৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৩৯:২৫ অপরাহ্ন


কিশোর হত্যা মামলায় এমএস-১৩ গ্যাং সদস্যকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৯-২০২৫
কিশোর হত্যা মামলায় এমএস-১৩ গ্যাং সদস্যকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড ২০১৮ সালে কুইন্সে ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে হত্যার দায়ে এমএস-১৩ গ্যাং সদস্য জুয়ান আমায়া-রামিরেজ


নিউইয়র্কের কুইন্সের কিসেনা পার্কে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ১৭ বছর বয়সী কিশোর অ্যান্ডি পেরাল্টাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে, ছুরি মেরে ও গলা চেপে হত্যার দায়ে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সদস্য, ২৭ বছর বয়সী ফ্রেশ মেডোজ, কুইন্সের বাসিন্দা জুয়ান আমায়া-রামিরেজ (ডাকনাম ‘ক্যাডাভার’)-কে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ফেডারেল আদালত ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট অব ইস্টার্ন নিউইয়র্কের বিচারক লা শান ডি’আর্সি হল এই রায় প্রদান করেন। এ মামলায় আরো দুই অভিযুক্ত হলেন ২৫ বছর বয়সী এলমহার্স্ট, কুইন্স-এর বাসিন্দা অস্কার ফ্লোরেস-মেহিয়া (ডাকনাম ‘চামুকো’) এবং ২৪ বছর বয়সী রিচমন্ড, ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা লেইলা কারাঞ্জা। ফ্লোরেস-মেহিয়া বর্তমানে সাজা ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন, এবং লেইলা কারাঞ্জা এর আগেই দোষ স্বীকার করে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রসিকিউশনের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লোরেস-মেহিয়া অনলাইনে একটি ভিডিওতে পেরাল্টাকে ১৮তম স্ট্রিট গ্যাংয়ের হাতের ইশারা (হ্যান্ড সাইন) করতে দেখেন, যেটি এমএস-১৩-এর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্যাং। শুধু এ সন্দেহের ভিত্তিতেই তারা পেরাল্টাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

লেইলা কারাঞ্জাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় পেরাল্টার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাকে কিসেনা পার্কে নিয়ে আসার জন্য। ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল কারাঞ্জা পেরাল্টাকে পার্কে নিয়ে যান, যেখানে ফ্লোরেস-মেহিয়া, আমায়া-রামিরেজ এবং তাদের ১৬ বছর বয়সী এক সহযোগী অপেক্ষা করছিল। পার্কের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তারা পেরাল্টাকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে আমায়া-রামিরেজ পেরাল্টার গলা চেপে ধরেন এবং ফ্লোরেস-মেহিয়া তার মুখে মাটি ঢুকিয়ে দেয়। পেরাল্টা মৃত্যুর আগে বারবার প্রাণ ভিক্ষা চাইছিলেন এবং মা-বাবার নাম ধরে কাঁদছিলেন। এরপর ফ্লোরেস-মেহিয়া তার পিঠে ছুরি চালিয়ে দেয় এবং গার্লফ্রেন্ডের নাম লেখা উল্কি (ট্যাটু) কেটে ফেলে। হত্যার পর অভিযুক্তরা পেরাল্টার মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে এমএস-১৩ গ্যাংয়ের সাইন দেখিয়ে ছবি তোলে এবং তার টাকা নিয়ে মৃতদেহটি একটি ছোট জলাশয়ে ফেলে দেয়। পরদিন সেখানে থেকে পেরাল্টার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিচারক ও প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ জানান, এমএস-১৩-এর মতো সহিংস গ্যাংয়ের সন্ত্রাস দমন করতে কঠোর শাস্তি অত্যন্ত জরুরি। ২০০৩ সাল থেকে এই গ্যাংয়ের শত শত সদস্য ও নেতাকে ফেডারেল অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই মামলার প্রসিকিউশন পরিচালনা করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএস অ্যাটর্নি নাদিয়া মুর, জনাথন সিগেল এবং আনা কারামিজিওস।

শেয়ার করুন