১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৫:৫৫:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘সহিংসতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার একমাত্র উত্তর ভালোবাসা’ বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে- ড. ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ৩-দিনব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’ সুন্দরবন দিবসের বিষয়ে তরুণ প্রজন্ম কিছুই জানে না! ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন দুবাই পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে- ড. ইউনূস মানবাধিকার লঙ্ঘনে শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত- ভলকার টার্ক হজযাত্রীদের সঙ্গে শিশুদের নিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞা


পাঁচ কিলোমিটারে উবার ভাড়া ৩২১ ডলার!
হাবিব রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০১-২০২৫
পাঁচ কিলোমিটারে উবার ভাড়া ৩২১ ডলার! হাবিব রহমান


উবার কল করার পর ভাড়া দেখাচ্ছিল ৮৯ ডলার। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে তিনি চেক করে দেখতে পান, তার অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হয়েছে ৩২১ ডলার, যা ছিল নির্ধারিত ভাড়া থেকে চারগুণ বেশি। এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিলে অবশ‍্য বাড়তি টাকাটা ফেরত দেয় উবার কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক পোস্টের বরাতে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। খবরে জানা যায়, ২৮ বছর বয়সী সোফি গ্রিন নিউজার্সির বাসিন্দা। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন উদযাপন করতে মিডটাউন ম্যানহাটনে গিয়েছিলেন। গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ছিল ভরসা। মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। উবারে ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগলো দুই ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তার বিল এসেছে ৩২১ ডলার। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চারগুণ!

সোফি জানান, নিউ জার্সির উইহকেনে তার বাড়ি। সেদিন একটি উবার এক্সএল বুক করেন তিনি। সাড়ে ৫ কিলোমিটার যাত্রার জন্য উবার প্রাথমিকভাবে ৮৯ ডলার (১০ হাজার ৫৯০ টাকা) চার্জ দেখায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫ কিলোমিটারের রাস্তা যানজটে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগে যায়। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি অ্যাপ চেক করে বিশাল চার্জ দেখে বিস্মিত হয়ে যান। সোফি বলেন, ‘উবারের বিল দেখে আমার মুখ হা হয়ে গিয়েছিল। এর ওপর আমাদের কোনো হাত ছিল না। এমন না যে আমরা গাড়িচালককে কোথাও থামতে বলছিলাম বা গাড়ি থামিয়ে অন্য কিছু করছিলাম।’

এতক্ষণ সড়কে আটকে থাকায় উবার থেকে সোফিকে বেশ কয়েকবার বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় বলা হয়, গাড়িটি অনেকক্ষণ স্থির দাঁড়িয়ে আছে। সোফি নিরাপদ আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। তবে ভাড়া এতো বাড়বে সে বিষয়ে কোনো সতর্কতা দেয়নি বলে জানান সোফি। তিনি বলেন, ‘তারা (উবার) আমাকে একাধিকবার বার্তা পাঠিয়েছিল। বার্তায় বলা হয়, মনে হচ্ছে আপনার গাড়ি অনেকক্ষণ ধরে থেমে আছে। আপনি কি নিরাপদ? সোফি সঙ্গে সঙ্গে এই উদ্ভট চার্জের বিষয়ে উবারকে অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সমাধান পাননি। পরদিন সকালে এ নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন তিনি। এর আধা ঘণ্টার মধ্যে উবার তাকে অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দিয়ে ভাড়ার অঙ্ক ৮৯ ডলারে নামিয়ে দেয়, যা প্রথমে জানানো হয়েছিল।

সোফি অভিযোগ করেন, ‘তারা (উবার) হয়তো ভাবছে, অনেকে এটা খেয়াল করবে না বা অনেকে মনে করে বছরের এই সময়ে ভাড়া বেশি হবে।’ বিষয়টি নিশ্চিত করে উবারের মুখপাত্র জোশ গোল্ড বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের সমস্যাগুলো বুঝি। তাই তাদের আংশিক অর্থ ফেরত দিয়েছি।’ একই কারণে সোফির মতো আরো কয়েকজন যাত্রীর ভাড়া অনেক বেড়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।

সব ‘ঘৃণা’ খারাপ নয়!

মানুষের কর্মকাণ্ডই মানুষকে আপন করে আবার দূরেও ঠেলে দেয়। তাদের কর্মকাণ্ড যেমন ভালোবাসতে সাহায‍্য করে, ঠিক তেমনি ঘৃণা করতেও বাধ্য করে। তবে সব ঘৃণা কিন্তু খারাপ নয়। কথাটা বল্লাম সম্পতি কানাডার একজন সুপরিচিত বাংলাদেশির একটা ফেসবুক স্টেটাস দেখে। তার স্টাটাসটা নিম্নরূপ।

ইতিমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকার বাঙালি কমিউনিটিতে নতুন এক কালচার শুরু হয়ে গেছে। এ কালচার হচ্ছে ঘৃণা নিক্ষেপের কালচার। চোরের দল ভয়ে এখন আর প্রকাশ্যে বের হয় না। বাজার করতে বাঙালি গ্রোসারিতে যায় না। রেস্টুরেন্টে যেতে পারে না। তাদের নিকটাত্মীয়রা বিয়েশাদির অনুষ্ঠানে কিংবা পারিবারিক পার্টিতেও তাদের কেউ আর ডাকছে না। কি জানি যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় এ ভয়ে সবাই ভীত! চোরদের উপস্থিতিতে পুরো পার্টি পণ্ড হয়ে যেতে পারে এ আশঙ্কায় সবাই উৎকণ্ঠিত। এসব বাটপারের এখন আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেও মানুষ লজ্জা পাচ্ছে। আমি মনে করি, এ ভীতিটা থাকুক। এটা দিয়ে প্রতারকদের সন্তানাদিকে বোঝাতে হবে, তাদের বাপ অবৈধ উপায়ে সহায়-সম্পত্তি করেছে। গাড়িবাড়ি করেছে। তাদের বাপ একটা বাটপার। এজন্য সমাজে তাদের পরিবারে স্থান নেই, সম্মান নেই।

আসুন, বাংলাদেশ থেকে জনগণের টাকা লোপাট করে প্রবাসে এসে বিলাসী জীবনযাপন করছে, এসব পলাতক চোর-বাটপারকে ঘৃণা করি। তাদের উদ্দেশে নিউইয়র্কেও ঘৃণা চর্চা করি।

কিছু না কিনে স্টারবাকসের সুবিধা নেওয়া যাবে না

স্টারবাকস জানিয়েছে, আউটলেটগুলোর সুবিধা নিতে গ্রাহককে কিছু না কিছু কিনতে হবে। এর আগে এসব শপে যে কেউ টয়লেট ব্যবহার করতে পারতেন। এখন তারা পণ্য কেনার আগে টয়লেট বা স্টারবাকসের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কফি চেইনটি গত সপ্তাহে নতুন আচরণবিধি প্রকাশ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রতিটি দোকানে প্রদর্শিত হবে। উত্তর আমেরিকার ১১ হাজারের বেশি দোকানে ২৭ জানুয়ারি থেকে নতুন নীতিগুলো কার্যকর হবে। স্টারবাকস ৮৪টি দেশে ৩৬ হাজার আউটলেট পরিচালনা করে।

টুইন টাওয়ার হামলা বনাম পিআইএর বিজ্ঞাপন

আইফেল টাওয়ারের দিকে উড়োজাহাজ ছুটে যাচ্ছে-বিজ্ঞাপনে এমন চিত্র দেখিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তানের পতাকাবাহী এয়ারলাইনস পিআইএ। ফ্রান্সের রাজধানীতে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) ফ্লাইট ফের চালু হচ্ছে, এটা প্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিজ্ঞাপনটির ক্যাপশনে লেখা ছিল- ‘প্যারিস, আজ আমরা আসছি।’

এই বিজ্ঞাপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেককে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

‘এটা কি কোনো বিজ্ঞাপন, নাকি হুমকি?’-সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এক ব্যবহারকারী এমনটাই লিখেছেন। ক্ষুব্ধ আরেক ব্যবহারকারী পিআইএর উদ্দেশে লিখেছে- ‘তোমাদের মার্কেটিং ম্যানেজারকে বরখাস্ত করো।’ দিনকয়েক আগে এক্সে প্রকাশের পর এখন পর্যন্ত বিজ্ঞাপন চিত্রটি ২ কোটি ১০ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে, চলছে তুমুল সমালোচনাও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। উপ-প্রধানমন্ত্রী ইশহাক দার নিজেও বিজ্ঞাপন চিত্রটির কড়া সমালোচনা করেছেন বলে পাকিস্তানের জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ‍্য, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলায় সন্ত্রাসীরা যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে তা দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসির পেন্টাগন ও নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলা চালিয়েছিল, যে ঘটনায় প্রাণ যায় প্রায় ৩ হাজার মানুষের।

পাকিস্তানি এক সাংবাদিক ওমর কুরাইশি বলেছেন, পিআইএর বিজ্ঞাপনটি তাকে ‘স্তম্ভিত’ করে দিয়েছে।

কিংওয়াহ অথেনটিক হালাল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট

দূর থেকে সাইনবোর্ড দেখলে আর দশটা রেগুলার চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মতোই মনে হবে। আসলে এটা সম্পূর্ণ হালাল একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। বয়সের হিসাবে প্রায় ৫০ বছর। দুইবার মালিকানা পরিবর্তনের পর এখন পুরোটাই হালাল রেস্টুরেন্ট। তবে আদি চাইনিজ শেফই রয়ে গেছে। তবে প্রোডাক্টগুলো হালাল। ভেতরে চমৎকার ছিমছাম সুন্দর পরিবেশ। সব রেগুলার চাইনিজ খাবার আছে। তবে আমার কাছে যা ভালো লেগেছে তাহলো স্পেশাল ফ্যামিলি প্যাকেজ। তিন বা ছয়জনের প্যাকেজে ৬ বা ৯ জন অনায়াসে খেতে পারবেন। তিনজনের ফ্যামিলি প্যাকেজে আমরা চারজন অ্যাডাল্ট সহজেই পেট পুরে খেয়েছি। তারপরও কিছুটা গো করা গেছে। আমাদের মেনুতে ছিল এপিটাইজার, স্যুপ, ফ্রায়েড রাইস, লো মিন, কম্বিনেশন প্লেটস, ভেজিটেবল আইটেম, বিফ, চিকেন, স্পেশাল ফ্যামিলি মিল, লাঞ্চ স্পেশালসহ প্রচুর আইটেম।

ঝকঝকে ওয়াইড কিচেন। বসে খাওয়া, টেক আউট ছাড়াও তারা ক্যাটারিং করে থাকেন। জ্যাকসন হাইটস থেকে ৫-৬ মিনিট ড্রাইভিং দূরত্বে নিরিবিলি পরিবেশে খাবার সত্যিকার ভাবেই উপভোগ করার মতো।

সামনের গলিতে প্রচুর পার্কিং আছে।

ঠিকানা: ৬৯-৪৪ নর্দান বুলেভার্ড, কুইন্স, নিউইয়র্ক-৪৪৩৯৯, ফোন-৭৪৬৬৫১৮০৮০

২০ জানুয়ারি ২০২৫

শেয়ার করুন