০৮ মে ২০১২, বুধবার, ১০:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন


সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তদারকি সরকারের দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তদারকি সরকারের দাবি সিপিবির সভায় নেতৃবৃন্দ


দলীয় সরকারে নয়, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির আন্দোলন জোরদারের আহ্বান উঠেছে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রথম দিনে। এর পাশাপাশি দলীয় সরকারে নয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি আদায়ে আন্দোলনও জোরদার করার দাবি জোড়ালো হয়েছে। এই আন্দোলন বেগবান করতে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন ও রাজপথের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ২, ৩ ও ৪ জুন, ২০২৩ তিন দিনব্যাপী সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এসব আওয়াজ তোলা হয় দলটির ঔই অনুষ্ঠানে। প্রথম দিন আজ ২ জুন উত্থাপিত কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে এ আহ্বান জানানো হয়। ২ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক আলোচনা উত্থাপন করেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন ১ম দিনে আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. দিবালোক সিংহ, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, রফিকুজ্জামান লায়েক, আহসান হাবীব লাবলু, মোতালেব মোল্লা, হাফিজুল ইসলাম, জলি তালুকদার, মৃণাল চৌধুরী, অ্যাড. হাসান তারিক চৌধুরী, অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, মন্টু ঘোষ, আশরাফুল আলম, আবিদ হোসেন, ড. কাবেরী গায়েন, ডা. মনোজ দাস, নিমাই গাঙ্গুলী, সুব্রতা রায়, রাগীব আহসান মুন্না, পরেশ কর, হাফিজুল ইসলাম ও লাকি আক্তার প্রমুখ।

এতে বলা হয় দুঃশাসন হটানো, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাচন ব্যবস্থর সংস্কারসহ দলীয় সরকারে নয়, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এই আন্দোলন বেগবান করতে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন ও রাজপথের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান হয়।

শ্রেণি-পেশা ও স্থানীয় ইস্যুতে জনগণকে সমবেত করে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা ও দুঃশাসনবিরোধী সংগ্রাম বেগবান করতে সারাদেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান হয়।

বামজোটের সাথে গড়ে ওঠা ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশ জাসদের যুগপৎ আন্দোলন ও অন্যান্য বামপন্থী শক্তিকে এই যুগপৎ ধারায় নিয়ে আসা। এই আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ও ব্যাক্তিবর্গকে যুক্ত করতে কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করারও আহ্বান জানান হয়।

রিপোর্টে সাংবিধানিক ধারা রক্ষা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে এবং বি-রাজনীতিকরণের ও অগণতান্ত্রিকতার যেকোনো অপচেষ্টা সম্পর্কে সজাগ থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান হয়।

এই সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সংগঠক, উপদেষ্টা ও কন্ট্রোল কমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত আছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় দিনে সাংগঠনিক কার্যক্রম নবায়ন গণসংগঠন-গণআন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

শেয়ার করুন