৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৫:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


আকস্মিক বন্যার পর স্বাভাবিক জীবন নিউইয়র্কবাসী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
আকস্মিক বন্যার পর স্বাভাবিক জীবন নিউইয়র্কবাসী বন্যায় নিউইয়র্কের জনপদ


নিউইয়র্ক সিটিতে শক্তিশালী ঝড়ের ফলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় নিউইয়র্কের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের অনেক পাতাল রেলব্যবস্থা, রাস্তা এবং মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া লগার্ডিয়া বিমানবন্দরের অন্তত একটি টার্মিনাল ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বন্ধ হয়ে গেছে।

শহরের কিছু অংশে ৮ ইঞ্চি (২০ সেমি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিউইয়র্কের নিম্নাঞ্চলের বাড়ির বেজমেন্ট ডুবে গিয়েছে। স্কুল বন্ধ না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ আকাশ কিছুটা শান্ত হয়। মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটিতে এ মাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। এটি ১৮৮২ সালের পর থেকে সবচেয়ে আর্দ্র সেপ্টেম্বরে পরিণত হয়েছে।

গভর্নর ক্যাথি হচুল এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, এটি বিপজ্জনক, জীবন হুমকির ঝড়। আমরা সমগ্র অঞ্চলজুড়ে যে চরম বৃষ্টিপাত দেখছি তার কারণে আমি নিউইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড এবং হাডসন উপত্যকাজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি। তিনি জনগণকে নিরাপদে থাকার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলেন। কখনো প্লাবিত রাস্তায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করবেন না-এই অনুরোধও করেন তিনি। বন্যায় কোনো মৃত্যু বা গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িঘর এবং গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টা মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হয়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি থেকে হাডসন নদীর ওপারে নিউজার্সির শহর হোবোকেনেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটিতে মেয়র এরিক অ্যাডামস জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, জরুরি অবস্থা জারি করায় এটি উচ্চতর সতর্কতা এবং চরম সতর্কতার সময়। তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু সাবওয়ে প্লাবিত হয়েছে এবং শহরের চারপাশে চলাফেরা করা অত্যন্ত কঠিন।

মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্টেশন এজেন্সি অনুসারে, বন্যা নিউইয়র্কের পাতাল রেলব্যবস্থা এবং মেট্রো উত্তর কমিউটার রেল পরিষেবাতে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটায়। কিছু পাতাল রেললাইন সম্পূর্ণরূপে স্থগিত করা হয়েছিল এবং অনেক স্টেশন বন্ধ ছিল।

বিভিন্ন মিডিয়া জানিয়েছে, শহরের উত্তরে অবস্থিত ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টি উপশহর মামারনেকে জরুরি কর্মকর্তারা বন্যার কারণে ভবনে আটকে পড়া লোকদের উদ্ধার করতে ভাসমান ভেলা ব্যবহার করেছেন। ছবি এবং ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে যে লোকজন হাঁটুপানির মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। কারণ রাস্তা এবং পাতাল রেল ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বেশকিছু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে সাবওয়ে স্টেশনের ছাদ ও দেওয়াল থেকে এবং প্ল্যাটফর্মে জল পড়ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দরের টার্মিনাল এ বন্যার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ভ্রমণের আগে তাদের বিমান সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ একাধিক রাস্তা বন্ধ ঘোষণা করেছে। বলেছে, ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছিল। বর্তমানে নিউইয়র্কের মানুষের জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে।

শেয়ার করুন