২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:৫৬:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


দেশকে মাহমুদুর রহমান মান্না
বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনগুলি ছিল গণঅভ্যুত্থানের মতো
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০২-২০২৩
বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনগুলি ছিল গণঅভ্যুত্থানের মতো মাহমুদুর রহমান মান্না


নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনগুলি গণঅভ্যুত্থানের মতো হয়েছে। দেশের জনগণ এসব সমাবেশে যে যেভাবে পেরেছে অংশ নিয়েছে। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার, অভিজ্ঞতা। একত্র হওয়াটা হচ্ছে বিস্ময়কর। 

বিএনপির সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সাত দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ করেছে। জোটভুক্ত দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন। সাম্প্রতিক সময়ে মঞ্চের অন্যতম শরিক দল গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে নিয়ে কিছু বক্তব্য পত্রপত্রিকায় এসেছে। এ নিয়ে অনেকে এমন প্রতিবেদনও হয়েছে। বলা হচ্ছে, বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে বিরোধ দেখা দিয়েছে। নুর সম্পর্কে জোটে নানা সন্দেহ ও সংশয় রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আবার এর পাশাপাশি বলা হচ্ছে যে এতো বিশাল জোট হয়েছে, কিন্তু এর শরিকরা অতোটা ঝাঁকুনি দিতে পারবে না আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে। পারবে না বিএনপি যে লক্ষ্য নিয়ে এসব শরিককে নিয়ে মাঠে নেমেছে তার ফল ঘরে তুলে আনতে। এসব বিষয় নিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়কারী মাহমুদুর রহমান মান্নার মুখোমুখি হয়েছেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ। 

দেশ: বিএনপির পাশাপাশি আপনাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যে আপনারা কি দেখছেন. কতোটা সফল হয়েছেন আপনারা? 

মাহমুদুর রহমান মান্না : না না, সফল বা বিফল সে ব্যাপারে এখন কোনো ধরনের মন্তব্য করার সময় এখনো আসেনি। এতো তাড়াতাড়ি কিছু বলা যাবে না। আমরা এতোদিন ধরে যুগপৎ আন্দোলন করার জন্য একটি প্ল্যাটফরম তৈরি করেছি। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এটা করা সম্ভব হয়েছে। এটা একটা সাফল্য। বিরাট সাফল্য এই জন্যই বলছি এতো দল-মতকে নিয়ে একসাথে আন্দোলন করা একটি বিরাট সাফল্য। তাছাড়া বিএনপি গত বছরে সারা দেশে বিভাগীয় সম্মেলন করেছে, সেগুলি একেকটি গণঅভ্যুত্থানের মতো হয়েছে। দেশের জনগণ এসব সমাবেশে যে যেভাবে পেরেছে অংশ নিয়েছে। এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার, অভিজ্ঞতা। একত্র হওয়াটা হচ্ছে বিস্ময়কর। 

দেশ: কিন্তু সরকারি দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলে যাচ্ছেন বিএনপির সাথে আসা এসব ছোটখাটো দল আসলে কিছুই করতে পারবে না..কি বলেন আপনি..?

মাহমুদুর রহমান মান্না: সরকার কি বললো না বললো তাতে আমার কি? সরকার তো দুনিয়ার মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছেই। তাতে আমার কি? 

দেশ: গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে..কি জোটে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে?

মাহমুদুর রহমান মান্না: একটু ইততস্ত বোধ করে...আচ্ছা আপনি এধরনের সাক্ষাৎকার নিতে যাচ্ছেন কেন? আপনি আমার সাথে কথা বলতে চাইলেন বলছি। আমার ভিউটা আমি বলবো। কিন্তু আপনি যদি সরকারের ভিউটা নিয়ে টুইস্ট করতে চান তাহলে...আমি সাক্ষাৎকার দিবো না..। 

দেশ: আসলে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বক্তব্য নিয়ে আপনি একটি দৈনিকেও কথা বলেছেন বলে জানতে চাইছি। 

মাহমুদুর রহমান মান্না: না, নুরের বক্তব্য নিয়ে তো আমি একটি দৈনিকে কথা বলেছি..উত্তর দিয়েছি। নুর তো সেদিন সমাবেশে ছিল। গত শুক্রবারও বৈঠক হয়েছে। গণঅবস্থান কর্মসূচি নিয়েও তো কোনো সমস্যা হয়নি। আচ্ছা দেখুন এতোগুলি পার্টি একত্র হয়েছি। এখানে মতপার্থক্য তো থাকবেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাও থাকবে, সেটা আছে.. কিন্তু সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এটার ব্যাপারে আমরা সব একমত। 

দেশ: এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছেন। এভাবে মাঠে আন্দোলন করে আপনারা আপনাদের দাবি আদায় করতে পারবেন?

মাহমুদুর রহমান মান্না: আমরা আশা করি দৃঢ়ভাবেই। এটা আদায় করেই ছাড়বো..। 

দেশ: আচ্ছা, আপনারা একের পর কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার বলছে তারা এসব কর্মসূচিতে বাধা দিবে না। এ ব্যাপার আপনার কোনো মন্তব্য আছে? 

মাহমুদুর রহমান মান্না: আসলে কমেন্ট কি করবো বলেন...এতোগুলো বছর এ সরকার যেভাবে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় আছে..বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এ সরকারের লিগ্যালিটি নেই। এ সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্যই নয়। আমেরিকাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্পষ্টই বলেছে এধরনের নির্বাচন তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না। এর মধ্যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতোই খারাপ যে..এটা আমার আর ব্যাখ্যার দরকার নেই। ওষুধ আমদানি করবে টাকা নেই। পেঁয়াজ কেনার পয়সা নেই। এ সরকারকে যেতেই হবে। 

দেশ: সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলে যাচ্ছেন আপনারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন যেন আবারো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কি বলবেন...আপনি কি বলবেন যে, আপনারাও নিষেধাজ্ঞার আশায় আছেন?

মাহমুদুর রহমান মান্না: মৃদু রেগে গিয়ে..এসব প্রশ্নট্রশ্ন করবেন না, আসলে এটা একটা ফোর টোয়েন্টি সরকার। এদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার ভাষা নেই।

শেয়ার করুন