২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বদলাতে বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২২
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বদলাতে  বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট


যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নেওয়া কঠোর অভিবাসন নীতি থেকে সরে আসার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩০ জুন বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানান, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন চাইলে ট্রাম্পের কট্টর মেক্সিকো নীতি থেকে সরে আসতে পারে।

ট্রাম্পের নীতির আওতায় মেক্সিকোর নাগরিক নন এমন যেসব ব্যক্তি দেশটির দক্ষিণের সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, কিন্তু বৈধ হতে পারেননি, তাঁদের খুঁজে বের করে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানো হয়। অভিবাসনসংক্রান্ত আইনি লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর রায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বিপক্ষে গেলে তাঁদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে অনেক অভিবাসী পরিবার প্রিয়জনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আইনজীবীদের মতে, এর ফলে বড় ধরনের বিপদে পড়েন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ট্রাম্পের এমন কঠোর নীতি দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচিত হয়। বাইডেন আগেই বলেছিলেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি এমন নীতি বদলে ফেলবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অভিবাসন নীতি বদলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ বিষয়ে বাইডেন কিছুটা নমনীয় ও মানবিক নীতি গ্রহণের পক্ষে।

গুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস জানান, বৃহস্পতিবার ৫-৪ ভোটে সুপ্রিম কোর্ট বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন আইন পরিবর্তনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় আইন ও নীতিমালা মেনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠাতে পারবেন। তবে তাঁদের বাধ্য করতে পারবেন না।

২০১৯ সালে ট্রাম্প মেক্সিকোবিরোধী অভিবাসন নীতি মাইগ্রেশন প্রোটেকশন প্রটোকল (এমপিপি) গ্রহণ করেছিলেন। বাইডেন ক্ষমতায় এসে এটা বদলে ফেলতে চাইলে টেক্সাসসহ রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তাতে বাধা দেয়। বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। ২০২১ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আদালত বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে রায় দেন। পরে তা সুপ্রিম কোর্টে যায়।

আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিল জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এই নীতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোয় ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনকি বাইডেনের আমলে এখন পর্যন্তপ্রতি মাসে দুই লাখের বেশি মানুষ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। এমপিপি ও করোনা-সংক্রান্ত নীতিমালার আওতায় তাঁদের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে।

এরপরও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের মরিয়া চেষ্টা থামেনি। গত সপ্তাহেও মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ৫৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। টেক্সাসের সান আন্তোনিও শহরে সড়কের পাশে একটি পরিত্যক্ত ট্রাকে এসব মরদেহ পড়ে ছিল। মনে করা হচ্ছে, তীব্র গরমে খাবার-পানি না পেয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের আমলের অভিবাসন নীতি পরিবর্তনে সুপ্রিম কোর্টের সবুজ সংকেত দেওয়ার ঘটনার প্রশংসা করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ কাউন্সিল। কাউন্সিল জানিয়েছে, এই নিষ্ঠুর নীতি বাতিল করতে বানোয়াট যুক্তিতর্ক না শুনে সুপ্রিম কোর্ট সঠিক কাজ করেছেন।


শেয়ার করুন