২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:১৪:৪৪ অপরাহ্ন


ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনার ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটসের পুরস্কার বিতরণ


‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’, ‘শিক্ষাই আলো’, ‘জ্ঞানই শক্তি’, বিশ্বে মানবকল্যাণে যতোকিছু সৃষ্টি হয়েছে অন্ধকার যুগ, প্রস্তর যুগ, বর্বরতার অন্ধকার থেকে মানুষ, মানুষের জন্য জনকল্যাণমূলক বিজ্ঞানের আলোকে যে আধুনিক সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার পিছনে রয়েছে জ্ঞানময় জ্যোতির্ময় শক্তি। আমাদের একথা অকপটে স্বীকার করতে বাধা নেই। তবে হ্যাঁ এ বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনেক অপশক্তির সৃষ্টি হয়েছে, যেমন পারমানবিক যুদ্ধ তার জ্বলন্ত উদাহারণ। অন্যদিকে বিজ্ঞানের গভীর জ্ঞানে জ্ঞানবান হয়ে আজ মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে আজ মানুষ চাঁদের দেশে ঘরবাড়ি তৈরি করার স্বপ্ন দেখছে যার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানের অফুরন্ত জ্ঞানভাণ্ডার। সুতরাং আমরা জ্ঞানই শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্বকে জয় করতে পেরেছি এবং আমরা আগামী, আমরাই ভবিষ্যৎ। উপরন্তু বক্তব্যে সকলে একমত হয়ে গত শুক্রবার জ্যাকসন হাইটস্থ জুইস সেন্টারে প্রচুর বৃষ্টি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার তোয়াক্কা না করে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইউএসএ’র সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় গোটা অডিটোরিয়াম হল ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জ্ঞানই শক্তি’ এতে অংশগ্রহণ করেন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রাইভেট টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম কালেকটিভ একাডেমির ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। তাদের মধ্যে নিউইয়র্কস্থ স্টাই ভেনসন, ব্রুকলিন টেক, ব্রঙ্কস সায়েন্সের রেকর্ড পরিমাণের ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সে সমস্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

সভার প্রারম্ভে প্রথমে আমেরিকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সেমিনারের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ’র সভাপতি শাহ শহীদুল হক (সাঈদ)। প্রধান অতিথি জেবিবিএ’র সভাপতি ও মূলধারার রাজনৈতিক গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ, বিশেষ অতিথি নুরুল আজিম বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও ইউএনও অ্যাম্বাসেডর, অ্যাসেম্বলি ওমেন জেনিফার রাজকুমারের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স পরিচালক সীমা, মেয়র এরিক এডামের প্রতিনিধি ফেবয় এন্ডারসন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, স্মার্ট টেকের কর্ণধার ও সিইও সরওয়ার আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, কালেকটিভ একাডেমির পরিচালক শিরিন আকতার, ফিড বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি শাহ শহীদুল হক। তিনি সকল অতিথি, ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকমন্ডলী, স্থানীয় প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশি আমেরিকান এবং নিউ ইমিগ্র্যান্টদের সেবায় নিয়োজিত। আমাদের সকল কর্মকাণ্ড ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, আমরা আজ নিউইয়র্কের আগামী প্রজন্মের অ্যাম্বসেডরদের একত্রিত করেছি। এই জ্ঞানবান তরুণ, তরুণীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। আজকে আমার সামনে যারা রয়েছে তারা সবাই উজ্জ্বল তারকা, প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীই আমাদের গর্ব, আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই সকল মা-বাবাকে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে সুন্দর অনুষ্ঠান হবে, আমরা সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করি।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্টের কার্যক্রম বরাবরই প্রশংসার দাবিদার। আজকের অনুষ্ঠানটিও প্রশংসনীয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আজকের আলোচ্য বিষয় সত্যিই চমৎপ্রদ, ছাত্রছাত্রীগণ ভবিষ্যত সাফল্য অর্জন করে দেশের কল্যাণে অর্থাৎ মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে জনকল্যাণমূলক কাজ করবে এ প্রত্যাশা করি।

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামের কমিউনিটি বিষয়ক প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি খুবই শক্তিশালী। মেয়র আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। জেনিফার রাজকুমারের প্রতিনিধি ইউএনও অ্যাম্বাসেডর সীমা কারেনটায়া বলেন, শাহ শহীদুল হক আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ কমিউনিটির উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, আমরা এ মহৎ উদ্দেশ্য ও ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণামূলক এ ধরনের আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণ সেমিনারে উপস্থিত হতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্মার্ট টেকের সিইও কাউসার আহমেদ, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, কালেকটিভ একাডেমির পরিচালক শিরীন আকতার, বাংলাদেশ আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, ফিড বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী।

বিচারকমণ্ডলী যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং অন্যান্য মেধাবী প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্টের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অতিথি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল আজিম। অনুষ্ঠান পরিচালন করেন বাংলাদেশ থেকে আগত নৃত্যশিল্পী ও  বর্তমান ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটিতে অধ্যয়নরত আমিনা খাতুন।

শেয়ার করুন