৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:১৫:৫৬ অপরাহ্ন


আ.লীগের সঙ্গে ছিল এমন যে কারো বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৫
আ.লীগের সঙ্গে ছিল এমন যে কারো বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে


সাবেক আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে ছিল এমন যে কোনো ব্যক্তিকে আন্দোলনবিরোধী বলে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। চলতি বছরের মেতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদনে এ-তথ্য উঠে এসেছে। এমএসএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। 

প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ যে কোনো ব্যক্তিকে আন্দোলনবিরোধী বলে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। এ মাসেও আগের মতই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানকালে গুলি করা ও লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশি আটকের ভয়ে পালাতে গিয়ে দুইজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তেমন না থাকলেও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে দুষ্কৃতকারীদের হাতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনা। এ ছাড়াও জানানো হয়, প্রাপ্ত তথ্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এপ্রিল মাসের মতোই এ মাসেও নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতা যেমন; হত্যা ও আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে, শিশু ও নারীদের প্রতি শারীরিক নির্যাতন বেড়েছে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে হুমকি ও হামলা তথা সাংবাদিকতা এবং মতপ্রকাশের পথ রুদ্ধ করার মতো ঘটনা দিনদিন বেড়ে চলেছে। এ মাসে কারা- হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও রয়েছে। সনাতন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, জমিদখল, বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ড, এমনকি ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সীমান্তে হতাহতের ঘটনা বন্ধ হয়নি বরং বাংলা ভাষাভাষিদের পুশ ইন করার ঘটনা ঘটিয়ে সীমান্ত অস্থিতিশীল করে তোলা হয়েছে। গুলি করে হত্যা ও বাংলাদেশী নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার বেড়ে চলেছে। গণপিটুনির মতো আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনাও বন্ধ হয়নি। ফলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 

এমএসএফের উদ্বেগ

এতিকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনাগুলো ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক চর্চা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমমর্যাদা ও নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়গুলোর নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে এমএসএফ জোর দাবি জানাচ্ছে। এছাড়া মানবাধিকার লংঘনের ধারার চিত্র তুলে বলা হয় যে, এ মাসে গণপিটুনি বেড়েছে। হত্যা ও আত্মহত্যা বেড়েছে। অজ্ঞাত নামা লাশ উদ্ধারের সংখ্যা বেড়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। সীমান্তে পুশ ইন বেড়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।

শেয়ার করুন