০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ৬:৩৪:২৩ অপরাহ্ন


স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ
স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৪-২০২৪
স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহ্বান বক্তব্য রাখছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু


দেশের ন্যায় প্রবাসেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস। এ উপলক্ষে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউউয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। যার মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেক কাটা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ দিয়েছেন। তার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার, কিন্তু ঘাতকের বুলেটের নির্মম শিকার হন তিনি। তার সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লুর

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশি আমেরিকানদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বাসেডর ডোনাল্ড লু। বাংলাদেশের ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে ডোনাল্ড লু এ কথা বলেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি আমেরিকানদের কথা উল্লেখ করে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেন, তাদের শক্তি এবং অসাধারণ কঠোর পরিশ্রম আমাদের দুটি মহান জাতির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার জন্য আমরা গর্বিত। এ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করেন, যারা তাদের অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন। ‘শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ, জয় বাংলা’ বলে বক্তব্য শেষ করেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তার স্বাগত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহিদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, সবার সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি যে দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলায়’ রূপান্তরিত করার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে আমরা সব বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আরো সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করি।

পরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে অতিথিদের উপস্থিতিতে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানোর মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অ্যাম্বাসেডর রেবেকা গঞ্জালেস, ডিরেক্টর, ফরেন মিশন অফিস, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, স্টেট ডিপার্টমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মার্কিন সরকার, ইউএসএআইডি, ইউএসটিআর, এনডিআই, আইআরআই ও অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জিয়াউদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত স্টেট সিনেটর বাংলাদেশি আমেরিকান সাদ্দাম সেলিম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস দিনব্যাপী এক কর্মসূচির আয়োজন করে। যার মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা ও বিশেষ প্রার্থনা। সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। 

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণী পাঠ করে শোনান মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন এবং কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি। পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন দূতাবাসের দিনব্যাপী কর্মসূচির দুই পর্ব পরিচালনা করেন।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন

গত ২৮ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়। মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের বর্ণিল এই আয়োজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মিলনমেলায়। 

অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যের শুরুতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহিদ সব সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, ২ লাখ মা-বোনসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। এ সময় তিনি জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘের বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও অসামান্য সাফল্যগাথা তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিশ্বস্ত নাম। আজ বিশ্ব শান্তিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, বিশ্বস্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে জাতিসংঘ স্থায়ী মিশন বহুপাক্ষিক ফোরামে কাজ করে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের পবিত্র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় ও মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে কেক কাটা হয়। 

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কর্মরত বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তারা, কবি, শিল্পী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ বরেণ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসাও করেন তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনার আগে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। 

উল্লেখ্য প্রবাসীদের নিয়ে এই আয়োজনের পূর্বে গত ২৬ মার্চ, জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, ও জাতিসংঘ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ প্রায় দেড় শতাধিক কূটনীতিকের অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস।

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট 

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশে কনস্যুলেটে ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কনসাল জেনারেল, কূটনীতিক, ব্রঙ্কস বরো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রতিনিধি, গ্রেটার নিউইয়র্ক চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মার্ক জেফ ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রতিনিধিসহ বিদেশি অতিথিবৃন্দের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদ সদস্য, ৭১-এর সব শহিদ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা তার স্বগতিক বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লক্ষাধিক নির্যাতিত মা-বোনদের অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা। তিনি আরো স্মরণ করেন আন্তর্জাতিক বন্ধু বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সোভিয়েত ইউনিয়নের তৎকালীন নেতৃত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম জনগণ ও অন্যান্য যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে নৈতিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল অর্থনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যগাথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন. সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রবাসী সব বাংলাদেশির অবদানের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিনিয়োগকারী ও বাডুজ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপাক্ষক সম্পর্ক জোরদাকরণে নতুন অধ্যায় শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কনসাল জেনারেল দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সম্মাননাপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লিয়ার লেভিন, মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার দিলীপ চৌহান ও বিচারপতি সোমা সাইদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন