২০ সেপ্টেম্বর ২০১২, শুক্রবার, ০৫:১৬:৫৪ অপরাহ্ন


বিএনপিকে ঘিরে মাঠে নেতিবাচক বার্তা তুঙ্গে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২৪
বিএনপিকে ঘিরে মাঠে নেতিবাচক বার্তা তুঙ্গে


বিএনপিকে নিয়ে একের পর এক নেতিবাচক খবর ছড়িয়ে পড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মীদের বাড়াবাড়ি মারাত্মকভাবে বেড়েও গেছে। এর পাশাপাশি বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীদের এমন আচরণে কঠোর পদক্ষেপেও কাজ হচ্ছে না। আর এতে করে দলটির ব্যাপারে পুরো রাজনৈতিক মাঠে এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও নেতিবাচক বার্তাই যাচ্ছে। অন্যদিকে মাঠে যখন এমন নেতিবাচক বার্তা ভেসে বেড়াচ্ছে, তখন এ-তে ভালোভাবেই ঘি ঢালছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী। দলটি বিএনপি’র অন্যতম মিত্র বলে পরিচিত। এসব তথ্য জানা গেছে, গত কয়েকদিনে দেশে রাজনৈতিক অঙ্গনের মাঠ পর্যবেক্ষণ করে। 

পট পরিবর্তন ও বিএনপির আশ্বাস 

পট পরিবর্তনের পর থেকে বলা যায় সাথে সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে একের পর এক ভিডিও বার্তায় অনেক আশ্বাস দিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। বলেছেন, ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা না গেলে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির কাঙ্ক্ষিত গুণগত পরিবর্তন সম্ভব নয়। এক ধাপ এগিয়ে তারেক রহমান সর্তক করে দিয়ে বলেছেন, নেতাকর্মীরা যেনো পরাজিত অপশক্তির পাতা ফাঁদে পা দেয়। সাবধান করে বলেছেন, ‘ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানকে চূড়ান্ত সফলতায় নিতে হলে কেউ দখলদারিত্বে লিপ্ত হবেন না, দখলদারিত্বে সহায়তা করবেন না। কেউ দুর্বলের ওপর আঘাত হানবেন না। কেউ আইন নিজেদের হাতে তুলে নেবেন না। প্রতিশোধ প্রতিহিংসা নয়-আসুন কার্যকর রাষ্ট্র সংস্কার নিশ্চিত করতে তারুণ্যের কাঙ্ক্ষিত একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে আমরা প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। ’অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা ধ্বংস চাই না, শান্তি চাই। ছাত্র-তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।

আসলে কি করছে বিএনপি?

ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই একটি প্রথম সারিসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে বিএনপি’ বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে ছাপা হয় কয়েকটি খবর। একটি দৈনিকে বলা হয় ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মাঠের পরিস্থিতি একেবারে বদলে গেছে। পাড়া-মহল্লায় বেশ সক্রিয় বিএনপির নেতাকর্মী। অনেক জায়গায় চলছে আধিপত্য জানান দেওয়ার চেষ্টা। কেউ কেউ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। লেখা হয়েছে চাঁদাবাজিতেও নতুন লোক আসতে দেখা গেছে। পত্রিকায় জানানো হয় আবার নতুন করে বিএনপির নেতাকর্মী সেজে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। এমন খবর দিয়ে একটি সরজমিন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয় গত ২৭ জুন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় রামচন্দ্রপুর খালের ওপর বেদখলে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। কিন্তু কয়েক দিন আগে টিনের ছাউনি ও বেড়া দিয়ে খালের জায়গায় বানানো হয় দুটি ছাপরা ঘর। একটি ঘরের দরজায় ঝোলানো হয়েছে বিএনপির সাইনবোর্ড। তাতে লেখা, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, সাতমসজিদ হাউজিং ইউনিট, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড, মোহাম্মদপুর থানা, ঢাকা মহানগর উত্তর।’

বিএনপি’র নেতিবাচক কর্মকান্ডের আরো খবর

সম্প্রতি একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের খবরে বলা হয় যে গুলশান-বনানীতে হাতবদলে ‘ময়লার মধু’ এখন বিএনপির কাছে। এমন হেডিং দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ময়লা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আগে গুলশান-বনানী থেকে মাসে অন্তত ৩ কোটি টাকা আয় করতেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। শুধু বাসাবাড়ি ও রেস্তোরাঁর বর্জ্য সংগ্রহের নামে রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে অর্থ লুটপাটের একটি চক্র গড়ে উঠেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে। এই চক্রে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ছিলেন। বর্জ্য সংগ্রহ বা ময়লা বাণিজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা উঠত ঢাকা উত্তর সিটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান ও বনানী নিয়ে এই ওয়ার্ড। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গুলশান ও বনানী এলাকার ময়লা-বাণিজ্যে হাতবদল হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের জায়গায় এখন ময়লা-বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা। আরেকটি খবর প্রকাশিত হয় বহুল প্রচারিত দৈনিকে। তা-তে বলা হয় রাজধানীর ইস্কাটনে বহুতল ভবন ইউনিক হাইটসের চতুর্থ তলায় ঢাকা সড়ক পরিবহন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যালয়টি বেশ সুসজ্জিত ও সুপরিসর। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এখান থেকেই দেশের পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করা হতো। ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট কার্যালয়টির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন বিএনপিপন্থী পরিবহন নেতারা।

লুটেরাদের পাশেও বিএনপি!

এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম (এস আলম) ও তাঁর সহযোগী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে খবর রেরিয়েছে যে, এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ ছাড়ে বিধিনিষেধের মধ্যে কৌশলে টাকা বের করে নিচ্ছে গ্রুপটি। নিয়ন্ত্রণ হারানোর শেষ সময়ে ভেঙে ভেঙে এক কোটি বা তার কম অঙ্কের পে-অর্ডারের মাধ্যমে অর্থ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এমন সব খবরেও বিচলিত না হয়ে সেই এস আলমের গাড়িতে এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নিয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন-এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। আবার খবর প্রকাশিত হয়েছে যে যে, কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি বের হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, একটি কারখানা থেকে একের পর এক দামি গাড়ি বের হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি তা তদারক করছেন। যারা ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তাদের ভাষ্য, এগুলো শিল্প গ্রুপ এস আলমের গাড়ি এবং যারা তত্ত্বাবধানে আছেন, তারা বিএনপির নেতা-কর্মী। আর সে-ই একটি গাড়িতেই কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গত ২৮ আগস্ট বুধবার এই গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকায় পেকুয়ায় পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

দায় সাড়া গোছেন বক্তব্য ও ব্যবস্থা

আলোচিত ও সমালোচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলমের মালিকানাধীন গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ে এসে নিজ এলাকায় সংবর্ধনা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কথাও বলেন। অনেকটা দায়সারা গোছের মন্তব্য করে বলেন, ‘শত শত লোক এসেছে। কার গাড়িতে উঠেছি জানি না। যে চালক গাড়িটি চালিয়েছেন, তিনি সাত-আট বছর ধরে আমার পরিবারের গাড়ি চালিয়ে আসছেন। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরানোর অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এর পাশাপাশি স্থগিত করা হয়েছে তিন নেতার প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় সব পদ। এরা হলেন- বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এসএম মামুন মিয়া। পরে অবশ্য অনিচ্ছাকৃত ভুলে এস আলমের গাড়ি ব্যবহার করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এর আগে জনগণের নামে লিখে দেওয়া ১০ কোটি টাকা মূল্যের পুকুর দখলের অভিযোগ ওঠে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি বিএনপি নেত্রী বিলকিস জাহান শিরিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিনের দলীয় পদ স্থগিত করা হয়েছে।

নেতিবাচকে ঘি ঢাললো জামায়াত

এদিকে বিএনপি একের পর এক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের খবর যখন প্রকাশিত হতে থাকে তখন তাদেরই মিত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরোধীতাকারী জামায়াত মাঠে একটি বিশাল বোমা ফাটিয়ে দেন জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি কোনো দলের নাম না বললেও বিএনপি’কেই উদ্দেশ্য করে ইঙ্গিত করেছেন বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা (?) হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের সাজানো অনেক প্রতিষ্ঠান একটি দল দখলে নিয়েছে। দলের একটি কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি কটাক্ষ করেও বলেন, একদিকে শহিদ পরিবারগুলো আহাজারি করছে। আহতরা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বন্যার ভয়াবহতা শুরু হয়েছে। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে না তাদের উচিত এ বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ সময়টা ওখানে না দাঁড়িয়ে নির্বাচন নির্বাচন জিকির করলে জাতি এটাকে কবুল করবে? তিনি বলেন, তাদের তো নির্বাচন লাগেও না। ইতোমধ্যে যা দখল করেছিল ফুটপাত থেকে শুরু করে সব দখলে নিয়েছে। যা আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে সাজিয়েছিল সব তারা দখলে নিয়ে নিয়েছে। ডা. শফিকুর রহমান এমন বক্তব্যে বিএনপি’তে এখনো তোলপাড় বইছে। 

কি আছে বিএনপি’র ভাগ্যে..ও শেষ কথা..

বিএনপি’র নেতা বা সদস্য হয়ে যে-ই অপকর্ম করছে বা করবে তাদের সবার বিরুদ্ধে খবর পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছে একদম দলটির টপ লেবেল থেকে। সাথে সাথেই করা হচ্ছে বহিষ্কার নয়তো শো-কজ। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে খবর নিয়ে দেখা গেছে বাস্তব অবস্থা আরো মারাত্মক। দলটির হেন নেতা কর্মী নেই যে ওৎ পেতে নেই দখল বা চাদাবাজির কর্তৃত্বের জন্য। পাড়া-মহল্লাহ এসব নেতাকর্মী মরিয়া হয়ে উঠছে দখলদারিত্ব নিতে। খোদ রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিশ্বব্যাংকেরই অনেক চলমান প্রকল্প চাদাবাদিজর মুখে পড়ে স্থবির। খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, চাঁদা বা বখরা না দিলে হাত বা কব্জি কেটে নেয়া হবে এমন হুমকি ধামকির পেছনে রয়েছে এলাকার নব্য গর্জে উঠো দলটির অনেক পাতি নেতা। এমনকি বিএনপি’রকে জড়িয়ে এধরনের খবর রাজধানীর বাহিরে থেকেও আসছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি’র বিরুদ্ধে নেতিবাচক ইমেজ দেশ জুড়ে উঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভয়ঙ্করভাবেও উচ্চারিত হবে। যা ঠেকানোর ক্ষমতা বিএনপি’র না-ও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ইমেজ সঙ্কটে পরে দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাশাপাশি বিএনপির কর্নধার ভারপ্রাপ্ত চেয়াারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন নেতাকর্মীরা- সেটি ভবিষ্যত কোন দিকে টার্ন নেয় তা সময় বলে দেবে। কারণ ইতোমধ্যেই মাঠে ভেসে বেড়াচ্ছে বিএনপি নয় বরং এই দলটির ঘাড়ে রাজনীতির বন্দুক রেখে জামায়াত বা অন্য কেউ সুবিধাভোগি হতে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন