অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের সকল ইতিবাচক পদক্ষেপে বাংলাদেশ জাসদের সমর্থন জানিয়েছেন৷ বাংলাদেশ জাসদের নেতারা। এর পাশাপাশি তারা বলেছেন,
সংস্কারের কর্মসূচি প্রণয়ন ও তার টেকসই বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দল ও সমাজ সংগঠন সমুহের সংগে আলোচনা শুরু করা উচিত। আলোচনা শুরু হলে সংস্কারের শক্তি আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং নির্বাচন প্রদানের সময় নির্ধারনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ হবে।
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির জরুরী সভা দলের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল হক প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, মনজুর আহমেদ মনজু, নাসিরুল হক, আনোয়ারুল ইসলাম বাবু।
সভায় দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
জাতির উদ্দ্যেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার ভাষনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জাসদ মনে করে-
ছাত্র গন অভ্যুত্থানের আকাংখার উপর ভিত্তি করে সকলের জন্য বৈষম্যমুক্ত গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ব্যক্ত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ভাষন দিয়েছেন আমরা তাকে স্বাগত জানাই। বক্তব্যে তিনি গণতন্ত্র অভিমুখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সংস্কারের কথা বলেছেন।
স্বাভাবিক ভাবে অগ্রাধিকার বিবেচনায় নিয়ে সংস্কারের পূর্নাংগ রূপ ও তা বাস্তবায়নের পথরেখা এখনো তুলে ধরা হয়নি। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমরা মনে করি, সংস্কারের কর্মসূচি প্রণয়ন ও তার টেকসই বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দল ও সমাজ সংগঠন সমুহের সংগে আলোচনা শুরু করা উচিত। আলোচনা শুরু হলে সংস্কারের শক্তি আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং নির্বাচন প্রদানের সময় নির্ধারনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহন সহজ হবে।
রাষ্ট্র সংস্কারের যেসব বিষয়ে সর্বদলীয় ঐক্যমত হবে সেগুলো অন্তর্বতীকালিন সরকার বাস্তবায়ন করবে। বাকি বিষয় গুলো জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে। যথাসম্ভব দ্রুত নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের সময়সূচী নির্ধারন করা প্রয়োজন।অন্তর্বতীকালিন সরকারের সকল ইতিবাচক পদক্ষেপে আমাদের সমর্থন থাকবে।
বন্যা পরিস্থিতিঃ
দেশে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা জাতি হিসেবে আমাদেরকে সম্মানিত করেছে। আমরা মনে করি বন্যায় ত্রান বিতরন প্রক্রিয়াকে দুর্গত এলাকার প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার আরো গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করবে।