যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ট্রেনে এক নারীর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২২ ডিসেম্বর সকালে এ ঘটনায় ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই নারী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। আগুন দেওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার শিকার নারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ বলেছে, গত ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই নারী ব্রুকলিনের কনি আইল্যান্ড-স্টিলওয়েল অ্যাভিনিউ সাবওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের ভেতরে স্থির হয়ে বসে ছিলেন। একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি শান্তভাবে তার কাছে এসে লাইটার দিয়ে ওই নারীর পরনের কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগে দু’জনের মধ্যে কোনো ধরনের বাগ্বিতণ্ডা হতে দেখা যায়নি। এই দুই নারী-পুরুষ আগে থেকে একে অন্যকে চিনতেন বলেও মনে করছে না পুলিশ।
স্টেশনে টহলে থাকা পুলিশের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান। আর ওই ব্যক্তি ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। এক প্রত্যক্ষদর্শী তার মুঠোফোনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এতে দেখা গেছে, যেখানটায় ওই নারী পুড়ছিলেন, তার থেকে কয়েক কদম দূরে প্ল্যাটফর্মের বেঞ্চের ওপরে এক ব্যক্তি বসে আছেন। তার পরনে ধূসর রঙের একটি হুডি। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির পরনেও একই পোশাক দেখা গেছে।
বেঞ্চে বসে থাকা ওই ব্যক্তিই হামলাকারী কি না, তা নিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে পুলিশ বলেছে, ঘটনার সময় ওই ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন মনে করার কোনো কারণ ছিল না। পুলিশ তখন ওই নারীকে সহায়তার জন্যই ছোটাছুটি করছিল।
পুলিশ বলছে, কর্মকর্তারা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। জরুরি সেবা কর্মীরা ঘটনাস্থলেই ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বলছে, তারা এখনো ঘটনার শিকার ওই নারীর পরিচয় এবং হামলার কারণ জানতে তদন্ত করছে।
পুলিশের হিসাব অনুসারে, সপ্তাহের প্রতি কর্মদিবসে পাতাল ট্রেনে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ ভ্রমণ করে। সেখানে সহিংস অপরাধের ঘটনা অপেক্ষাকৃত বিরল। ২০২৪ সালের নভেম্বর নাগাদ পাতাল ট্রেনে ৯টি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আর ২০২৩ সালের একই সময়ে পাঁচটি হত্যাকাণ্ড হয়।