২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:৩৪:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ড. বদিউল আলম মজুমদার বললেন
নির্বাচনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেনি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০১-২০২৪
নির্বাচনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেনি সুজনের সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ


সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন মানেই বহুদলীয় গণতন্ত্র। কিন্তু বিগত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেনি। ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন ও সুজন-এর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। 

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুজন একটি নির্দলীয় সংগঠন। আমরা জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে কাজ করি, আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করি।’ তিনি আরো বলেন, সিইসির মতো আমরাও মনে করি, আইনগতভাবে বৈধ হলেও এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে দশম এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এর মধ্যে প্রথমটি ছিল একতরফা। আর দ্বিতীয়টি অংশগ্রহণমূলক হলেও নির্বাচনের মাঠ ছিল ক্ষমতাসীনদের দখলে ও ফলাফল ছিল একতরফা। ফলে দুটো বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশে যে অস্বাভাবিকতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। কিন্তু এবারও জনগণের সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য থাকে, যার মধ্যে অন্যতম হলো: ১. নির্বাচনী ফলাফলের অনিশ্চয়তা; ২. ভোটারদের সামনে বিভিন্ন দল, মত ও কর্মসূচিসম্পন্ন বিকল্প প্রার্থী থাকা; ৩. সকল প্রার্থীদের জন্য সমসুযোগ; ৪. ভোটারদের প্রভাবমুক্ত হয়ে বেছে নেওয়ার সুযোগ; এবং ৫. ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার রদবদলের সম্ভাবনা; ৬. সর্বজনীনতা; ৭. নির্বাচনী আইনের যথাযথ অনুসরণ। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি বিধান কোন দল সরকার গঠন করবে তা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একইভাবে নির্বাচনে অনেক দল অংশ না নেওয়ায় সর্বজনীনতার শর্তটিও পূরণ হয়নি। তৃতীয়ত, নির্বাচনী আইনেরও যথাযথ অনুসরণ হয়নি। নির্বাচনে ব্যাপকভাবে আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা ও সহিংসতা দৃশ্যমান হয়েছে।’ 

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য হলো, প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ভোটারদেরকে ক্ষমতায়িত করা, যাতে তারা জেনে-শুনে-বুঝে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশন যদি হলফনামাগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতো, তাহলে হলফনামা আমলনামায় পরিণত হতে পারতো এবং এর মাধ্যমে আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়াও পরিচ্ছন্ন হতো। 

অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য উপস্থাপন এবং নির্বাচন নিয়ে সুজন-এর পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার লক্ষ্যে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজন-এর সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি নির্বাচনের একটি সামগ্রিক চিত্র, নির্বাচিত ২৯৯ জন সংসদ সদস্যের হলফনামা ও আয়কর প্রদানের তথ্যের বিশ্লেষণ, নির্বাচনের বৈশিষ্ট্য ও নির্বাচন নিয়ে সুজন-এর মূল্যায়ন তুলে ধরেন। 

শেয়ার করুন