২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:০৩:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


সিরাজুল আলম খানের ইন্তেকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২৩
সিরাজুল আলম খানের ইন্তেকাল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান/ফাইল ছবি


মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান আজ বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তার বয়স ছিল ৮২ বছর। সিরাজুল আলম খান ঢামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গত ২০ মে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (গতকাল) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খান ১৯৪১ সালের ৬ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জিলা স্কুল, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন।

তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ৬ দফা দাবির সমর্থনে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন তিনি।


সিরাজুল আলম খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুর হক মনির সঙ্গে তার মতভেদ তৈরি হয় এবং তিনি ছাত্রলীগ থেকে সরে যান। পরবর্তীতে তার অগ্রণী ভূমিকায় গঠিত হয় নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। জাসদ প্রতিষ্ঠায় তিনি নেতৃত্ব দিলেও তিনি দলটির নেতৃত্বে আসেননি।  তবে তার দিকনির্দেশনায়ই স্বাধীনতার পর জাসদ তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। 


জাসদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ সিরাজুল আলম খান কখনও জনসম্মুখে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না। আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিতি পান।

 

শেয়ার করুন