০৪ মে ২০১২, শনিবার, ০২:২২:৫৬ পূর্বাহ্ন


১৪২ রানে জিতল আফগানরা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে
চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে হার বাংলাদেশের
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৩
চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজে হার বাংলাদেশের


তামিম একা ছিলেন না। আর ছিলেন সকলেই। এরপরও আফগানদের বিরুদ্ধে আরেকটি পরাজয় এড়ানো গেল না। শুধু পরাজয়ই নয়, বাংলাদেশ যে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হাটু কাপতে থাকে তারই এক জ্বলজ্যান্ত স্বাক্ষর রেখে তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই ম্যাচ হেরে নিজ মাঠে সিরিজও হারালো বাংলাদেশ। 

আসলে বিশ্বকাপের পূর্বে আফগানরা আরো একটা উপকার করে দিয়ে গেল। সেটা বাংলাদেশ দলের অভ্যন্তরীন বিষয়টা। ভয়বহ এক চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তারা পারফরমেন্স দিয়ে। এটা কী হাতুরাসিং এর অর্ন্তবর্তির সুফল সেটা কে জানে। তবে অভিযোগের তীর তার দিকেই। সিনিয়র খেদাও এটা হাতুরার কোচিং পেশার একটা অন্যতম বৈশিষ্ট। এর আগের বার মাশরাফির ক্যারিয়ার খেয়ে এরপর দলকে মাঝপথে রেখে হঠাৎ উধাও। বিসিবি কোথা থেকে আবারও তাকে উড়িয়ে এনেছে। এবার গোটা টিমেই একটা অস্বস্থি। নতুবা নিজ মাঠে যেখানে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া,ভারতকে নাকানি চুবানি খাওয়ায়ে আসছে বাংলাদেশ। সেখানে আফগানদের মত অনভিজ্ঞ একটি দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সে কি করুণ হাল। 

চট্টগ্রামে অনুষ্টিত এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর অধিনায়ক তামিম নাটক। কিন্তু এরপরও দলে যারা রয়েছেন তাদের উপর হাতুরাসিং ও বিসিবি’র অনেক ভরসা। এই হলো তার নমুনা। প্রথম ব্যাটিং করে আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ৩৩১/৮ রান। এরমধ্যে দুই ওপেনারের আফগান রেকর্ড ২৫৬ রান। বাংলাদেশের বোলাররা পাত্তাই পেলেন না। দন্যতা, দেখালো বোলিংয়েও। এরমধ্যে রহমতুল্লাহ গুরবাজের ১২৫ বলে ১৪৫। এবং ইব্রাহীম জারদানের ১০০ রান উল্লেখযোগ্য। 

এরপর বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ম্যাচের ন্যায় চরম ব্যাটিং বিপর্যয় আবারও। এবার ৭২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই পরাজয় নিশ্চিত হয়। বাকী সময়ে মুশফিক কিছুক্ষন লড়াই করে দলীয় স্কোর ১৮৯ যে যেয়ে শেষ করেন। মুশফিক সর্বোচ্চ ৬৯ করেন। এছাড়া মিরাজের ২৫ রান উল্লেখযোগ্য। ফলে ১৪২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতে নেয় সফরকারী আফগানরা। 


শেয়ার করুন