২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:১২:৬ অপরাহ্ন


সীমান্তে অভিবাসন রোধে বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন জো বাইডেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
সীমান্তে অভিবাসন রোধে বিষয়ে নির্বাহী আদেশ দিতে পারেন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে ন্যাশনাল গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন


প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার হোয়াট হাউসের ইস্ট রুমে ন্যাশনাল গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে এক সভায় গভর্নরদের উদ্দেশ্যে বলেন, চলতি মাসের কংগ্রেসে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে অভিবাসন রোধে তিনি কী নির্বাহী পদক্ষেপ নিতে পারেন। তবে তা কীভাবে নিবেন সেই পন্থা অনুসন্ধান করছেন তিনি। সীমান্ত চুক্তি বাতিল হওয়ায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন এবং কংগ্রেস প্রতিনিধিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল হওয়া দ্বিদলীয় প্রস্তাবটি পুনরায় উত্থাপনের অনুরোধ করেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তির বিরোধিতায় লবিংয়ের পরেও চুক্তি থেকে সরে আসার জন্য রিপাবলিকানদের তীব্র সমালোচনা করেন। এই চুক্তিটিকে হত্যা করার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক কারণে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন। আলোচনা শেষে গভর্নরদের সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালীন সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাহী আদেশের কথা উল্লেখ করেন।

গভর্নর অ্যাসোসিয়েশনের রিপাবলিকান চেয়ার ইউটাহ গভর্নর স্পেন্সার কক্স সাংবাদিকদের বলেন, বাইডেন কোন পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করছেন তা উল্লেখ করেননি। এ বিষয়ে তিনি তার অ্যাটর্নিদের সঙ্গে কাজ করছেন, আদালতে কী নির্বাহী পদক্ষেপ বহাল রাখা হবে এবং সাংবিধানিকভাবে হবে কিনা তা বোঝার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করেছেন, যা তাত্ত্বিকভাবে অতিরিক্ত ফেডারেল তহবিল আনলক করতে পারে এবং সীমান্তে নতুন করে ক্র্যাকডাউন চালানো হতে পারে।

কলোরাডো গভর্নর জ্যারেড পলিস, গভর্নরদের গ্রুপের ডেমোক্রেটিক ভাইস-চেয়ার বলেন, গভর্নররা নির্বাহী আদেশের জন্য যা কিছু করণীয় তা দেখছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশাকে বাস্তবসম্মত রেখে কংগ্রেসের সমাধান উত্তম বলে আমি মনে করি। পলিস আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ফেডারেল আদালতের উদ্ধৃতি দিয়েছেন এবং ট্রাম্পের অভিবাসন ক্রিয়াকলাপের কিছু বাতিল করেছেন।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়ের ব্যক্তিগত কথোপকথনের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, বাইডেনের বিবেচনাধীন পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে অভিবাসন আইনের ধারা ২১২(এফ) এ বর্ণিত অথরিটিকে আউটলাইন করা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্দিষ্ট অভিবাসী প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে বিস্তৃত সুযোগ দেওয়া আছে।

২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাইডেন প্রেসিডেন্সির সময় ইউএস বর্ডার টহল দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ৫.৬ মিলিয়নেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী সীমান্ত পারাপারের জন ইউএস বর্ডার পেট্রোল এজেন্টদের মুখোমুখি হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। মার্কিন কাস্টমস ও সীমান্ত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া তথ্যে অনুসারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭৩ লাখ অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাস্টে প্রবেশ করেছে।

শেয়ার করুন