০১ জুলাই ২০১২, সোমবার, ১০:২২:৩২ অপরাহ্ন


দেশকে মাহমুদুর রহমান মান্না
লড়াই ছাড়িনি, হতাশার কিছু নেই
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৪
লড়াই ছাড়িনি, হতাশার কিছু নেই মাহমুদুর রহমান মান্না


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাজপথের লড়াই তো আমরা কখনো ছাড়ছি না। কাজেই হতাশার কিছু নেই। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

দেশ: কেমন আছেন? কি করবেন ঈদে? 

মাহমুদুর রহমান মান্না: কি আর করবো..আমাদের এই বয়সে আর কি ঈদ..?

দেশ: না দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জিজ্ঞাস করছিলাম..দেশের মানুষকে নিয়ে কেমনভাবে ঈদ করবেন..। 

মাহমুদুর রহমান মান্না: না আসলে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তো ঈদের কোনো ব্যাপার না। তবে সামগ্রিক ব্যাপারগুলো আমাদের কিন্তু যে স্পর্শ করে না তা কিন্তু না। দেখলাম তো কোরবানির বাজারতো বেশ চড়া। আর আমি তো এবার কোরবানি দেবো। বর্তমান দেশের আর্থিক অবস্থার কথা চিন্তা করলেতো বলতে হয় অনেকেই কোরবানি দিতেই পারবে না। 

দেশ: এই যে দেশের আর্থিক অবস্থার কথা বললেন এসব বিষয়ে কি সরকারকে উদ্বিগ্ন মনে করেন না? মনে কি করেন যে সরকার দারিদ্র্য দূর করতে কিছুই করছে না। 

মাহমুদুর রহমান মান্না : কি বললেন? কোরবানি ঈদ নিয়ে..

দেশ: না বলতে চাইছি এই যে বললেন আপনারা ভাবছেন জনগণের দুর্ভোগ, হতাশা..এগুলো নিয়ে কি সরকার ভাবে?

মাহমুদুর রহমান মান্না: নো..নো..নো..ভাবলে কি এরকম একটা বাজেট দিতো? আসলে ভাববেই বা কোনো? ভোট-টোত তো এখন আর লাগছে না..। তিন তিনটি ভোটে তো পাবলিককে লাগেনি। ওটা তো আর লাগে না..। জনগণের কথা ভাবলেও তো বাজেটে তার প্রভাব পড়তো..। আপনি যদি ঠিকই জনগণের ব্যাপারে কনসার্ন থাকতেন তাহলে তো..দেখেন তারা জিনিসপত্রের দাম কমাতেও কোনো উদ্যোগ নেয় না..। 

দেশ: কিন্তু সরকার দাবি করে তারা দরিদ্র মানুষের জন্য অনেক কিছু করছে এবং করছেও..। বিভিন্ন ধরনের আশ্রয়ণ প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছে..। এসব দেখে কি মনে হয় না যে সরকার দরিদ্র জনগণের জন্য ভাবে এবং তাদের জন্য সত্যিকারার্থে কিছু করে..। 

মাহমুদুর রহমান মান্না: আসলে এগুলো হয় কি..রাজনৈতিক দলগুলিকে কিছু কাজ দেখাতে হয়..। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সত্যিকারার্থে আশ্রয়ণ হয়েছে, সংস্থান পেয়েছে..এমন কিছু তো দেখি না। নয়-ছয়ের খবরই বেশি দেখছি। এসব প্রকল্পের কথা উঠলে শুনি যে, এগুলো এখন বসবাসেরই অনুপোযোগি..। তারপরেও এই প্রকল্পটা ভালো হতে পারতো..। বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ, পাকিস্তানসহ এশিযার বিভিন্ন দেশে এধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ করা হয়ে থাকে। অই তুলনায় তো বাংলাদেশে কিছুই হয়নি। বাংলাদেশে এগুলো করেই সরকার বাইরে বোঝাতে চায় যে তারা অনেক কিছু করছে। বাইরে গিয়ে দেখানো আর কি আমরা অনেক কিছু করেছি। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে যে লাখ লাখ লোক তো দূরের কথা কয়েক হাজারেরও কিছু হয়নি। যারা পেয়েছে তদবির করে পেয়েছে। সাধারণ মানুষ তো পায়ইনি। এগুলো এপ্রিসিয়েট করার মতো কিছু না..। 

দেশ: ঈদে আপনাদের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতি মেসেজ কি? 

মাহমুদুর রহমান মান্না: ঈদের ব্যাপারে? ঈদ করবে ..অসুবিধা কি? ঈদের সাথে রাজনীতি জড়িয়ে কোনো মেসেজ দেয়ার দরকার নেই। 

দেশ: না আপনারা এই যে দেশে একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে আপনাদের সমর্থকরা নির্যাতনের শিকার বা কারাগারে আছে বলে থাকেন। তাদেরসহ বাকিদের জন্য এইবারের ঈদে আপনার মেসেজ কি? তাদের জন্য কি আশাবাদের বাণী?

মাহমুদুর রহমান মান্না: লড়াই তো আমরা কখনো ছাড়ছি না। এইতো সেদিনও বাজেট নিয়ে দলের উদ্যোগে সেমিনার করি..। এমন ধরনের বাজেট প্রণয়ন করে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা পারছে না। পারবেও না..। যারা মনে করেছিল যে ৭ জানুয়ারিতে নির্বাচন করে লিগ্যালেটি পেয়ে গেলো..। এখন তো দেখা যাচ্ছে, তাদের তো কোনো স্ট্যাবেলরটিই আসেনি। দেশের অভ্যন্তরে এমনকি বিদেশে-আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও..। এখন আমরা এসব ব্যর্থতা দেখে আন্দোলনের মাঠে এটাকে কতটা রূপান্তরিত করতে পারবো..সেটাই নির্ভর করছে..তবে হতাশার কিছু নেই।

শেয়ার করুন