হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট গত ৩ জুলাই বুধবার জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কর্তৃক সীমান্তে আশ্রয় প্রক্রিয়া সীমিত করার পর গত তিন সপ্তাহের সীমান্ত পার হলে আমেরিকায় অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ কমেছে এবং যার ফলে গ্রেফতারের সংখ্যাও কমেছে। গ্রেফতারের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪০ শতাংশ। গত বুধবার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক ঘোষিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দৈনিক গ্রেফতার ২ হাজার ৪০০-এর নিচে নেমে এসেছে। গত ৫ জুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নতুন নীতি ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধদের পারাপারের সংখ্যা এখনো দেড় হাজার জনের ওপরে রয়েছে।
গত সপ্তাহে কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন তার মাসিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। সে পরিসংখ্যানে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আদেশ কার্যকর হওয়ার পর থেকে সীমান্তে গ্রেফতার ৪০ শতাংশ কমে গেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস গত ৩ জুলাই বুধবার অ্যারিজোনা স্টেটের টাকসন সেক্টর পরিদর্শন করেছেন। গত বছরের বেশির ভাগ সময় ওই রুটটি অবৈধ পারাপারের জন্য ব্যস্ততম করিডোর ছিল। তিনি নতুন নীীতকে সফল বলে ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, যারা সীমান্ত অতিক্রম করার কথা বিবেচনা করছেন তাদের জন্য নতুন পদক্ষেপগুলো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৪ জুন মঙ্গলবার দক্ষিণ সীমান্তে আশ্রয় সীমিত করার লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশ ঘোষণা করেন। এই আদেশের ফলে দৈনিক ২ হাজার ৫০০ অভিবাসী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে পারবেন। গড়ে এর বেশি অভিবাসী অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলে ইউএস কাস্টম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে আশ্রয়ের আবেদনগুলো আর গ্রহণ না করে তাদের ফিরিয়ে দেবে। সংখ্যাটি দেড় হাজারে নেমে গেলেই সীমান্তটি পুনরায় চালু করা হবে। নতুন নীতির মূল লক্ষ্য হলো যারা পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই সীমান্ত অতিক্রম করবে, তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে ইউএস সিটিজেন অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসকে। তারা তাদের বহিষ্কারও করতে পারেন। সীমান্তে আগত যে কেউ নিজ দেশে বসবাসে ভয় প্রকাশ করে বা আশ্রয় চাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করে তাকে একজন মার্কিন আশ্রয় কর্মকর্তা দ্বারা স্ক্রিন করা হয়। যদি তারা স্ক্রিনিং পাস করে, তাহলে তারা আশ্রয়ের চেয়ে মানবিক সুরক্ষার আরো সীমিত রূপ অনুসরণ করতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশন।