২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৯:১৬:০৭ পূর্বাহ্ন


মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ভয়ঙ্কর বিপদে বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ভয়ঙ্কর বিপদে বাংলাদেশ


ঝড়ের পূর্ভাবাস, আসছে আরো মার্কিনি ঝড় বা সম্ভাব্য বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা! এ জাতীয় খবরগুলো এখন বাংলাদেশে মুখে মুখে। বহুদিন থেকেই এমন ঝড়ের পূর্বাভাস বইছে। কিন্তু বাস্তবে যা দেখা যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের তেমন কোনো সমস্যার কারণ নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষের চিন্তা-চেতনায় নেই আমেরিকা, কানাডা বা আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন। নেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার। নেই ইন্টারন্যাশনাল ব্যবসা-বাণিজ্য করার চিন্তা। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা ও পুনঃ প্রতিষ্ঠায় যে দুটি কর্ম ইতিমধ্যে সম্পাদিত করেছে তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা না গেলেও সমাজের একশ্রেণির মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়েছে। যাদের চিন্তা ও প্ল্যানে এক সময় বিদেশে যেয়ে থিতু হওয়া। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস যারা করেন, তাদের চিন্তার আকাশে ঘনকালো মেঘ। কারণ র‌্যাবের ওপর স্যাংশন ও এরপর ভিসানীতি দেওয়া ও সেটা প্রয়োগ শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই অনেকের গলার স্বর নিম্নমুখী। দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে একদল সুশীল বুঝে না বুঝে উচ্চ গলায় কথা বলতেন, তারাও সরকারের এমন সময় তাদের রহস্যজনক চুপ থাকা অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদের অনেকে দীর্ঘদিন থেকে কথাবার্তায় যে একটা একপেশে ভাবছিল সেটাতে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। একদমই কথা না বলে যারা পারছেন না, তাদের কেউ কেউ ব্যালান্স রেখে বুলি আওড়ানোর চেষ্টা করছেন। এতে অনুমেয় ভিসানীতি প্রয়োগের মার্কিন ঘোষণার পর সেটা যে কার্যকরি ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে, যেমনটা বড় ভূমিকা রেখেছিল র‌্যাব ইস্যু। মার্কিনিদের দেওয়া তথ্য অনুসারে র‌্যাবের ওপর স্যাংশন দেওয়ার পর বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- একেবারেই নি¤œমুখী হয়েছে এবং এ কার্যকর পদক্ষেপে তারা সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন। সে থেকেই বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন স্যাংশন আরোপে দেশটি আরো উৎসাহিত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ভিসানীতি। ভিসানীতির পর্বটাও বহাল হওয়ার পর থেকে এবার আরো নিষেধাজ্ঞা দানের চিন্তাভাবনাও করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতেও এ নিয়ে বেশ আলোচিত হচ্ছে। 

‘আসছে মার্কিনি ঝড়’ 

সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক নিজেই যে রিপোর্ট করেছেন, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তিনি পত্রিকার হেডলাইন দিয়েছেন, ‘আসছে মার্কিনি ঝড়’। এই এক হেডিংয়েই অনেক কিছু ক্লিয়ার। গত ৭ অক্টোবর সন্তোষ শর্মা সম্পাদিত ও তার প্রকাশনায় প্রকাশিত হওয়া খবরের গুরুত্বটা দিতে হচ্ছে আরো দুই কারণে। এর একটি হলো, পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক আবেদ খান। বাংলাদেশের এক সময়ের দুর্দান্ত এ সাংবাদিক ও বর্তমানে স্বনামধন্য সম্পাদক। দ্বিতীয় কারণটি এই পত্রিকাতেই গত ২১ মে ২০২৩ হেডলাইন হয়েছিল ‘আরো আসছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, সরকার প্রস্তুত’ শিরোনামে বোমা বিস্ফোরণের মতো সেই খবরটি। যার পরপরই অর্থাৎ ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ঘোষণা দেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ওই ভিসানীতির, যা কুরে খাচ্ছে এখন প্রশাসন থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে। 

কথিত রয়েছে, ভিসানীতির ইনফরমেশনটা সরকারের কাছে আরো আগেই জানিয়ে দেয় মার্কিন প্রশাসন। সে সূত্র ধরেই ওই পত্রিকাটি খবর সংগ্রহ করে মাঠে বিস্ফোরণ ঘটায় এক্সক্লুসিভ নিউজ হিসেবে। এবারও কী সেই খবরের পুনরাবৃত্তি? 

কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে: 

‘আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে এক বিপজ্জনক অর্থনৈতিক ঘূর্ণিবার্তার ঝাপটা আসার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এই ঝাপটা আসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা অর্থনৈতিক মহল থেকে। এ ব্যাপারে পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক মোড়লরা এখন কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। আমার তথ্যসূত্র যদি ভুল বার্তা না দেয়, তাহলে অনুমান করতে পারি দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে এবং এ বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সরকারের ওপর একের পর এক চাপের পর এবার এই নতুন পদক্ষেপ। যেহেতু সরকারের কৌশলী ব্যবস্থায় মার্কিন ভিসানীতি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাই এ পদক্ষেপটি হতে যাচ্ছে ব্যবসায়ী মহলের দিকে তাক করে।’ 

কালবেলার প্রধান সম্পাদক তার লেখার আরো একটি স্থানে লিখেছেন, ‘এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের আরেকটি পদক্ষেপ ঘটতে পারে আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের ব্যাপারে। নভেম্বরে এই দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড় আটকে দেওয়া হতে পারে এবং সেটা বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গ তুলে আর রিজার্ভ প্রসঙ্গ ও বৈদেশিক মুদ্রা পাচার বিষয়গুলোকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে।’

সম্পাদক মহোদয়ের সংবাদ বিশ্লেষণের এক পর্যায়ে মার্কিনিদের এমন তৎপরতার পেছনে যে কারণগুলো তিনি মনে করেছেন, সেগুলোও উল্লেখ করেছেন। সেখানে তিনি সিরিয়াল দিয়ে লিখেছেন এক. সরকারকে ক্রমাগত বন্ধুহীন করা। দুই. বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর মধ্যে নানা প্রকার সন্দেহ ঢুকিয়ে দেওয়া। তিন. বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব উসকে দেওয়া। চার. বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে নানা অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা। পাঁচ. পর্যায়ক্রমে অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার ও ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে অবিশ্বাসের প্রাচীর নির্মাণে নিরন্তর চাপ দিয়ে যাওয়া। ছয়. হুইস্পারিং ক্যাম্পেইন ও ব্যাপক গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি এবং অনিশ্চয়তার বোধ বাড়িয়ে দেওয়া।’ 

তিনি আরো ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, এ রিপোর্ট প্রকাশের (৭ অক্টোবর ২০২৩) আগামী সাত দিনের মধ্যেই এসব প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। শুধু এ রিপোর্টই নয়, সরকারপন্থীয় আরেক রাজনীতি বিশ্লেষক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহও বেশ কিছুদিন থেকে এমন একটি (মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) পশ্চিমা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন। তার অভিমত এগুলো জনগণের মধ্যে যত ছড়িয়ে দেওয়া যাবে এটাতে যে উপকারটা হবে মানুষ ওই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এলেও হঠাৎ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যাবেন না। একধরনের মানসিক প্রস্তুত করে দেওয়া আর কি। 

কলিম উল্লাহর শঙ্কায় বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা: 

গত ৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন জানিপপের চেয়ারম্যান ও রংপুর বেগম রোকেয়া মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেছেন, “দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি মাসেই আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

তিনি বলেন, রোববার (৯ অক্টোবর) থেকে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদল ঢাকায় কাজ শুরু করবেন। তারা আগামী ১২ তারিখ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনী মূল্যায়ন পর্যবেক্ষণে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন, নাগরিক পর্যবেক্ষক, নাগরিক সংগঠন এবং নারী ও তরুণদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। ফিরে গিয়ে তারাও তাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। কিছু দিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ ঢাকা এসেছিলেন জানিয়ে ড. কলিম উল্লাহ বলেন, তিনি পররাষ্ট্র সচিবকে সঙ্গে নিয়ে যেটি জানিয়েছিলেন তা হলো, এই ‘স্যাংশন হতে পারে দুর্নীতি নিবারণের বড় হাতিয়ার’। আর তার টেস্ট কেস হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে নিউইয়র্ক থেকে তার (নেফিউ) একটি বই প্রকাশিত হয়েছে, ‘দি আর্ট অব স্যাংশনস’। তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বইটি লিখেছেন তিনি।

কলিম উল্লাহ বলেন, ‘পৃথিবীর সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্র হলো বাংলাদেশ। স্যাংশনের বড় একটি মডেল হতে যাচ্ছে এ দেশটি। নেফিউ যা বলতে চেয়েছেন তার উদ্দেশ্য দুটি। কেন স্যাংশন আরোপ করা হচ্ছে এর একটি হলো- পেইন; যাতে আপনি ব্যথা অনুভব করেন। আরেকটি হলো- রিজার্ভ। অর্থাৎ মার্কিনিদের রিজার্ভ রয়েছে, তা যেন আমরা অনুভব করতে পারি। এই বিবিধ চিন্তা নিয়ে তারা স্যাংশন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এবং এই মাসেই আরো কিছু নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

মার্কিনিরা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন চায় উল্লেখ করে কলিম উল্লাহ বলেন, ‘এই যে প্রত্যয়গুলো তারা হাজির করেছেন, তা যদি পূরণ না করা যায়, তাহলে কিন্তু নির্বাচনটি অবশ্যই হবে ত্রুটিপূর্ণ। এতে লেজিটিমেটি সংকট কিন্তু কাটবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে যেভাবে বৈতরণী পার হওয়া গেছে, কোনো অবস্থায় এই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন তেমনটি হবে না। এটি নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ আছে বলে আমার মনে হয় না। শাসক দলেরও অনেকে সচেতনভাবে বা অবচেতনভাবে মাথায় নিয়েছেন। ইউরোপের ২৭টি দেশ এবং ব্রিটেন, কানাডা, ইউএসএ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ ৩২টি দেশ একত্রে কথা বলা শুরু করবে এবং কথা অনুযায়ী কাজ করা শুরু করবে। তখন সমগ্র বিশ্বের বিরুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন, সুতরাং সাধু সাবধান।’ 

সর্বশেষ স্যাংশন নিয়ে সরকারবিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি এতোদিন যা বলে আসছে মাঠে ময়দানে বা রাজপথে, সেগুলো সবাই উড়িয়ে দিয়েছে। তিরস্কার করা হয়েছে। বিএনপির নেতাদের বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের তলে তলে সমঝোতা হয়ে গেছে। দিল্লির সঙ্গে কথা হয়ে গেছে। এদিক-সেদিক করে রাশিয়া চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা না দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যেও জি-২০ সম্মেলনে জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা ও দেশে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে সরকারের পক্ষে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর ইউএন সম্মেলনে যোগ দেওয়াকালীন সময়ে মার্কিনদের ভিসানীতি প্রয়োগ শুরুর ঘোষণা ও তার পরবর্তী ঘটনাগুলো ক্রমশই উত্তাপ ছড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দলে। এরই মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিটাও এগিয়ে নিচ্ছেন তারা সমভাবেই। কিন্তু সম্প্রতি এ দুই আগাম বক্তব্য লেখনী এবং যা এসেছে খোদ সরকার সমর্থকদের কাছ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে সত্যিকারভাবেই অনেকেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছেন। 

শঙ্কা জেগেছে দেশের রফতানিমুখী গার্মেন্টস সেক্টরেও। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জাতীয় কোনো কিছু এলে সেটা তো এই সেক্টরকে সরাসরি আক্রান্ত করবে, যা দেশ ও দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সত্যিকার অর্থেই এক ভীতিকর পরিস্থিতি ছাড়া আর কিছু না।

শেয়ার করুন