আমাদের সকলের প্রিয় আলমগীর খান আলম। কাল দুপুরে (৯ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাক্তাররা জানালেন তিনি স্ট্রোক করেছেন। তবে ভয়ের কিছু নেই- মাইল্ড স্ট্রোক। আলমগীর খান আলম হলেন শোটাইম মিউজিকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। অনেক বছর ধরেই নিউ ইয়র্কে আছেন। যে কারণে সর্বত্রই তার পরিচিতি। তবে একদম একা থাকেন তিনি। তার পরিবার দেশেই থাকে।
আমি আলম ভাইয়ের এই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরটি ফেসবুকে একটি পোস্ট করলাম। এরপর থেকেই আমার ফোন বাজতে শুরু করলো। নিউ ইয়র্কের চারপাশ থেকে মিডিয়া কর্মী প্রখ্যাত-বিখ্যাত নানান শ্রেণি পেশার মানুষ ফোন করছেন, আলম ভাইয়ের শারীরিক অবস্থা জানতে চাইছেন, কিছুক্ষণ পর আবারও ফোন করে জানতে চাইছেন কতটা উন্নতি হলো?
বিষয়টা আমাকে খুবই আপ্লুত করল। আমি তো জানতাম আলম ভাই প্রবাসে একাই থাকেন, তার পরিবারের সকলেই দেশে আছেন। কিন্তু তার বন্ধুমহল আমাকে সত্যিই খুব বিস্মিত করে দিল। প্রবাসে যে তার এত বিশাল পরিবার, সেটি আমার ধারণাকে একেবারেই পাল্টে দিল।
আমার সোশ্যাল মিডিয়াতে তার অসুস্থতার খবর দেখে অগণিত উৎকণ্ঠিত মানুষের ফোন কল টেক্স মেসেজ আর মেসেঞ্জার কল ছিল অবাক করার মতো। আর আফতাব জনি তো আমার সঙ্গে হসপিটালেই ছিলেন, পরে নেহার ভাইও চলে আসেন। এছাড়া হসপিটালের লবিতে ভিড় করেছিলেন অসংখ্য বন্ধু। যেমন শাহনেওয়াজ ভাই, গিয়াস আহমেদ ভাই, লিটু চৌধুরী, আহসান হাবিব, দারা ভাই, রেদোয়ান, মইনুজ্জামান ভাই, স্যাম, অনিক, শিল্পী বকুল, শাহ্ মাহবুব, রিজিয়া আপা, রানু আপা, আমার স্ত্রী হোসনেয়ারা এবং আরও অনেককেই।
আমরা যারা প্রবাসে থাকি তাদের আপনজন যে প্রবাসীরাই- সেটা আবারও নতুন করে উপলব্ধিতে এল। আলমগীর খান আলম একজন ভাগ্যবান মানুষ। তার প্রতি মানুষের নিঃস্বার্থ ভালবাসা দেখেছি, অনুভূতি দেখেছি, উৎকণ্ঠা দেখেছি- আমি অভিভূত হয়েছি। মানুষ মানুষের জন্য- এই কথাটি আলম ভাই’র ক্ষেত্রে আবারো প্রমাণিত হলো। আমি আন্তরিকভাবে তার সুস্থতা কামনা করছি। জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন আলম ভাই।
আপডেট
খুব ভালো খবর আলম ভাইয়ের স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে, আশা করি আজ (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে অথবা আগামী দিন অনেকে আমরা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো ইনশাল্লাহ ।