২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন
সংগ্রামের সাথে আপসকামিতা সম্মান বয়ে আনবে না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০১-২০২৩
সংগ্রামের সাথে আপসকামিতা সম্মান বয়ে আনবে না শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেছেন, গণমানুষের সংগ্রামের সাথে আপসকামিতা কারো জন্যই সম্মান বয়ে আনবে না। জনগণের সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে বিচ্যুত হলে তা ইতিহাসের দায় মোচন করতে পারবে না, এটাই ইতিহাসের  শিক্ষা। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এসব কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন স্কুল ছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত হন। তার বাবা মরহুম আলহাজ্ব আবদুল মজিদ বাংলাদেশ রেলওয়ের এক জন সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন এবং বাবার চকরির সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে তার বেড়ে উঠা এবং শিক্ষা জীবন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামসহ সামরিক শাসন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পারর্তীতে তিনি জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে যোগদান করেন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক, পরবর্তীতে জেএসডি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং বর্তমানে জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী ডায়াবেটিক সমিতি এবং ফেনী সমিতি ঢাকার আজীবন সদস্য। শুভেচ্ছা সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানী, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, মলয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। তার স্ত্রী শাহানারা হোসেন ডেইজী একজন সমাজকর্মী। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব এর সাথে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। গত ২০১৮ এর জাতীয় নির্বচনে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে ঢাকা-১৮ (উত্তরা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে তিনি প্রগতিশীল ও গণতন্ত্রমনা ৭টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গনতন্ত্র মঞ্চ নামক নতুন রাজনৈতিক ফ্ল্যাটফরম গড়ে তোলায় শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীদের অন্যতম। বর্তমানে তিনি দলীয় দায়িত্ব ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা পর্ষদ এর দায়িত্ব পালন করছেন।

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করা হচ্ছে না। জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে সরকার গঠিত হচ্ছে না, ফলে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে সরকার অবৈধ হয়ে পড়েছে, জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের জবাবদেহি নিশ্চিত হচ্ছে না। এই তুঘলকী অবস্থায় জাতীয় রাজনীতি প্রচণ্ড জটিল হয়ে পড়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সর্বস্তরের জনগণের কাছে সম্পূর্ণ পরিষ্কার বলেই আমি মনে করি। এক দিকে ভোটবিহীন, জনগণের সমর্থনবিহীন অবৈধ সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে দলীয়করণের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। উন্নয়নের নামে মেঘা লুটপাটের ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছে। দলীয় সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য লাগামহীন বৃদ্ধি করে জনগণকে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। গুম, খুন, হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ, শিশুধর্ষণ নিত্য নৈমত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র সমাজের উপর হতে নিচ পর্যন্ত ঝেকে বসেছে। স্বাধীনতার ঘোষণা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার ভুলুণ্ঠিত। রাজনীতির নামে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা বা পুন:দখলের নিত্য নতুন কৌশলের আবির্ভাব ঘটছে। তবে আশার বিষয় হলো এরি মধ্যে ফ্যাসিবাদী শাসক ও শাসন ব্যবস্থা বদলিয়ে রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি শানিত হচ্ছে। শ্রেণী-পেশা, শ্রম-কর্ম নির্বিশেষে উৎপাদন উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত সমাজ শক্তিসমূহ উৎপাদন বন্টন নীতি নির্ধারণসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের দাবি দিন দিন মূখ্য হয়ে উঠছে।

দেশ: বিএনপি’র শাসনামলে কি দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: কোন শাসক দলই ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়াার জন্য অপরিহার্য কার্যক্রমের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ফলে জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকার বরাবর উপেক্ষিত থেকেছে। বিদ্যমান গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা অক্ষত রেখে সমাজের কোন গভীর সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। এই স্বৈরাচরী ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য বজায় রেখে কোন দলের পক্ষেই গণমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে না। অতীতমুখীতা রাজনৈতিক দৃষ্টান্ত হতে পারে না। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হয়। আমরা সতর্কতার সাথে তা অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

দেশ: এ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন কিন্তু এতে আপনারা কোন ফল পাচ্ছেন না কেন?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক ময়দানে সাহসী সংগ্রামী নতুন এক গণশক্তির উত্থান ঘটছে। শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল-পুন:দখলের রাজনীতিই, কেবল সহজ ফলাফল পাওয়ার প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু প্রকৃত অর্থে কোন আদর্শিক তথা রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা বদলের রাজনীতি দিন-ক্ষণ, মাস, বছর হিসাব করে তার গন্তব্যে এগিয়ে যেতে পারে না। এজন্য প্রয়োজন লাগাতার দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলন সংগ্রামের।

দেশ: সারাদেশে কয়েকটি সমাবেশের মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয় বিএনপি বা আপনাদের জোটের পক্ষে গণজোয়ার বইছে!

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন : গণজোয়ারকে গণজাগরণে রূপান্তর করে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারের পতন এবং শাসন ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অচিরেই ভিন্নমাত্রায় উপনীত হবে। অচিরেই গণঅভ্যুত্থানের বসস্ত শুরু হবে। আমরা কোন ব্যক্তি কিংবা লাশের পূজারী নই। আমরা আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে গণজোয়ার, গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

দেশ: আপনাদের জোটের কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতির ব্যাপারে কেমন আশাবাদী?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি এখন সমাজের জন্য  অনিবার্য হয়ে পড়েছে, রাজনীতিকে উচ্চস্তরে প্রতিস্থাপিত করতে আমাদের কর্মসূচিই একমাত্র বিকল্প রাজনৈতিক মডেল। আমরা সংখ্যাগত উন্নতির চাইতে গুণগত উন্নতিতে বিশ্বাস করি করি এবং আমরা মনে করি আমাদের জোটের দেয়া কর্মসূচির প্রতি জনগণের আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিবর্তনকামী জনগণের সম্মতি আমাদের জোটের পক্ষে ব্যাপকতা লাভ করবে।

দেশ: এ সরকার কি কোন উন্নয়ন করে নি? পদ্মা সেতু বাংলাদেশ নিজের অর্থে করেছে। এটা কি বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক না?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: উন্নয়ন অবশ্যই হচ্ছে, কিন্তু সেই উন্নয়ন গণতন্ত্র বা মানবাধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়ে করতে পারবে না। উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে গণতন্ত্র এবং সুশাসন। গণতন্ত্র ছাড়া কোন উন্নয়ন টেকসই হতে পারবে না। প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন বা উন্নয়নের ফানুষ উড়ানো এক কথা নয়। বিশ্বব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাধিত হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে চটকদারি উন্নয়ন জনগণের মাথার উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার সামিল। শ্রীলংকার অবস্থা এর জলন্ত উদাহরণ।

দেশ: আপনি কি মনে করেন জনগণ বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন বা আপনাদের নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষে আছে?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: বিদ্যমান শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাজনীতিতে উপরিস্রোত এবং অন্তস্রোত বলে দু’টি ধারা চলমান আছে। সমাজের অন্তস্রোতই পরিবর্তনের নিয়ামক। আমরা মনে করি ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ সমাজের অন্তস্রোতে কম্পন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে।

দেশ : যে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন আপনারা বা জোট ক্ষমতায় গেলে কি তা রক্ষা করবেন?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: আমাদের অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনায় শ্রমজীবী কর্মজীবী পেশাজীবী মানুষের অংশীদারিত্ব এক নতুন ধরনের গণশক্তি করে তুলবে। এই গণশক্তি সকল প্রকার দুর্বলতা বা  দোদুল্যমানতাকে অতিক্রম করতে সহায়ক হবে। আমাদের দাবি, ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি বিশ্বস্ত থাকার ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা তথাকথিত ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বা দখল, পুন:দখলের হালকা দাবি নিয়ে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবো না।

দেশ:  বিএনপি কি আপনাদের সাথে রাজপথে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখবে?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: গণমানুষের সংগ্রামের সাথে আপসকামিতা কারো জন্যই সম্মান বয়ে আনবে না। জনগণের সাথে দেয়া প্রতিশ্রুতি থেকে বিচ্যুত হলে তা ইতিহাসের দায় মোচন করতে পারবে না, এটাই ইতিহাসের  শিক্ষা। 

দেশ: সরকারকে আপনার পরামর্শ কি?

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়া সকল চক্রান্তকে পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্থান্তর করাই হবে সকলের জন্য মঙ্গলজনক। আমাদের দেশে আদর্শিক বা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি পরিচালনার উদাহরণ একেবারেই নগণ্য। সমসাময়িক সংকট এবং প্রতিসিহংসার রাজনীতি থেকে রক্ষা পেতে হলে সকল দল-মহল, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনবিদ ইত্যাদির সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। জাতীয় সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র, শাসন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নিবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিতদের হতে ক্ষমতা হস্তাস্তর করবে।

দেশ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন: আপনাকে এবং আপনার মাধ্যমে দেশ পত্রিকাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন