০৪ মে ২০১২, শনিবার, ০১:২৬:১২ পূর্বাহ্ন


বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্য অপেক্ষা
ফকির ইলিয়াস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর জন্য অপেক্ষা


স্বাধীন বাংলাদেশে একটাই অপেক্ষা ছিল, কবে ফিরবেন বঙ্গবন্ধু। এ নিয়ে সরকার ছিল উদগ্রীব। মানুষে মানুষে ছিল উৎকণ্ঠা। বিভিন্নভাবে লিয়াজোঁ চলছিল, কীভাবে জাতির পিতাকে মুক্ত করা যায়।

২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১-এপিবি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চায়। তিনি নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দানের জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান।

চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কী সম্পর্ক হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে, এই বাস্তব সত্যটিকে মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীন এক মহান জাতি এবং সব সময় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তিনি বাংলাদেশের প্রশ্নে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার ব্যাপারে নেতৃবৃন্দের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের জনগণের প্রতি আবেদন জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, শিগগিরই দেশকে শাসনতন্ত্র দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে শাসনতন্ত্রে অবশ্যই জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটতে হবে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত যেসব পুরোনো আইন দেশের স্বার্থবিরোধী নয়, তা বলবত থাকবে।

তিনি বলেন, জাতির সামনে প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের শরণার্থীদের পুনর্বাসন।

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের জন্য ন্যাপ প্রধান যে প্রস্তাব দিয়েছেন, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার সব সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরের নির্বাচন বিশ্বের কাছে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং সরকার গঠনের জন্য আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে জনসাধারণ শুধু আওয়ামী লীগের ৬-দফা কর্মসূচির প্রতিই ভোট দেয়নি এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের প্রতিও ভোট দিয়েছে।

২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার লন্ডন অফিসের সংবাদে প্রকাশ করা হয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি কনফেডারেশন গঠনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাওয়ালপিন্ডি নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ভুট্টো চীনা ও মার্কিন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আরো বলা হয়, ২২টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সামসুদ্দিন মোল্লা এক বিবৃতিতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামায়াতে ইসলামীর কুখ্যাত আল-বদর, আল-শাম্স ও রাজাকার কর্তৃক পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান। তিনি বলেন, দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর দোসররা ঢাকার সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাদের প্রায় সবাই খুনিদের হাতে প্রাণ হারান।

২৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুম্বাইয়ের সাপ্তাহিক ‘ব্লিৎস’ পত্রিকার সম্পাদক আর কে কারানজিয়া পাকিস্তানি ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে বাংলাদেশে নরহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করে বিচারের জন্য একটি যুদ্ধ অপরাধ কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। ঢাকার বার্তা প্রতিষ্ঠান বিপিআই পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘ব্লিৎস’ পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায় ‘শয়তানের বীভৎস মুখ দর্শনে’ নামে লিখিত একটি নিবন্ধে কারানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী সম্পর্কে যে তথ্য লাভ করেছেন, তাতে এটাই প্রমাণিত হয়, পাকিস্তানি সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধবন্দি নয়। নিয়াজী, ফরমান আলী গং জেনেভা কনভেনশন অনুসারে যুদ্ধবন্দির মর্যাদা পেতে পারে না। তারা খুনি, তারা নারীর মর্যাদা-হরণকারী, তারা সৈনিকের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে।

কারানজিয়া অভিমত প্রকাশ করেন যে, ইয়াহিয়া চক্র অতিরঞ্জিত ও ভাবাবেগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কিংবা চীন ও মার্কিন হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় নিজেদের একটি পিস্টন ইঞ্জিনবিশিষ্ট বিমান ও দুটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে এতিমখানা ও কতিপয় এলাকায় বোমা বর্ষণ করে। তিনি তার নিবন্ধে উল্লেখ করেন, তিনি এমন কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সুযোগ লাভ করেছেন, যারা ঢাকায় বিমান ও হেলিকপ্টারকে এতিমখানার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে এবং সেখানে বোমা নিক্ষেপ করতে দেখেছেন। এই হামলায় বহু শিশু প্রাণ হারায়। বিদেশি সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে দৃষ্টান্তহীন বলে অভিহিত করেছেন। এরাই যুদ্ধবন্দির মর্যাদার জন্য দাবি করে আর তাদের অপকীর্তিকে ভারতীয় বাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

২৮ ডিসেম্বর ১৯৭১: ঢাকা শহরে ‘শেখ মুজিব দিবস’-এর অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে, সকালে মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা, শোভাযাত্রা ও বিকালে পল্টন ময়দানে জনসভা। সভায় বক্তৃতা করবেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা।

প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক জহির রায়হান অভিযোগ করেছেন যে, বদর বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনে একটি বৃহৎ শক্তি জড়িত আছে। তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড শুধু বদর কূপমণ্ডুকদের দ্বারা সম্ভব হয়নি, মার্কিন গোয়েন্দা সার্ভিস কর্তৃক ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান এবং কঙ্গোতে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর প্রায় মিল রয়েছে।

জহির রায়হান তথ্য প্রকাশ করে বলেন, লে. নিয়াজিসহ কিছু পাকিস্তানি জেনারেল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীও এ ষড়যন্ত্রের দোসরের কাজ করে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখনো এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। খুনি ও অপরাধী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে জনগণের বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তার কাছে অপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা রয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও হত্যারহস্য সারা বিশ্বের কাছে উদঘাটন করতে সরকারের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, বদর দস্যুদের মুখোশ উন্মোচন না করলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তা হুমকি হয়ে থাকবে। এদের কঠোর হাতেই দমন করতে হবে। বদর পশুদের জঘন্য হত্যাকাণ্ডে দেশ তার সেরা সন্তান-সন্ততিদের হারিয়েছে।

২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১: এপিবির খবরে বলা হয়, ঢাকা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের এক সভায় ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞের রহস্য উদঘাটনের উদ্দেশ্যে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ‘বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্ত কমিটি’ নামে অভিহিত হবে। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন প্রখ্যাত লেখক ও চিত্রপরিচালক জহির রায়হান। এক সরকারি হ্যান্ডআউটে বলা হয়, দখলদার বাহিনীর সহযোগিতাকারী আরো ১৮ জন চাঁইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

এপিবির খবরে প্রকাশ, খিলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুনরায় চালু উপলক্ষে আয়োজিত বিরাট কর্মিসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সমাজতন্ত্রী অর্থনীতি চালু করাই আওয়ামী সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রী দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের জন্য সর্বশক্তি ও উদ্যম নিয়োজিত করার জন্য তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাড়ে ৭ কোটি মানুষের মুক্তি সংগ্রামে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না।

৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১: এপিবির খবরে বলা হয়, সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবী নিধন তথ্যানুসন্ধান কমিটির এক প্রতিনিধিদল অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

প্রতিনিধিদল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিচালিত গণহত্যা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের দাবি জানান। এই সংস্থা ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী কর্তৃক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বুদ্ধিজীবী নিধন এবং পাকিস্তানি বাহিনী ও কিছু বিদেশি এজেন্সিতে তাদের (আল-বদর) উপদেষ্টাদের সম্পর্কেও তদন্ত চালাবেন। তারা বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলেন, সন্দেহজনক ফ্যাসিস্ট নরঘাতক ও তাদের দোসরদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে এই কমিটিকে দ্রুত অভিযান শুরু করতে হবে।

প্রতিনিধিদল রায়েরবাজার এবং অন্যান্য স্থানে যেসব মৃতদেহ এখনো পড়ে আছে সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাধিস্থ করার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে আবেদন জানান। কমিটির এক প্রেস রিলিজে বলা হয় যে, অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি তাদের দাবি সম্পর্কে ‘বাস্তব ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবেন।

নরঘাতকদের অনেকেই এখন পর্যন্ত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ওইসব রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের নির্মূল করার ব্যাপারে কমিটির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত ব্যক্তিদের জন্যও তিনি সমবেদনা ও সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।

৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১: কলকাতায় এক সরকারি মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সব ব্যাটালিয়নকে আগামী দু-একদিনের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ১৪ দিনব্যাপী পাক-ভারত যুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রায় ১০০ সদস্য নিহত এবং ৫০০ আহত হয়।

এদিকে নয়াদিল্লির এক খবরে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শ্যাম মানেক শ বলেন, ভারতীয় বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব ৯৩ হাজার পাকিস্তানি নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্য ও বেসামরিক লোককে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, বর্তমানে পাকিস্তানি বাহিনী গত যুদ্ধের বিপর্যয় সামলে ওঠার চেষ্টা করছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি যুদ্ধবিরতি সীমারেখা বরাবর সদা সতর্ক নজর রাখার জন্য সৈন্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

এপিবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি সেনাবিাহিনী ও তাদের দোসদেরও কৃত গণহত্যার পরিমাণ ও ব্যাপকতা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

কমিশন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসররা যে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে, সে সম্পর্কে তদন্ত এবং বিশেষভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও একটি সামগ্রিক রিপোর্ট দাখিল করবেন।

স্বাধীন বাংলাদেশ তখনো শোকগ্রস্ত। চারিদিকে তখনো লাশ আর লাশ। ধ্বংসস্তূপে মানুষ খুঁজছে নতুন ঠিকানা।

শেয়ার করুন