২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১১:৩০:৩৯ পূর্বাহ্ন


মোহাম্মদ আতাউর রহমানের দৃঢ়তা
গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল লক্ষ্য
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২২
গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান  করাই আমাদের মূল লক্ষ্য


সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী এক্সচেঞ্জে’র কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আতাউর রহমান প্রধান। করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীরা যেভাবে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন এবং এজন্যে অন্যান্য এক্সচেঞ্জ হাউজের পাশাপাশি বিশেষ করে সোনালী এক্সচেঞ্জকে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন- তাদের সবাইকে তার পক্ষ থেকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক এবং সোনালী এক্সচেঞ্জ পুরোপুরিই সরকারি প্রতিষ্ঠান। উদ্ভাবনী ব্যাংকিং-এ সোনালী ব্যাংক বিশ^স্তার সাথে কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যাংকিংসহ প্রযুক্তিগত সকল সেবা প্রদান শুরু করেছে। শুধু ব্যাংককিং নয়, অনেকগুলো সেবামূলক কাজে আজ সোনালী ব্যাংকই এগিয়ে। সোনালী ব্যাংকের সুবর্ণজয়ন্তীতে ‘সুবর্ণজয়ন্তীর অঙ্গীকার সোনালী ব্যাংক হবে সবার’ এই সেøাগানকে ধারণ করে সোনালী ব্যাংক এগিয়ে চলছে। ‘সোনালী ই ওয়ালেট’ মোবাইল অ্যাপস্ ব্যবহার করে ঘরে বসেই গ্রাহকরা এখন ব্যাংকিক করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিল পরিশোধ ও নানান ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারছে অনায়াসেই। এদিকে নানা প্রতিক‚লতা অতিক্রম করেও সোনালী এক্সচেঞ্জ এগিয়ে চলছে। এর সেবার মান আরো বাড়ানো এবং সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার ব্যাপক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এর সফলতা কিন্তু সকল প্রবাসী ভাই বোনদেরকে নিয়েই। তাদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমেই কিন্তু রিজার্ভ বাড়ছে এবং সাথে সাথে বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব সুদুর প্রসারী। জাতীয় উন্নয়নের এক অভাবনীয় কর্মতৎপরতা চলছে আজ বাংলাদেশ জুড়ে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোনালী এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় মো. আতাউর রহমান প্রধান বেশ কয়েকটি শাখা পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশিদের উপস্থিতি বিবেচনায় আরো কয়েকটি শহরে শাখা কার্যক্রম চালানো যায় কিনা বা নতুন নতুন অঙ্গরাজ্যে ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স নেয়া যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাই করেন। সরেজমিনে অনেক গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন। টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে তাঁদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। ব্যবসা সম্প্রসারণে এবং সেবার মান আরো বাড়িয়ে কীভাবে সেবা মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছানো যায়, তার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তিনি সোনালী এক্সচেঞ্জে কর্মরত সবাইকে প্রদান করেন।

দেশে এখন বিনিয়োগের একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করে প্রবাসী ভাইবোনদের দেশে বেশি বেশি বিনিয়োগ করার আহŸান জানান। বিশেষ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্তফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মতো মেগা প্রকল্পগুলো এক এক করে চালু হচ্ছে আর এর সুফল নেয়ার জন্য প্রাবাসীদের আহŸান জানান। এ সমস্ত কাজে প্রবাসীদের ব্যাপক অবদান আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উন্নয়নের ধারায় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে নিশ্চিন্তে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে তিনি উৎসাহিত করেন।

বিশেষ করে সরকারী বন্ডে বিনিয়োগ করে ব্যাপক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব বলে তিনি জানান। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জ এবং দেশে সোনালী ব্যাংক, সবসময় পাশে থাকবে বলে তিনি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম কীভাবে শুরু করা যায়, তার একটি গাইডলাইন তিনি সোনালী এক্সচেঞ্জের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড সিইও দেবশ্রী মিত্রসহ অন্যদের প্রদান করেন।


শেয়ার করুন