অফিস অফ দ্য স্টেট কম্পট্রোলার
নিউইয়র্ক স্টেট প্রায় ৪৮৫ মিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য সাশ্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে শুধু এ কারণে যে, হাজার হাজার প্রবীণ নাগরিককে সময়মতো মেডিকেইড থেকে মেডিকেয়ারে স্থানান্তর করা হয়নি। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে স্টেট কম্পট্রোলার থমাস ডিনাপোলির নতুন এক অডিট প্রতিবেদনে। ফলে যোগ্য নাগরিকদের মেডিকেয়ারে স্থানান্তর না করায় স্টেট সরকার অপ্রয়োজনীয়ভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে।
কম্পট্রোলার দফতরের তথ্য অনুযায়ী, স্টেটের স্বাস্থ্য বিভাগ সেসব নাগরিকদের মেডিকেয়ারে স্থানান্তর করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা ৬৫ বছর পূর্ণ করে এই ফেডারেল কর্মসূচির জন্য যোগ্য হয়ে পড়েছিলেন। মেডিকেইড মূলত স্টেট অর্থায়িত, যেখানে মেডিকেয়ারের ব্যয়ভার বহন করে ফেডারেল সরকার। ফলে মেডিকেয়ারে স্থানান্তর হলে স্টেটের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতো।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এই স্বয়ংক্রিয় রূপান্তর প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল, যাতে কেউ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হন। যদিও ২০২৩ সালে প্রক্রিয়াটি আংশিকভাবে পুনরায় চালু হয়, ‘নিউইয়র্ক স্টেট অব হেলথ’ মার্কেটপ্লেস তা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারেনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১৩ হাজার ৩১৮ জন প্রবীণ মেডিকেয়ারের জন্য উপযুক্ত ছিলেন, অথচ ২০২৫ সালের মধ্যে কেবল ২ হাজার ৬৪৮ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কম্পট্রোলার ডিনাপোলি বলেন, ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ-এর উচিত জেলা সমাজসেবা দফতরগুলোকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে নিশ্চিত করা যে, মেডিকেয়ারে যোগ্য নাগরিকদের যথাসময়ে রূপান্তর করা হচ্ছে। তা না হলে স্টেট এমন খরচ বহন করবে, যা আসলে ফেডারেল সরকার বহন করার কথা।
২০২১ সালের একটি পূর্ববর্তী অডিটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য বিভাগ কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির বাইরের জেলাগুলো ২০২৩ সালে রূপান্তর প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করলেও নিউইয়র্ক সিটি তা শুরু করেছে ২০২৫ সালে। এছাড়া ১১১ জন মেডিকেয়ারযোগ্য কিন্তু স্থানান্তর না হওয়া ব্যক্তির মধ্যে ৭৬ শতাংশকে মেডিকেয়ারে নাম লেখানোর জন্য বলা হয়নি, কারণ স্থানীয় দফতরগুলোর কাছে তাদের যোগ্যতার তথ্য ছিল না।
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এই রূপান্তরের মাধ্যমে বছরে গড়ে ৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হতে পারে, যা রাজ্যের ১০৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের মেডিকেইড বাজেটের তুলনায় খুবই কম। তবুও বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেডারেল ফান্ডিং হ্রাসের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আর্থিক অপচয় প্রতিরোধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তথ্যের ঘাটতি, প্রশাসনিক জটিলতা এবং রূপান্তর প্রক্রিয়ার বিলম্বে নিউইয়র্ক স্টেট হারিয়েছে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য সাশ্রয়। এখন প্রশ্ন হলো-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের এই দুর্বলতা কবে কাটবে?