২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ৬:১৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


রাজনৈতিক বাস্তবতায় শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৯-২০২৩
রাজনৈতিক বাস্তবতায় শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন শেখ হাসিনা


বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় শেখ হাসিনার কূটনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ভারতে জি-২০ সম্মেলন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারত, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র চাইবে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান প্রমাণ করে নির্বাচন অনুষ্ঠান। কিন্তু রাজপথে বিরোধী দল আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো এক কথায় অসম্ভব। বাংলাদেশ বিষয়ে ভারতের অবস্থান সুস্পষ্ট। সুদূর বা অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক বা ভারত বিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে একই সঙ্গে বদলে যাওয়া বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ২০০১-এর মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্রুত ডিগবাজি বা ১৯৭৫-এর মতো বিপদগামী সেনা অফিসারদের মাধ্যমে সেনা বিদ্রোহ ঘটিয়ে সরকার পতনের সম্ভাবনাও সুদূর পরাহত। একই সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতায় ২০১৪ বা ২০১৮ বিতর্কিত নির্বাচন করার মতো অবস্থায় এখন নেই। ক্ষমতাসীন কর্তৃক অক্টোবর মাসে বেশকিছু মেগা প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাবে। নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই হবে। সংবিধান সেটাই বলে। এখানে অসংবিধানিক কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। বহির্বিশ্বও সেটা হয়তো চাইবে না। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের চাপে বিএনপি নির্বাচনে আসবে। না হয় নির্বাচনমুখী অনেক নেতা তৃণমূল বিএনপি বা অন্য দলের হয়ে নির্বাচনে আসবে এমনটাই এখন আলোচনা হচ্ছে। 

শাসক দল আওয়ামী লীগের জন্য বিরোধী দল বা জোট যতটা প্রতিদ্বন্দ্বী তার চেয়েও নিজ দল এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর দুর্নীতিপরায়ণ নেতা-নেত্রীরাই বিশাল চ্যালেঞ্জ। ১৯৭৫ সালেও মূল হোতারা আওয়ামী লীগেই লুকিয়ে ছিল। সচেতন শেখ হাসিনা অনেক আগে থেকেই সেই সম্ভাবনার টুঁটি চেপে ধরেছেন। ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, পেশাদার সংগঠন, সামরিক, বেসামরিক আমলারা নিজেদের স্বার্থেই চাইবে যেন শাসনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনে নিজ দলের তৃণমূল সম্পৃক্ত জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন দিয়ে, সহমর্মী দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাত গড়তে পারে তাহলে বিরোধী দল নির্বাচনে হালে পানি পাবে বলে মনে করি না। সেটি বাস্তবতা। আর বদলে যাওয়া বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ চাইবে শক্তিশালী সরকার। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার এবং শক্তিশালী বিরোধী দলের একটি ভারসাম্যমূলক সরকার বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।  অবারও বলছি, ২০২৪-২০২৮ বাংলাদেশকে অর্থনীতি, জ্বালানি নিশ্চয়তা নিয়ে কঠিন সংকটের মোকাবিলা করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখেই বলা যায় দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনা ছাড়া বিকল্প নেই। তবে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই সুযোগসন্ধানী কিছু  উপদেষ্টা, মন্ত্রী, সাংসদের অশুভ প্রভাব থেকে বের হতে হবে। দুর্নীতি দমনে প্রশ্নবিদ্ধ দুর্নীতি দমন কমিশনকে ঢেলে সাজাতে হবে। 

বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে মারাত্মক অসুস্থ, তারেক জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই সরকারের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিএনপির বিকল্প নেতৃত্ব দলের সব পর্যায়ে কতটা গ্রহণযোগ্য সন্দেহ আছে। তবুও আমি চাইবো কোনো দল যেন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়। জাতীয় সংসদে যেন শক্তিশালী বিরোধী দল সরকারকে জবাবদিহিতে বাধ্য রাখে।

শেয়ার করুন