২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন


৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৮-২০২৩
শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অনুষ্ঠানে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ


দেশের ন্যায় প্রবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।

এই অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল ছিলেন দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ এবং যুবসমাজের জন্য আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান আশা প্রকাশ করেন শহিদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস 

যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অসামান্য অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে গত ৫ আগস্ট শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় তার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তি এবং শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রাশেদুজ্জামান। এরপর শহিদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান শহিদ শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের অন্যান্য শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং স্বাধীনতার পর ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে শহিদ শেখ কামালের মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহিদ শেখ কামাল ছিলেন দেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের পথিকৃৎ এবং যুবসমাজের জন্য আদর্শ। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ কামাল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান আশা প্রকাশ করেন শহিদ শেখ কামালের আদর্শ অনুসরণ করে দেশের তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে।

মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহিদ শেখ কামাল এদেশের জনগণ, বিশেষ করে ক্রীড়ামোদীদের, হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে শহিদ শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ অন্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সারি ও কাউন্সেলর মো. মনিরুজ্জামান।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

গত ৫ আগস্ট নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সব শহিদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, “শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তি। মাত্র ২৬ বছর আয়ুকালে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহিদ শেখ কামাল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী। স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন”। অবশেষে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকে অনুকরণ করে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্য শেষ করেন।

উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। শহিদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের নানাদিক উঠে আসে উন্মুক্ত আলোচনায়। শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমলে বাংলাদেশকে আরো উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা। আলোচনাপর্ব শেষে কেক কেটে শেখ কামালের জন্মদিন পালন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট 

গত ৫ আগস্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহিদ শেখ কামাল, জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

কনসাল জেনারেল তার সূচনা বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সম্বন্ধে আলোচনাকালে কনসাল জেনারেল মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে তিনি ছিলেন পথিকৃৎ বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শ সব সময় আমাদের যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণার এক অবিরাম উৎস হয়ে থাকবে। কনসাল জেনারেল শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার অবদান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে অবহিত করার জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানান। 

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শহিদ শেখ কামাল এর স্ত্রী শহিদ সুলতানা কামালের বড় বোন খালেদা রহমান টেলিফোনে সংযুক্ত হয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন। অন্যান্য বক্তারা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আলোকিত জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। উপস্থিত সবাইকে কনস্যুলেটের এ উদ্যোগ ও আয়োজনের প্রশংসা করেন।

ব্রাজিলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের একমাত্র দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুন নেসা। ১৫ আগস্ট কালরাতে ইতিহাসের এক নৃশংস হত্যাকান্ডে নিহত স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহিদ পরিবারের সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বহুমাত্রিক ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় ও বর্ণিল জীবনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। 

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে শোকাবহ আগস্টের তাৎপর্য স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হত্যাকারীদের বিচার সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের দাবি করেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের রাজনৈতিক আশ্রয়দান একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাষ্ট্রদূত ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার বাস্তবায়নের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।  

রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা মুক্তিযুদ্ধে শহিদ শেখ কামালের নির্ভীক, বীরোচিত অংশগ্রহণ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে দেশ গড়ার কাজে তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। শহিদ শেখ কামালের কর্মময় জীবন ও আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানান। স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবল জাগরণে শেখ কামালের অগ্রণী ভূমিকার কথা রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন। ঢাকা থিয়েটার ও স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করে ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে একজন শিল্পানুরাগী এবং দক্ষ সংগঠক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও তারুণ্যের রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞাননির্ভর, উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে রাষ্ট্রদূত নতুন প্রজন্মকে আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানান।  

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়।

শেয়ার করুন