০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১:২২:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সংবিধান প্রসঙ্গে যা বললেন পিনাকি ভট্টাচার্য
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-১০-২০২৪
সংবিধান প্রসঙ্গে যা বললেন পিনাকি ভট্টাচার্য পিনাকি ভট্টাচার্য


বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এক ইউটিবার পিনাকি ভট্টাচার্য। ইউটিবার মূলত বলা ঠিক নয়। স্বৈরাচারের হামলা, মামলা হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে যেসকল দেশপ্রেমিক সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, তাদের মধ্যে পিনাকিও একজন। কিন্তু থেমে যাননি। সামাজিক যোগাযোগ, ইউটিউব, ফেসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে দেশের মুক্তিকামী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দিনরাত চেষ্টা করে গেছেন। 

তার দেয়া নির্দেশনা ও যৌক্তিক বিষয়াদি ব্যাপক আলোচিত বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠেও। বহুবার পিনাকি’র বক্তব্য ও রেফারেন্স তুলে ধরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। তটস্থ ছিল আওয়ামী লীগও। 

সম্প্রতি পিনাকি ভট্টাচার্য এর ভ্যারিভাইড ফেসবুকে দেশের সংবিধান নিয়ে একটি কমেন্টস বেশ আলোচিত হয়েছে। দেশ এর পাঠকদের জন্য সেই নিচে হুবহু তুলে দেয়া গেল- “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে বিপ্লবের পক্ষে থাকা কারোর বিরুদ্ধে আপাতত কিছু বলবো না। কিন্তু এখন দেখছি উপায় নেই। অবশ্য যারা জুলাই-আগস্ট বিপ্লবকে আদৌ বিপ্লব বলে মানতে চান না, তাদের নিয়া লিখতে তো বাধা নেই।

রাজনীতি কর্পোরেট বিজনেস না। আমি দুই জায়গারই লোক। দুই জায়গাতেই হাইয়েস্ট জায়গায় খেলার লোক। বগুড়ার মেঠো ভাষায় কথা বলি জন্য আমারে ভালশুন ভাবার কোন কারণ নেই। রাজনীতিও জান দিয়া করছি যেই রাস্তায় আপনাদের অনেকেরই হাটার সাহস বা হিম্মত হয়নি। কর্পোরেটেও দুনিয়ার সেরা জায়গায় কাজ করছি আপনাদের চাইতে বেশি সময় নিয়া। আমার বিরুদ্ধে যারা কামান দাগতেছেন, তাদের বলি, আক্কেল, অভিজ্ঞতা, চর্চা এর কোনটাতেই আমি পিছায়ে নাই। এইটা মাথায় রাইখেন ভাইজানেরা।

জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার উপরে কোন শক্তি নাই ইহজগতে। ওয়াকার সাহেবও কেন আর্মিও বাংলাদেশের জনগনের সার্বভৌম শক্তির অধীন। বাংলাদেশের জনগণ তার সার্বভৌম শক্তির সর্বোচ্চ প্রকাশ করছে। দরকার হলে আবার করবে। সেই জায়গায় যাইতে দেরী হইলেও তারা যাবে।

সংবিধান আমাদের ডেমোক্রেসি সোশ্যাল কন্ট্রাক্টকে রক্ষা করতে পারে নাই। তাই এই সংবিধানকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে যারা তারা বিপ্লববিরোধী। তারা আগের অবস্থা বজায় রেখে লুটপাটের ঐতিহ্যকে চলমান রাখতে চায়।

বিদেশ থেকে যাওয়া সাংবাদিক বঙ্গভবনে যায়া বলছে চুপ্পুরে ডাক, এই শুনা চুপ্পু স্যান্ডেল পরে বাইর হইয়া আসছে। এইসব গালগল্প আপনাদের নাতি নাতনিদের শুনাইয়েন, আমাদের না।

পাঁচই আগস্ট ছাত্র, আর্মি আর বিএনপি সাংবিধানিক ধারাবাহিক রাখার ঐক্যমত করছে। এইটা মিছা কথা। ডাহা মিছা কথা। আর ঐক্যমত করলেই আমাদের সেইটা মানতে হবে ক্যান? বিপ্লবের স্টেকহোল্ডার কি শুধু ছাত্র, বিএনপি আর আর্মি?

বর্তমান রাষ্ট্রের সকল কাঠামোর বিনাশ আর নতুন রাষ্ট্র গড়ে তোলা ছাড়া বাংলাদেশের মুক্তি নাই। বর্তমান রাষ্ট্র কাঠামো আর তথাকথিত সংবিধানের কমফোর্ট জোনে যারা থাকতে চায় তারা আরেকটা হাসিনা বানানোর পাঁয়তারা করতেছে।

আমরা নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়বোই। এইটাই এই গণতান্ত্রিক বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা। আমাদের এই গনতান্ত্রিক নতুন রিপাবলিক তৈরির পথে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে তারা আমাদের রাজনৈতিক শত্রু।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।” 

শেয়ার করুন