২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ১০:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বাইডেনের স্টুডেন্ট লোন মওকুফের প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের ‘না’
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৭-২০২৩
বাইডেনের স্টুডেন্ট লোন মওকুফের প্রস্তাবে সুপ্রিম কোর্টের ‘না’ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন


যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের শত শত কোটি ডলারের স্টুডেন্ট লোন ক্ষমা করে দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার এই প্রস্তাব আটকে দিয়েছে সেখানকার সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষার্থী প্রতি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার ডলারের ঋণ মওকুফ করতে চেয়েছিলেন বাইডেন। তার এই প্রস্তাবের সঙ্গে ৪ কোটিরও বেশি মার্কিন নাগরিকের জীবন জড়িত। তবে সুপ্রিম কোর্ট বলছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার বাইডেন প্রশাসনের নেই। প্রতিক্রিয়ায় বাইডেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে মার্কিন নাগরিকরা ‘রাগান্বিত’ হবে। তবে তিনি বিদ্যমান আইনকানুন ব্যবহার করেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ঋণের বোঝা কমানোর উদ্যোগ নেবেন।

বাইডেনের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ ছিল শিক্ষাঋণের বোঝা কমানো। গত ১৫ বছরে দেশটিতে শিক্ষাঋণের পরিমাণ প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। ২০০৭ সালে মার্কিন শিক্ষার্থীদের ওপর ঋণের বোঝা ছিল প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার, যা এখন (২০২৩ সালে) বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৬০ হাজার কোটি) ডলারে।  

গত বছর (২০২২ সাল) যক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ ৪৩০ বিলিয়ন ঋণ মওকুফের এক কর্মসূচি হাতে নেয়। ঋণগ্রহণকারী ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী এর দ্বারা উপকৃত হবে বলে মনে করেছিল বাইডেন প্রশাসন। তবে রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্ব রয়েছে এমন কয়েকটি রাজ্য (নাব্রাস্কা, মিসৌরি, আরকানসাস, আইওয়া, ক্যানসাস ও সাউথ ক্যারোলাইনা) শিক্ষাঋণ মওকুফের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে মামলা করে। বাইডেন অতি মাত্রায় ক্ষমতা ব্যবহার করছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে অভিযোগ ছিল এই রাজ্য সরকারগুলোর। সুপ্রিম কোর্ট এসব রাজ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এসব মামলার ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে বাইডেন প্রশাসন দাবি করে, ২০০৩ সালে প্রণীত হায়ার এডুকেশন রিলিফ অপরচুনিটি ফর স্টুডেন্টস অ্যাক্ট অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষাঋণ কর্তন বা মওকুফের ক্ষমতা রাখে। কোভিডের মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও জানায়।

৩০ জুন রায়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এই আইন বা এডন শিক্ষামন্ত্রী মিগুয়ের কার্ডোনাকে বিদ্যমান আইনে মধ্যম মাত্রার সংস্কারের অনুমতি দেয়, বিধিবিধান পরিবর্তনের সুযোগ নেই। বিচারপতি জন রবার্টস লিখিত রায়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব ঋণগ্রহীতাই বাইডেন প্রশাসনের ঋণ মওকুফ কর্মসূচির সুযোগ নেবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই রায়ের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আমি আশাহত হয়েছি। তিনি বলেন, এই পথ সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ করেছেন, আমি বিকল্প পথ খুঁজছি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ শিক্ষাঋণের জালে জর্জরিত। যেসব শিক্ষার্থীর আর্থিক অবস্থা দুর্বল তারা শিক্ষাঋণ নেওয়ার সুযোগ পায়। মূলত উচ্চমাধ্যমিকের পরের ধাপের লেখাপড়ার জন্য এই ঋণ নেওয়া হয়। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজনেরই মাথায় এই ঋণ রয়েছে। মার্কিন অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই ঋণগ্রস্তদের মধ্যে ৭ শতাংশের ঋণ ১ লাখ ডলারের ওপরে, আর ১৭ শতাংশের ঋণ ১০ হাজার ডলারের নিচে। ঋণের গড় ১৭ হাজার ডলারের মতো।

শেয়ার করুন