের মা আবিদা মনসুরের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের সহকারী ইমাম মাওলানা মোজাম্মেল হক।

শেয়ার করুন