০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন


মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মান্নান-জুয়েল প্যানেলের প্রতিবাদ সভা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মান্নান-জুয়েল প্যানেলের প্রতিবাদ সভা বক্তব্য রাখছেন আব্দুল মান্নান


গত ৬ নভেম্বর ওজনপার্কের আল মদিনা পার্টি হলে সদস্য সমাপ্ত বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচনে কারচুপি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে মান্নান-জুয়েল প্যানেলের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইফজাল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সহ সভাপতি গৌছ উদ্দীন খান। প্রতিবাদ সভায় বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যের প্রারম্ভে নির্বাচনে তাকে পুনরায় নির্বাচিত করায় ধন্যবাদ জানান। নির্বাচনে মিছবাহ-অপু প্যানেলের প্রতিবাদ সভায় ভোট চুরির অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, এটা মিথ্যা এবং উদ্ভট। আব্দুল মান্নান বলেন, নির্বাচন কমিশন আলাদা ও স্বাধীন। উপদেষ্টা আলাদা। কার্যকরি পরিষদ আলাদা। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমি এবং আমার পরিবারের কেউ ভিতরে ছিলো না। করো বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলে প্রমাণাদী নিয়ে কথা বলেন। সভাপতি আব্দুল মান্নান কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না, দয়া করে এ খেলাবন্ধ করুন। বিয়ানীবাজারের মানুষকে সম্মান করুন। আব্দুল মান্নান তার বক্তব্যে বলেন, গত ১২ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে বিয়ানীবাজারের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের সময় রেজুলেশন বুকসহ কোন কাগজপত্র পত্র, এমনকি ঘরের ভাড়ার হিসাব পর্যন্ত সঠিকভাবে পাইনি, যা পাওয়া গিয়েছে সব ভুয়া।

নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে সাবেক ও নির্বাচিত সভাপতি বলেন, নির্বাচনে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার। অপপ্রচারের জবাবে আবদুল মান্নান বলেন, একদিন এর জবাব দিতে হবে।

দ্বিতীয়বার নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান দুখু তাকে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মিছবাহ-অপু প্যানেল তাদের প্রতিবাদ সভায় বলা হয়েছে, মান্নান-জুয়েল প্যানেলের বিজয়ী প্রার্থীরা নাকি চুরি করে জয়লাভ করেছে। এ অপবাদ আমাদেরকে নয়, বিয়ানীবাজারবাসীকে দেয়া হয়েছ। এদের কাছ থেকে বিয়ানীবাজারবাসী কী আশা করতে পারে। দুখু বলেন, আমরা তাহলে পুনঃনির্বাচন চাই। নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে আভিযোগ করলেন কিন্ত উপসংহার নেই। কেন এ দ্বৈত ভূমিকা আপনাদের? দুখু অপর প্যানেলের বিজয়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন বিয়ানীবাজারবাসীর স্বার্থে সবাই একযোগে কাজ করি। 

সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তৈয়ব মোহাম্মদ তালহা মিছবাহ-অপু পরিষদকে ইংগিত করে তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে বলেন, তাদের মাস্টার মাইন্ড ছিল বাইরে বিশৃঙ্খলা এবং ভিতরে কেন্দ্র দখল। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ১৬টি পদ হাইজ্যাক করে নিয়েছে। সেদিন বিয়ানীবাজারের স্বার্থে আমরা নিশ্চুপ থেকে ভোট প্রদান করেছি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে প্রতিবাদে বলেন, নির্বাচনে ১৬টি পদে জয়লাভ করে নির্বাচন কমিশনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিয়ানীবাজারের মানুষ কি এ রকম প্রতিনিধি কি আশা করেছিল। মোহাম্মদ তালহা মোস্তফা কামালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি আপনারদেরকে ভোটার রিসিট দেয়নি তা হলে কি করে জানলেন ভোটার ফলাফলের সাথে রিসিটের হিসাবে ৪০৩টির পার্থক্য? তালহা আরও বলেন, মোস্তফা কামাল সভাপতি থাকাকালীন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিন আজীবন সদস্য হন। তার কাছে আজীবন সদস্যের রশীদ আছে কিন্তু আজীবন সদস্যের তালিকায় তার নাম নেই। কিন্তু কেন? শুধু তাই নয়, মোস্তফা কামাল সভাপতি থাকাকালীন সময় বর্তমান উপদেষ্টা আহমদ এ হাকিমের স্বাক্ষর জাল করে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, পরে ধরা পড়ায় ভাড়াটিয়াকে সমিতির ২০ হাজার ডলার দিয়ে রেহাই পান। মান্নান-জুয়েল প্যানেলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাবে তালহা পুনঃনির্বাচনের দাবি তুলেন।

শেয়ার করুন