৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন


২৯ মিলিয়ন ডলার পেলো কারা?
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০২-২০২৫
২৯ মিলিয়ন ডলার পেলো কারা? ডোনাল্ড ট্রাম্প


বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান য্ক্তুরাষ্ট্র থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান পেয়েছে। রাজনৈতিক পরিমণ্ডল শক্তিশালীকরণের প্রকল্পে এই অনুদান দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য প্রকাশের পর এ নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কোন প্রতিষ্ঠান বা কারা এই অনুদান গ্রহণ করেছে। 

ট্রাম্পের তথ্য প্রকাশের পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যেও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। কারণ এসব সংস্থা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদান নিয়ে চলে। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প যে অনুদানের তথ্য দিয়েছেন, তা দুই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসে থাকলেও নির্বাচন নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে খরচ হয়ে থাকতে পারে। কারণ নির্বাচন নিয়ে কাজ করে এমন অনেক সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তা পেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৎপর ছিল। এছাড়া নির্বাচনের পরও কোনো কোনো সংগঠন সেমিনার, গোলটেবিলসহ বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে। 

এদিকে ২২ ফেব্রুয়ারি ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে ভারতে ইউএসএইডের তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এতে বলা হয়, ভারতে নয়, বরং ২০২২ সালে ওই অর্থ বাংলাদেশে অনুমোদন দিয়েছিল ইউএসএইড। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ফ্যাক্ট চেকে ওই ২ কোটি ১০ ডলার তহবিলের মধ্যে অন্তত ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার ইতিমধ্যে বিতরণ করেছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অনুদান নির্দিষ্ট দেশগুলোতে দেওয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে ভারতে ইউএসএইডের অর্থায়নে সিইপিপিএসের কোনো প্রকল্প পরিচালিত হয়নি। ২ কোটি ১০ লাখ ডলার তহবিলের সঙ্গে ইউএসএইড’র অনুমোদিত অনুদান কেবল সিইপিপিএসের মাধ্যমে (যার ফেডারেল অ্যাওয়ার্ড নম্বর ৭২০৩৮৮২২এলএ০০০০১) বাংলাদেশে দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালের জুলাইয়ে ‘আমার ভোট আমার’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য যা অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই বছরের নভেম্বরে এই প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘নাগরিক (সিটিজেন) প্রোগ্রাম’। গত বছরের ডিসেম্বরে ইউএসএইডের ঢাকার উপদেষ্টা লুবাইন মাসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নাগরিক প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ১০ লাখ ডলার অনুদান পাওয়ার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছিলেন। এই অনুদানের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার প্রকল্পের পেছনে ব্যয় হয়েছে। অনুদান পাওয়া তিন সংস্থা হলোÑ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস), ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)।

ইউএসএইডের বাংলাদেশের তহবিল প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। তিনি মাইক্রো গভর্ন্যান্স রিসার্চ (এমজিআর) নামে একটি গবেষণা সংস্থার পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। আইনুল ইসলাম আইএফইএসের সিনিয়র কনসালটেন্টের দায়িত্বেও রয়েছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবের (এডিএল) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হন তিনি।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, হ্যালো বাংলাদেশ ২.০! গত দুই বছরে এমজিআর, সেভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তরুণদের জন্য ৫৪৪টি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। কর্মশালার আকার, প্রশিক্ষণ, কথোপকথন, সামিট, অ্যাকশন প্রকল্পসহ তরুণ গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব এবং নাগরিক সংশ্লিষ্টতার জন্য সরাসরি ২২১টি অ্যাকশন প্রকল্প, ১৭০টি গণতন্ত্র সেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ হাজার ২৬৪ তরুণের কাছে পৌঁছেছিল এমজিআর, সেইভ ইয়ুথ ও ডিএফটিপি!

এসব কর্মসূচির বাস্তবায়ন নাগরিক প্রোগ্রামের আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস) এবং ইউএসএইড বাংলাদেশের উদার সমর্থন ও অংশীদারিত্বে সম্ভব হয়েছে বলে লেখেন তিনি। ইউএসএইড ও আইএফইএসের সহায়তায় এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সিইপিপিএসের মাধ্যমে নাগরিক প্রোগ্রামে ইউএসএইডের অর্থায়নের তথ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। ইলন মাস্ক নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি ইউএসএইডের তহবিল বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি একটি ধাক্কা। তবে ল্যাবটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং আমরা আশাবাদী এটি চালু থাকবে।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে এনডিআই সদর দফতর পরিদর্শনের পর ইউএসএইড ঢাকার পলিটিক্যাল প্রোসেসেস উপদেষ্টা লুবাইন চৌধুরী মাসুম লিংকডইনের একটি পোস্টে ইউএসএইডের ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের তহবিলের প্রতিশ্রুতির তথ্য নিশ্চিত করেন। পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এনডিআইয়ের উপস্থিতি না থাকলেও সংস্থাটি ইউএসএইডের ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের সিইপিপিএস/নাগরিক প্রকল্পের অধীনে আইআরআই ও আইএফইএসসহ তিনটি প্রধান অংশীদারদের একটি। এনডিআই...সিইপিপিএস/নাগরিক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশন (পিইএএম) ও টেকনিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট মিশনে (টিএএম) অংশ নিয়েছে; যা আমি পরিচালনা করি। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলেও মাসুম সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এসপিএল শীর্ষক যে প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের অর্থায়নের কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নামে বাংলাদেশে একটি প্রকল্প পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই)। তাদের ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পে ইউএসএইড’র অর্থায়নের তথ্য উল্লেখ রয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দল ও ভোটারদের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে ডিআইয়ের এই প্রকল্প।

উগ্র বামপন্থী কমিউনিস্টদের

২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার সহায়তা নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে এবং ‘উগ্র বামপন্থী কমিউনিস্টদের’ ভোট দেওয়ার জন্যই বাংলাদেশকে ওই অর্থ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ২২ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) বক্তৃতা করার সময় এই কথা বলেছেন ট্রাম্প। কনফারেন্সের পুরো ভিডিওটি নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে ফক্স নিউজ। এক ঘণ্টা ১৩ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওর ৪০ মিনিটের সময় ট্রাম্পকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলতে শোনা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও তিনি ভারতের জন্য খরচ করা ১৮ মিলিয়ন ডলারেরও সমালোচনা করেছেন। 

ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করার জন্য এবং তাদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা ‘উগ্র বামপন্থি কমিউনিস্টদের’ ভোট দিতে পারে। আপনাকে দেখতে হতো, তারা কাকে সমর্থন করছে। ভারত প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের নির্বাচনের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। কেন? কেন আমরা কেবল কাগজের ব্যালট ব্যবহারে ফিরে যাই না? আমাদের নিজস্ব নির্বাচনে সহায়তা করা উচিত, তাদের নয়। এছাড়া এশিয়ার শিক্ষার উন্নতির জন্য ৪৭ মিলিয়ন ডলার এবং নেপালের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ১৯ মিলিয়ন ডলার খরচের কথা উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি গভর্নরস ওয়ার্কিং সেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় বাংলাদেশকে দেওয়া ২৯ মিলিয়ন ডলারের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তা এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউ শোনেনি। তারা পেয়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। তারা একটি চেক পেয়েছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন? আপনার সামনে একটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান আছে। আপনি এখান থেকে ১০ হাজার, ওখান থেকে ১০ হাজার পান। তারপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে ২ কোটি ৯০ লাখ ডলার পান। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন দু’জন মানুষ। আমি মনে করি তারা খুব খুশি এবং তারা খুব ধনী। মহৎ হওয়ার জন্য খুব তাড়াতাড়ি তারা একটি ভালো ব্যবসাবিষয়ক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে চলে আসবেন’।

ট্রাম্পের ঘোষিত ২৯ মিলিয়ন ডলারের খোঁজ পায়নি এনজিও ব্যুরো

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের কোনো সংস্থা ২৯ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা) অর্থায়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল, তা নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক বেসরকারি সাহায্য সংস্থার (এনজিও) নাম এসেছে। তবে ডিআইয়ের জন্য এই খাতে চূড়ান্তভাবে ২৯ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন হয়েছিল কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি সংস্থার ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান পাওয়া বা ছাড়ের তথ্য পায়নি এনজিও-বিষয়ক ব্যুরো।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসর শক্তিশালীকরণের (স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ-এসপিএল) জন্য এই আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশে সক্রিয় বেসরকারি সাহায্য সংস্থার (এনজিও) বৈদেশিক অনুদান ছাড় করে থাকে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মাধ্যমে বাংলাদেশের ৭৬টি এনজিও অনুদান পায়। সে তালিকা পর্যালোচনা করে গত সাত বছরে বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি সংস্থার ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান পাওয়া বা ছাড়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দেওয়া তথ্যের আলোকে আমরা দেখেছি ওই অঙ্কের টাকা বাংলাদেশের কোনো এনজিও পায়নি। সমপরিমাণ টাকা ছাড় হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান পাওয়া ৭৬টি এনজিওর তহবিল পর্যালোচনা করে ওই অঙ্কের টাকা ছাড়ের অস্তিত্ব মেলেনি। বিষয়টি সরকারের উচ্চতর মহলে জানানো হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দু’জন ব্যক্তি পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে এতো বিশাল অঙ্কের টাকা ছাড় হওয়ার সুযোগ নেই। বিদেশি অনুদান বাংলাদেশে আসতে যে আইনি কাঠামো রয়েছে, তা খুবই শক্তিশালী। বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির তহবিল বন্ধের বৈধতা দিতে ট্রাম্প এমন যুক্তি তুলে ধরেছেন বলে মনে করেন তিনি।

২৯ বিলিয়নের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরার আহ্বান সিপিবির

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্স গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার হস্তক্ষেপ বিশেষত সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হস্তক্ষেপের খবর নানাভাবেই প্রকাশিত হয়ে থাকে। এসবের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের জন্য তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য এরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এসব কথা নানাভাবে আলোচিত হয়। সম্প্রতি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘বাংলাদেশের রাজনীতি শক্তিশালী করতে’ বিগত দিনে ২৯ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারা এই টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট না করলেও সুনির্দিষ্টভাবে অখ্যাত দুটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, এসব বিষয়ে আলোচনায় অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে নীরবতা পালন করছে, যা মোটেই কাম্য নয়। বাংলাদেশে কারা এই টাকা পেয়েছে এবং কীভাবে খরচ করেছে, দেশের রাজনীতিতে বা অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা কীভাবে ‘হস্তক্ষেপ’ করেছে-এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেশবাসী জানতে চায়। নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়টি স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে এবং দেশের অভ্যন্তরে, যেকোনো বিদেশি শক্তি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অপতৎপরতা বন্ধে দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন