২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:১৩:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


সংগৃহীত তথ্য কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে?
ইমিগ্র্যান্টদের বিকল্প মনিটরিং
মঈনুদ্দীন নাসের
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৫-২০২২
ইমিগ্র্যান্টদের বিকল্প মনিটরিং


গত ১৪ এপ্রিল প্রকাশিত ফেডারেল ডাটায় দেখা গেছে যে, আমেরিকান ইমিগ্রেশন জাজদের কাছে ২ লাখ ১৫ হাজার স্থগিত মামলা ফেডারেল গভর্নমেন্ট ট্র্যাকিং কর্মসূচিতে লেখা হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পর ডিটেনশন কর্মসূচির বিকল্প (এটিডি) কর্মসূচিতে আটক ইমিগ্র্যান্টদের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। আর তাতে প্রতীয়মান হয় যে, প্রশাসন সরকারের অর্থ ব্যয়ে চালিত ডিটেনশন সেন্টারের চাইতে নতুন সার্ভিলেন্স টেকনোলজিতে প্রাধান্য দিচ্ছে।

যখন ইমিগ্র্যান্টদের পক্ষে প্রচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বা আইসকে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টার কম ব্যবহারের আবেদন জানিয়েছেন, তারা বলে যে এটিডি প্রোগ্রাম ইমিগ্র্যান্টদের প্রাইভেসি ও সিভিল রাইটস নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। গত ১৫ এপ্রিল তিনটি ইমিগ্র্যান্ট সংগঠন জাস্ট ফিউচারস ল’, মিজেন্টা ও কমিউনিটি জাস্টিস এক্সেেচঞ্জ আইসের বিরুদ্ধে এক মামলা করে।

মামলায় বলা হয় যাতে এটিডি কর্মসূচিতে ইমিগ্র্যান্টদের কাছ থেকে কি ধরনের তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর তা কোনো এয়ার ডাক ও স্মার্ট লিংকের সাহায্যে ক্রমবর্ধমান হারে স্মার্টলিংকের মাধ্যমে জিপিএসের ভয়েস ও মুখাবয়বের সাথে যৌথভাবে মনিটর করা হচ্ছে। 

যত বেশ এটিডি মনিটরের মাধ্যমে ইমিগ্র্যান্টের সনাক্ত করার সংখ্যা বাড়ছে, একইভাবে আইস ডিটেনশন সেন্টারে সে সংখ্যা কমছে। 

সিরাকুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ট্র্যানজেকশনাল রেকর্ড একসেস ক্লিয়ারিং হাউজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও রিসার্চার অস্টিন কোচার বলেন, কিন্তু তা একটা কমলে একটা বাড়ছে এরকম নয়। এটিডিতে ইমিগ্র্যান্টদের সংখ্যা সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর অন্যদিকে ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে মানুষের সংখ্যা ওঠানামা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কোচের বলেন, এটিডি আইসের শক্তি বাড়ানোর জন্য যাতে দেশে অবস্থানরত ইমিগ্র্যান্টদের মনিটরের মেকানিজম জোরালো করা যায় তার ব্যবস্থা।

আইস মুখপাত্র নতুন মামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না, তবে তিনি বলেন- এজেন্সি প্রাইভেসি রাইট প্রোটেক্ট করতে বদ্ধপরিকর। এটিডি কর্মসূচিতে থাকা তাদের সিভিল রাইটস ও লিবার্টি সংরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

যেসব ইমিগ্র্যান্ট পক্ষের প্রচারকারী যারা আইসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের প্রধান ইস্যু হচ্ছে কীভাবে ইমিগ্র্যান্টদের ডাটা সংগৃহীত হচ্ছে এবং তা ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেখা? 

অর্থাৎ মিজেন্টার সিনিয়র ক্যাম্পেইন পরিচালক জেসিটা গঞ্জালেস বলেন, কীভাবে মানুষের ব্যক্তিগত ডাটা ব্যবহৃত হচ্ছে? আমরা এই মামলায় অংশীদার হতে যাচ্ছি যতদিন না  আমরা কিছু মৌলিক তথ্য পাই। যাতে বুঝতে পারি যে, কীভাবে মানুষের ব্যক্তিগত ডাটা, তাদের বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন, এই মুহূর্তে প্রাইভেট কোম্পানিসমূহ ও সরকারি মহল ব্যবহার করছে।


শেয়ার করুন