২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:৩৯:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সুপ্রিম কোর্টের ঘটনার পেছনে হাইব্রিড?
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৩-২০২৩
সুপ্রিম কোর্টের ঘটনার পেছনে হাইব্রিড?


সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় সরকার। এর পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দেয়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার ব্যাপারে দেয়া আশ্বাসও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় সরকারের ইমেজের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যা অনেকটা বিনা মেঘে বর্জপাতের মতো বলেই কেউ কেউ মনে করেন। বলা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের ঘটনার পেছেনেও কি আওয়ামী লীগের হাইব্রিড বা অতি উৎসাহিরা?

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোট

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন সরকার সমর্থকরা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘোষিত ফলাফলে ১৪ পদের সবক’টিতে জয় পেয়েছেন সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নীল প্যানেল এ নির্বাচন বর্জন করে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা যায় যে দিনভর উত্তেজনা, ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি ও পাল্টাপাল্টি মিছিল এবং ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়। এরপর রাতে শাহবাগ থানায় বিএনপিপন্থি ৩৫০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা দফায় দফায় মিছিল ও শ্লোাগান দেন। দুপুর ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়, হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের প্রভাবে নির্বাচনে ভোট পড়েছে অর্ধেকেরও কম। ৮ হাজার ৬০২ ভোটারের মধ্যে দুই দিনে ভোট দিয়েছেন ৪ হাজার ১৩৭ জন।

পুলিশের বাড়াবাড়ির নেপথ্যে কে?

উচ্চ আদালতে পুলিশের কয়েক সদস্যের বাড়াবাড়ির ঘটনা ঘটেছে। অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যদের কেউ কেউ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছে। এসব নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে বলা হচ্ছে। ঘটনায় জড়িত সদস্যদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেও পুলিশ। এরই মধ্যে দুই কনস্টেবলকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাঁরা ঘটনার সময় মারমুখী আচরণ করেন। এ ছাড়া ল’রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের হেনস্তার জন্য ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদকে দায়ী করা হয়েছে।

এমন ঘটনায় কে কি বললো.. 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অত্যন্ত কঠোর ভাষায় কথা বলেছেন।  নির্বাচন ঘিরে এ ধরনের সহিংস ঘটনা ‘অনাকাক্ষিত’ ও ‘অনভিপ্রেত’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এখানকার আইনজীবীরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যা ঘটে গেল, তাতে ঐতিহ্যবাহী সুপ্রিম কোর্ট বারের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন নির্বাচন নিয়ে আমাদের ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক সহনশীলতা, আইনের শাসনের প্রতি জবাবদিহিতাকে কবর রচনা করতে দেখলাম। সুপ্রিম কোর্টের সোনালি অতীত কবরের ভেতর। তিনি বলেন, এরশাদের সামরিক শাসনামলেও সুপ্রিম কোর্ট বারে পুলিশ পাহারায় নির্বাচন করতে দেখিনি, এবার যা দেখলাম। আইনজীবী ও সাংবাদিকদের লাঠিপেটা করা হলো। এগুলো কীসের আলামত?  ড. শাহ্দীন মালিক বলেন, ইদানীং সুপ্রিম কোর্ট বারসহ বিভিন্ন বারের নির্বাচন অতীতের মতো শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যময় পরিবেশে হচ্ছে না। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের ক্রমাগতভাবে ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্র। কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে একদিকে সরকার ক্রমাগত শক্তিশালী হয়, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠান দুর্বল হতে থাকে। এই নির্বাচনে যাঁরাই জয়ী হোন না কেন, তাঁদের কমিটি আগের মতো শক্তিশালী ও শ্রদ্ধাশীল হবে না। 

অতএব, সুপ্রিম কোর্ট বার একটি দুর্বল প্রতিষ্ঠানে পর্যবেসিত হল। আইনজীবী বারের সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, বুধবার আদালত প্রাঙ্গণে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপনারা দেশের বিচার বিভাগের অভিভাবক। তাই প্রত্যেকের ব্যথা, কষ্ট অভিভাবক হিসেবে অবহিত করা উচিত। সমিতির নির্বাচন হয় সবসময় উৎসবমুখর। তবে এবার অবস্থা উল্টো, আমিও আমার রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অনেক আইনজীবী আহত হয়েছেন। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কী অপরাধ? আমি একজন প্রার্থী হয়ে কেন ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারব না?

সমিতির সভাপতি প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। তিনশ-চারশ পুলিশ ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। 

প্রধান বিচারপতি যা বললেন..

গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমার কোনো করণীয় থাকলে করব। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডাকব। দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি বেসরকারি সংগঠন। এখানে প্রধান বিচারপতির কিছু করার নেই। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সঙ্গে দেখা করার পর দুপুরে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বারের সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।

দুঃখ প্রকাশ 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বুধবার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুর অর রশীদ। ঘটনার পরের দিন সুপ্রিম কোর্টে অবস্থিত ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে এসে নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে ডিবি প্রধান বলেন, গতকালের ঘটনায় তারা দুঃখিত। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাংক্ষিত। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য পুলিশ সচেষ্ট থাকবে। 

কার লাভ হলো? 

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক বলেই প্রায় সব্বাই বলেছেন। বলা হচ্ছে, একতরফাই হলো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। অভিযোগ উঠেছে সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন। পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক কিছু আইনজীবীকে ভোট দিতে দেখা যায়। তবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচন ‘একতরফা’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তিনি দাবি করেছেন, আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থকরা ভোট দান থেকে বিরত থেকেছেন। 

কিন্তু তারপরে কথা থেকে যাচ্ছে এমন ঘটনায় মুষ্ঠিমেয় কিছু আইনজীবি হয়তো লাভবান হবেন, বা হয়েছেন। কিন্তু সার্বিক ভাবে বর্তমান সরকারের জাতীয় আর্ন্তজাতিক ইমেজের যে বারোটা বেজে গেলো তার খেসারত কে দেবে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব ঘটনায় বিব্রত সরকার সমর্থক আইনজীবীরাও। তারা যদি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে থাকে, তাহলে বিজয়ী বলে দাবিদারদের অবস্থা কি? তারা কি বিব্রতবোধ করেননি,বা পড়েননি? নাকি এখানেও হাই ব্রিড আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়েছে-এমন প্রশ্নই রাজনীতিতে ঘুরপাক খাচ্ছে। 

এনিয়ে নানান ধরণের বক্তব্য ও মন্তব্য সরকারের ঘাড়ে এসে পড়ছে। বলা হচ্ছে বার সমিতিকে অতিমাত্রায় রাজনীতিকীকরণের ফলে আজ এ অবস্থায় পৌঁছেছে, যার খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো আইনজীবী সমাজকে। পুলিশি লাঠিচার্জে সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীরা আহত হয়েছেন। এতে তাদের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়েছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন চালিয়ে সরকারকে বিব্রতকর ও লজ্জায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই অনেকে কলম ধরে বলে যাচ্ছেন আওয়ামী পরিকল্পিতভাবে দেশের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের নীল নকশার অংশ। এমনও বলা হচ্ছে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কি জাতীয় নির্বাচনের মহড়া? প্রশ্ন হচ্ছে দেশের সব্বোর্চ আদালতে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার পেছনে সরকারের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে কি কারো ইঙ্গিত ছিল? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন কোনো পরিকল্পনা হয়নি। শুধু নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতা ঢাকতেই একটি অতি উৎসাহ মহল এমনটা করেছে বলে কারো ধারণা।

শেষ কথা..

দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে দাবি ক্রমেই জোড়ালো হচ্ছে। কুটনৈতিক পর্যায়ে অনেক কথা উঠে এসেছে। এমনকি সর্বশেষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে দেয়া বক্তব্যে সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ইইউ। তারা  বলেছে,আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় তাহলে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। অন্যদিকে দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জোর দিয়ে বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিতর্ক হতে পারে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যখন এমন বক্তব্য উঠে আসছে তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনা কার পক্ষে যাচ্ছে বা যাবে তা বুঝতে কষ্ট হবে না কারো। 

পর্যবেক্ষকমহলের মতে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ইতিবাচক ফল কোনোভাবেই সরকার ঘরে তুলতে পারবে না, এটা পরিস্কার। ইতোমধ্যে তার আলামতও দেখা গেছে। কেননা গত সোমবারই ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয় বাংলাদেশে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাছে অবাধ ও সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হয়নি। ওই নির্বাচনে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরানো, বিরোধী দলের প্রার্থীদের এজেন্ট ও ভোটারদের ভয় দেখানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের তথ্যে পরিপ্রেক্ষিতে পর্যবেক্ষকরা এমন ধারণা পোষণ করেন। সেক্ষেত্রে এটা বুঝতে বাকি নেই কারো যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি এ অবস্থায় আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মতো কাজ করলো।

শেয়ার করুন