২৭ জুন ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০১:০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন


দেশকে তানজিন তিশা
মঞ্চের পেছনে এসে সে আমার হাত ধরেছিল
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৬-২০২৪
মঞ্চের পেছনে এসে সে আমার হাত ধরেছিল তানজিন তিশা


তানজিন তিশা। নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন ওয়েব জগতে। নতুন এই প্ল্যাটফর্মে ভালো কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা চেষ্টা করছেন। ১০ জুন সোমবার মুক্তি পেয়েছে তার ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’। সঞ্জয় সমাদ্দারের নির্মাণে এতে উঠে এসেছে একটা মেয়ের নায়িকা হওয়ার গল্প। এই ছবি এবং সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: মুক্তি পেয়েছে আপনার ওয়েব ফ্লিল্ম ‘পয়জন’। এর গল্পটা আপনার চরিত্রটা কেমন?

তানজিন তিশা: আমি এখানে একটা নায়িকার জীবনের গল্প উপস্থাপন করেছি। এই চরিত্রে অভিনয় করার আগে আমি একজন নায়িকার জীবনযাপনও রপ্ত করেছি। আমাকে জানতে হয়েছে, একজন নায়িকাকে কাজ করতে গিয়ে কী ডিল করতে হয়! আমি অনেক সিনেমা দেখেছি।

প্রশ্ন: এই ওয়েব ফিল্মের নাম ‘পয়জন’ কেন?

তানজিন তিশা: আমরা যদি কাউকে অতিরিক্ত ভালোবাসি সেটাও পয়জন হতে পারে আবার কাউকে অতিরিক্ত ঘৃণা করি সেটাও পয়জন হতে পারে। সেই বিষয়টি উঠে এসেছে এই ফিল্মে। এ কারণেই নাম ‘পয়জন’। যেখানে আমি নায়িকা রূপা মীর্জার চরিত্রটা রূপায়ন করার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: এর প্রস্তুতি পর্বটা কেমন ছিল?

তানজিন তিশা: যেহেতু আমি সিনেমার নায়িকা না, তাই রূপা মীর্জা হতে গিয়ে একজন সিনেমার নায়িকাকে স্টাডি করতে হয়েছে। ১২ দিন যখন শুটিং করেছি তখন মনে হয়েছে আমি রূপা মীর্জা ছিলাম। আশা করছি দর্শক আমার কাজ দেখে হতাশ হবেন না।

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায় আপনি একজনের চুল কাটছেন। এটা আসলে কিসের ছবি?

তানজিন তিশা: নরসুন্দরী নামের একটি নাটকের দৃশ্য ওইটা সম্প্রতি গাজীপুরের কালীগঞ্জের লোকেশনে এর দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। এই নাটক থেকে চমৎকার একটা বার্তা পাবেন দর্শক। এটি তো অস্বীকার করার উপায় নেই, নারীরা আমাদের সমাজে এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কাজ তো কাজই। নারী-পুরুষ সমানভাবেই করতে পারে সেটা। কিন্তু কোনো কোনো কাজ এ সমাজে এখনো নারীদের জন্য বাধা, মেনে নিতে পারে না। এই যে নাপিতের কাজ নারীরা করতে গেলে সমস্যা। কাজটি করতে গিয়ে পদে পদে বাধা।

প্রশ্ন: এ ধরনের কাজ কি আগে করা হয়েছে কখনো? 

তানজিন তিশা: নরসুন্দরী নাটকটির গল্প আমার কাছে নতুন, এখানে নিজের চরিত্রটিও নতুন। দুদিন হলো শুটিং করছি। আরও কয়েক দিন হবে। ঠিক ঠিকমতো কাজটি শেষ করতে পারলে ভালো একটি কাজ হতে পারে। এই কাজটি আমার ক্যারিয়ারে নতুন কিছু যোগ করতে পারে। তা ছাড়া নারীদের অধিকার, নারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে কাজ করতে আমারও খুব ভালো লাগে।

প্রশ্ন: চরিত্রটির জন্য নিশ্চয়ই অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে?

তানজিন তিশা: শুটিংয়ের আগে সেলুনে, রাস্তার ধারের দোকানে গিয়ে চুল কাটা, দাড়ি কামানোর কৌশলগুলো বসে থেকে থেকে দেখতে হয়েছে, শিখতে হয়েছে। মগবাজার, কারওয়ান বাজারে গিয়ে সেলুনে ও রাস্তার ধারের নাপিতের কাছে দু’তিন ঘণ্টা করে বসে থেকে কাজটি দেখেছি। কাঁচি ধরা থেকে শুরু করে দাড়ি কামানোর কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করেছি।

প্রশ্ন: ব্যক্তিগত ইস্যুতে পরীমনির সঙ্গে আপনার একটা দূরত্ব রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি ফ্যাশন শোর অনুষ্ঠানে আপনার সঙ্গে নাকি পরীমণি দ্বন্দ্ব মেটাতে চেয়েছিল। এটা কি সত্যি? 

তানজিন তিশা: তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব মিটমাটের কী আছে? আমার তো তার সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই। সে বিগত দিনে সামাজিকভাবে আমাদের কয়েকজনকে যেভাবে অপদস্থ করেছে, তা ভোলার নয়। সুতরাং তার সঙ্গে কথা বলা বা মেলামেশার কোনো দরকার নেই। তবে ওই মঞ্চের পেছনে সে এসে আমার হাত ধরেছিল। তখন হাই-হ্যালো না বলার কিছু নেই।

প্রশ্ন: আপনি নাকি ইচ্ছা করে পরীর সঙ্গে মঞ্চে ওঠেননি। ঘটনা সত্যি কি না?

তানজিন তিশা: সেটি তো আমি বলব না। আমার ইচ্ছা হয়েছে, ওই দলের সঙ্গে আমি হাঁটিনি। আমার যখন মন চেয়েছে, যাদের সঙ্গে হাঁটতে ইচ্ছা হয়েছে, হেঁটেছি। এর চাইতে আর কোনো কিছু বলতে চাই না।

প্রশ্ন: শাকিব খানের সঙ্গে কি আপনার কোনো সিনেমা আসবে?

তানজিন তিশা: আসতেও পারে। তিনি বাংলাদেশের বড় তারকা। আর আমি তো সিনেমা করতে চাই। এ জন্য অনেক দিনের অপেক্ষা। আমার প্রথম ছবি যদি শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে হয়, তাহলে তো ভালো।

শেয়ার করুন