২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:১৮:৪৮ অপরাহ্ন


তব সাথে মোর সেতুবন্ধন
অধ্যাপক ড. আলীয়া শাহনাজ পলী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৫-২০২২
তব সাথে মোর সেতুবন্ধন


একটি বই তখনই প্রিয় হয়ে ওঠে, যখন পাঠক ও লেখকের মধ্যে আদান-প্রদানের জায়গাটা খুব সহজ হয়ে ওঠে। পাঠকের চিন্তাভাবনা, ভালো বা মন্দ লাগা যখন লেখকের লেখনীতে প্রকাশিত হয়, তখনই সেই লেখক পাঠকের প্রিয় হয়ে ওঠে অথবা যখন পাঠক মনে করে ঠিক এরকম একটি লেখা হয়তো আমারই মনের কথা, কোনোদিন আমিই হয়তো এরকম লিখতে সক্ষম হতাম ইত্যাদি। যাই হোক, লেখনীর মাধ্যমে লেখক ভালো লাগা বা মন্দ লাগার পাশাপাশি নিজস্ব দূর্বলতাটুকুও ভাগ করে নেয় তার পাঠকের সাথে, আর এভাবেই লেখক ও পাঠকের সেতুবন্ধন তৈরি হয়ে থাকে। তবে এমন একটা কিতাব বা বই আছে যেখানে লেখক এসব সকল দূর্বলতার একেবারেই ঊর্ধ্বে বহু ঊর্ধ্বে। এই মহান লেখক নিজেই জোর দিয়ে বলেছেন, তার বইটির প্রতিটি বাক্য, শব্দ ও অক্ষর চরম ও পরমভাবে সত্য ও সুস্পষ্ট যেখানে সন্দেহের কোনো লেশমাত্র নেই এবং এটি একটি অখণ্ড মহাসত্য, যার কখনো কোনো সংস্করণের প্রয়োজন হবে না। এমনটি এই মহান লেখক অহংকার করে বলেছেন, এই কিতাবে লিখিত একটি বাক্যের মতো আরেকটি বাক্য এই দুনিয়ার মানুষের সে যত বড় লেখকই হোক না কেন, রচনা করার বিন্দুমাত্র ক্ষমতা নেই। কারণ অহংকার শব্দটি শুধুমাত্র এই মহান সুউচ্চ লেখক, পরম করুণাময় আল্লাহ সুবহানু তায়ালার জন্যই প্রযোজ্য। তিনিই অহংকারের যথাযোগ্য কারণ। এতোক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন যে, আমি কোনো কিতাবের কথা বলছি। হ্যাঁ, সত্যি এটাই সেই মহা কোরআনুল কারিম, যা এরকম পবিত্র বরকতময় রমজান মাসেই অবতীর্ণ হয়েছিল আমাদের পথপ্রদর্শক বরকতময় রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর। যিনি বিশ্বজগতের প্রতি শুধু রহমতরূপে প্রেরিত হয়েছিলেন। এখন মজার ব্যাপার হলো, এই মহাকিতাব শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয় অথবা নয় কোনো বিশেষ ধর্ম, গোত্র, জাতি বা বর্ণের জন্য। এই মর্যাদাপূর্ণ পবিত্র কোরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়েছে সমগ্র মানবজাতির মহা কল্যাণ ও বরকতের জন্য্ এর মূল পতিপাদ্য বিষয় সংক্ষেপে বলা যায় তাওহীদ, রিসালাত, দুনিয়া ও আখেরাত। অতি সাম্প্রতি আমি সুরা আল আ’লা পড়ছিলাম এবং আজ সুরাটি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো ভাবছি। সুরাটি  কোরআনের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে ৮৭তম সুরা। প্রথম আয়াত থেকেই এর নামকরণ করা হয়েছে। সুরাটির বিষয়বস্তু থেকে জানা যায় এটি রাসুল (সা.) মক্কী জীবনের প্রথমদিকে অবতীর্ণ সুরাগুলোর অন্যতম। কাব্যময় এ সুরাটিতে ১৯টি আয়াত ও ১টি রুকু রয়েছে। অসাধারণ বাচনভঙ্গিতে উপস্থাপিত ছন্দময় ছোট ছোট আয়াতের মাঝে ব্যাপক ও সুগভীর বাণী ও অর্থ নিহিত রয়েছে। সুরাটিতে ১ম আয়াতে তাওহিদের কথা এসেছে। এটি একটি আদেশমূলক বাক্য। ছাব্বাহা রুট ----এর আমর এ ছাব্বিহ শব্দটি দিয়ে শুরু হয়েছে। ছাব্বিহ মানে তাসবিহ বা মহিমা ঘোষণা করো। কার মহিমা? হে নবী তোমার সুউচ্চ মর্যাদাময় মহান রবের মহিমা, উপযুক্ত ও শোভনীয় নামে পরম শ্রদ্ধা ও ভক্তি সহকারে ঘোষণা করো। বলা বাহুল্য, এ তাসবিহ হতে হবে সম্পূর্ণভাবে দোষ, ত্রুটি ও শিরকমুক্ত একটি নির্ভেজাল আত্মিক উচ্চারণ। এই তাসবিহ এমন হবে, যা বান্দার অন্তরের মজবুত ইমান ও দৃঢ় আকিদার প্রতিফলনস্বরূপ। হজরত উকবাহ ইবনে আমের জুহানী (রা.) থেকে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, এই সুরার ১নং আয়াতের ভিত্তিতে নবী কারিম (সা.) নামাজের সিজদায় সুবহানা রাব্বিয়্যাল আ’লা পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যাই হোক, এ সুরার ২নং থেকে ৫নং আয়াতে মহান রবের বিশাল ও অসীম পরিচয়ের কিছু অংশ উঠে এসেছে। কে সেই রব? যিনি সৃষ্টি করেছেন। কী সৃষ্টি? আসমান জমিনের সমগ্র সৃষ্টি করেই দুনিয়াতে ছেড়ে দেননি। প্রতিটি সৃষ্টি সঠিক ও সম্পূর্ণ করেছেন ও উপযুক্ত ভারসাম্য বা সমতা স্থাপন করেছেন। মহান রব তার প্রতিটি সৃষ্টিকে এমন নিখুঁত আকার আকৃতি ও প্রকৃতি দান করেছেন যে, এর চেয়ে ভালো কোনো আকৃতি আমাদের কল্পনার সম্পূর্ণ বাহিরে। একজন ঐশ্বর্যমণ্ডিত মহাবিজ্ঞ স্রষ্টার রুচিশীল ও নান্দনিকতার সুস্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে চলেছে। তার প্রতিটি সৃষ্টি, দিক থেকে দিগন্তরে, গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিটি সৃষ্টির তকদির বা ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন সুপরিকল্পিতভাবে। যেমন প্রতিটি সৃষ্টির কারণ, কোথায়, কখন, কেন, কীভাবে, কতদিন, কাজের ক্ষেত্র তার অবস্থান, পরিণতি ও অবশেষে পরিসমাপ্তি এই পুরো পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণ করেছেন অতি সূ² বিচার-বিশ্লেষণ দ্বারা, যাকে তকদির বলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিটি সৃষ্টিকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তাকে সেই কাজ সঠিকভাবে সুসম্পন্ন করার পথ ও পন্থাকে জানিয়ে দিয়েছেন পথপ্রদর্শক হিসেবে। একটু লক্ষ করলেই দেখা যায়, এ সুবিশাল সৃষ্টিরাজ্য কতই না মনোরমভাবে সুসংঘবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলিত। যেখানে কোনো অনিয়ম কিংবা বিশৃঙ্খলার লেশমাত্র নেই। তিনি মাটির বুকে বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেছেন। যেমন একটি গাছের বীজ মাটির বুকচিরে অঙ্কুরিত হয়, তারপর চারাগাছ, পরে শাখা-প্রশাখার বিস্তার অবশেষে পাতা, ফুল-ফলে মনোরমভাবে সুশোভিত হয়ে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয় এবং পরিশেষে মৃত আবর্জনায় পরিণত হয়। এখানে একটি সৃষ্টির জীবনচক্রের বৈচিত্র্যময় ও বিস্ময়কর রূপ এবং তার পরিসমাপ্তির কথা উঠে এসেছে। এবারে আসুন আমরা ৬ নং থেকে ১৩ নং আয়াতের একটু দৃষ্টিপাত করি। ৬নং আয়াতে মহান রাব্বুল আ’লামিন নবী কারিম (সা.) কে সান্ত¡Íনা ও নিশ্চয়তা দানে বলেছেন, হে নবী ওহি অবতীর্ণের সময় আপনি নীরবে শ্রবণ করুন। আসলে ওহি নাজিলের প্রাথমিক পর্যায়ে জিবরাইল (আ.) কর্তৃক ওহি পাঠ শেষ করার আগেই নবী কারিম (সা.) ভুলে যাবার আশঙ্কায় ওহির ১ম অংশ পুনরায় আবৃত্তি করতেন, বিধায় মহান আল্লাহ সোবহানু তায়ালা নবী কারিম (সা.) কে বলছেন যে, এই ওহি পড়িয়ে দেয়া ও নির্ভুলভাবে আপনার স্মৃতিপটে অম্লানভাবে সংরক্ষণের দায়িত্ব আমারই মহা অনুগ্রহের ফলশ্রুতি, এতে আপনার কোনো কৃতিত্ব নেই। চাইলে আমি এটা আপনাকে ভুলিয়েও দিতে পারি। সুরা ত্বহা’র ১১৪নং আয়াতে অনুরূপ বিষয় পাওয়া যায়, যে হে নবী, ওহি সম্পূর্ণ হবার পূর্বে তড়িঘড়ি করবেন না এবং বলুন রাব্বি জিদনি এলমা আর ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে, আমাদের মহান রব যিনি প্রকাশ্য ও গোপন সব বিষয়ে পুরোপুরো অবগত আছেন। আসলে তাঁর অজানা কিছুই নেই। আমাদের অন্তরে লুকানো ও বাহিরে প্রকাশ্য সবকিছুই তার জানা। আমরা জানি, নবুয়তপ্রাপ্তির পর নবী কারিম (সা.) যখন প্রকাশ্যে মানুষের হেদায়েতের জন্য ওহি প্রচার শুরু করেন তখন যেসব ভয়ানক ও কঠিন পরিস্থিতি তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছিল তা অবর্ণনীয়। তখন মহান আল্লাহ সোবহানু তায়ালা বলেছেন হে নবী, প্রত্যেক ব্যক্তিকে হেদায়েত দেয়া আপনার কাজ নয় এটা আমার দায়িত্ব, আপনার কাজ শুধুমাত্র মহাসত্যের প্রচার। ৮ থেকে ১৩নং আয়াতে এই মহাসত্য তথা ওহি প্রচারের সহজ পদ্ধতিটি কি এবং কীভাবে করতে হবে তা সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। ওহি প্রচারের সহজ পদ্ধতিটি হলো, যে উপদেশ গ্রহণ করবে তাকেই দ্বীনের ব্যাপারে উপদেশ দান করুন। আর যে তাতে প্রস্তুত নয়, তার জন্য ব্যস্ত হবার কোনো প্রয়োজন নেই। আর যার মনে পথভ্রষ্টতার পরিণতির ভয় আছে, সে সত্য দ্বীনের আহ্বানে মনেপ্রাণে কবুল করে সেই মতো চলবে। আর যে তা শুনতে ও গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়, সেতো মহাদুর্ভাগা, তার পথভ্রষ্টতার পরিণতি ভয়াবহ জ¦লন্ত আগুন। যেখানে সে মরবেও না বাঁচবেও না। এ এক অবর্ননীয় মহা কঠিন পরিণতি। তবে এই ভয়াবহ জ¦লন্ত আগুন থেকে তারাই বাঁচবে, যারা প্রকৃত কল্যাণ লাভ করবে। ১৪নং আয়াতে বলা হয়েছে, আসলে প্রকৃত কল্যাণ কেবলমাত্র তারাই পাবে, যারা দৃঢ় ইমানের ভিত্তিতে তাদের আমলের পবিত্রতা অবলম্বন করবে এবং ১৫নং আয়াতে বলা হয়েছে, যারা তাদের মহান রবের নাম স্মরণ করে অতঃপর নামাজ আদায় করে। এখন রবের নাম স্মরণ মানে কি? আসলে মহান রবের সাথে সর্বদা কানেকটেড থাকা। অর্থাত ধ্যানে-জ্ঞানে, কাজে-অকাজে, সংকটে-সম্পদে, ঘরে-বাইরে, শয়নে-স্বপনে প্রতিটি মুহূর্তে মহান রবের সাথে সংযুক্ত থাকা। এটা একটা অভ্যাসের মতো। যে যত বেশি তার মহান রবের সাথে সংযুক্ত থাকবে তার নামাজ তত বেশি জীবন্ত ও সঠিক হবে। আর নামাজ এমন একটা স্বর্গীয় উপহার, যেখানে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া সম্ভব, যা সুরা আলাকের শেষের আয়াতে বলা হয়েছে।  তাই গভীর মনোযোগে, মহান রবের সাথে সংযুক্ত  হয়ে যে জীবন্ত নামাজ আদায় করবে, তার ঈমান তত মজবুত হবে এবং তার আ’মল হবে ততবেশি আখেরাতমুখী। সংকটময় এ দুনিয়া তার কাছে হয়ে উঠবে সম্ভাবনাময় আখেরাত। আসুন, আমরা আমাদের প্রতিবেলার সালাত গভীর মনোযোগ সহকারে, প্রফুল্লচিত্তে, পরিচ্ছন্ন পোশাকে সঠিক সময়ে, শুদ্ধ উচ্চারণে পঠিত সুরাগুলোর অর্থ মনে রেখে সংরক্ষণ করতে যত্নশীল হই এবং মহান রবের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের মুক্তির প্রার্থনা করি। ১৬নং আয়াতে বলা হয়েছে, অথচ মানুষ দুনিয়ার মোহে বিমোহিত। পার্থিক জীবনে দুনিয়ার ভোগবিলাস, চাওয়া-পাওয়া, হিসাব-নিকাশ, দ্ব›দ্ব-সংঘাত, আশা-নিরাশা নিয়ে মানুষ এতোই বিভোর যে আখেরাতের কথা মনেই থাকে না। অথচ আমরা মানুষেরা যদি মহান রবের সাথে প্রতিটি মুহূর্তে সংযুক্ত থাকার অভ্যাস রপ্ত করতে পারি এই সুরার আলোকে, তাহলে আমাদের জীবন হতে পারে আখেরাত সুখী। সে ক্ষেত্রে এ দুনিয়ার সামান্য ও ক্ষণকালের দুঃখ-কষ্টে আমরা কখনো ভেঙে পড়বো না বা আশাহত হবো না। সুতরাং আবেগের তাড়নায় দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে বিবেকবান হয়ে আখেরাত নির্ভর জীবনযাপন করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। কারণ ১৭নং আয়াতে বলা হয়েছে, আখেরাত চিরস্থায়ী ও অধিক উত্তম। এ প্রসঙ্গে আমার লেখা একটি কবিতার দুটি লাইন মনে পড়ছে, আখেরাত হলো : ‘অফুরান সুখের বহমান ধারা, যা কিনা অশেষ নেয়া’মতে ভরা। ১৮ ও ১৯নং আয়াতে বলা হয়েছে, আখেরাত এই দুনিয়ার চেয়ে অধিক উত্তম- এই মহাসত্যটি শুধু পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়নি, বরং আগের কিতাব যেমন হজরত ইব্রাহীম (আ.) ও হজরত মুসা (আ.)-এর সহিফাগুলোতেও বলা হয়েছে। এবারে পুরো সুরাটির যদি সারকথা নিয়ে চিন্তা করা হয়। তাহলে আমার কাছে মনে হয় ১৫নং আয়াতের প্রথম অংশ মানে জিকিরুল্লাহ অর্থাত আল্লাহর স্মরন। এবং এর প্রথম উপায় হলো এই সুরার ১৫ নং আয়াতের শেষের অংশ অর্থাত সালাত কায়েম করা। শুধু সালাতই নয়, পুরো সুরাটি জুড়ে বিভিন্ন ধরনের উপায়ের কথা বলা হয়েছে। যেমন মহান রবের পবিত্র নামসমূহের তাসবিহ করা। তাঁর সৃষ্টি সম্ভাবের দিকে আলোকপাত করা ও চিন্তা করা। মহান আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃত ওহি-সংবলিত হেদায়েতনামা তথা, পবিত্র কোরআনুল কারিমের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং এর প্রচার ও প্রসারের দিকে লক্ষ রাখা। পথভ্রষ্টতার পরিণতি তথা, জ¦লন্ত ভয়াবহ আগুনের বিপরীতে প্রকৃত কল্যাণমুখী জীবনযাপনের চেষ্টা করা। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া নিয়ে শুধু ব্যস্ত না হয়ে ইমান ও আমলের পবিত্রতা অর্জন তথা, চিরস্থায়ী আখেরাত নির্ভর জীবনের সাধনা করা। এসবই মহান রবের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের স্বর্গীয় সেতুবন্ধন। আসুন, আমরা এই পবিত্র রমজান মাসের অশেষ বরকতের মাধ্যমে এই সুরার অন্তর্নিহিত শিক্ষা তথা, যোগাযোগের এই স্বর্গীয় সেতুবন্ধন তৈরিতে সচেষ্ট হই। ও মা তওফিক ইল্লাবিল্লাহ। শোনা যায়, এই সুরাটি রাসুল (সা.) বড় কোনো মজলিশ তথা, ঈদের নামাজ ও জুমার নামাজে পাঠ করতেন। পরিশেষে, সুরা আল আ’লা নিয়ে আমার এই বিশ্লেষণমূলক লেখনীতে যদি কোনো ভুল থাকে, তা আমার নিজস্ব দুর্বলতা ও আমার অন্তরের জড়তা- এজন্য আমি রাব্বুল আ’লামিন ও আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।  আমিন।


মন্টিবেলা

নিউইয়র্ক


শেয়ার করুন