২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:২৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে মো. আমজাদ হোসেন
ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২২
ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে দেশ ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন


যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে ঢাকা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন এক কথায় বলা মুশকিল। রাজনৈতিক অবস্থা এক কথায় অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ পত্রিকাকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। 

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কমেন বলে মনে করেন?

মো. আমজাদ হোসেন: দেশ স্বাধীন এর ৫০ বৎসর পর যে দেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার নেই, ভোটারবিহীন একটা সংসদ বহাল তবিয়তে মানুষের সমস্ত অধিকার হরণ করে স্বৈরতন্ত্রের ন্যায় দেশ চালাচ্ছে।  দ্রব্য মূলের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, দুঃশাসন খুন-গুম লেগেই আছে, ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় দেশে ধর্ষণ-খুন রাহাজানি বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত লেগেই আছে। সুতরাং আমি মনে করি রাজনৈতিক অবস্থা এককথায় অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। 


দেশ: আপনারাও তো ক্ষমতায় ছিলেন। বিএনপির আমল কি এর চেয়ে ভালো ছিল?


মো. আমজাদ হোসেন: নিঃসন্দেহে এই অবস্থা বিএনপির সময় ছিলনা। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। সাংবাদিকদের লেখার অধিকার ছিল। আজকে যে, গুমট অবস্থা বিরাজ করছে। এই রকম অবস্থা বিএনপির সময় ছিলনা। ঘুষ দুর্নীতি-দুঃশাসন এই রকম ছিল না। 


দেশ: জনগণ কি বিএনপিকে কি আবার ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মনে করেন?


মো. আমজাদ হোসেন: বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়াই এসেছে। সুতরাং জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে।


দেশ: এসরকার কি উন্নয়ন করছে না? জনগণও দেশের ভালো কিছু করছে না?


মো. আমজাদ হোসেন: উন্নয়নের নামে লুটতরাজ বেশি হচ্ছে। আজকে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা এবং কি কেন্দ্রীয় পর্যন্ত লুটের মহোৎসব চলছেই। আমি মনে করি দেশের মানুষ সুশাশন চায়। সুশাসন থাকলে উন্নয়ন এমতিতেই হবে। 


দেশ: আপনাদের ডাকে বা আন্দোলনে জনগণ অংশ নিচ্ছে না কেন?


মো. আমজাদ হোসেন: নামছে না কে বললো? আপনি কি দেখেন না প্রতিটি সমাবেশে কারা অংশ নেয়? স্বৈরশাসকের যে চরিত্র মিথ্যা মামলা হামলা এবং কি মিছিলে সরাসরি গুলি চালায়। তা সত্ত্বেও মানুষ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের ব্যাপক সাড়া ছিল এবং এখনও আছে। খুব শীঘ্রই দেখতে পাবেন দেশের জনগণের আরো অংশগ্রহণ। সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। রাজনৈতিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। দুর্বার গণআন্দোলন শুরু হলে এ সরকারের পতনের ঘণ্টা বেজে যাবে।  সত্যিকার অর্থেই জনগণের কল্যাণের জন্য সরকার গঠন করা হবে। আমরা মনে করি, সরকারে উচিত জনগণের ভাষা তাড়াতাড়ি বুঝে ফেলা। যতো তাড়াতাড়ি জনগণের দাবি ও তাদের আশা আকাক্সক্ষা বুঝতে পারবে, ততোই তাদের জন্য ভালো। 


দেশ: সরকারের প্রতি আপনাদের মেসেজ কি?


মো. আমজাদ হোসেন: গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য, অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। এ সরকার পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। এর বাইরে এ দেশবাসী কোনো কিছুই মানার জন্য আর প্রস্তুত না। বলতে বাধ্য হচ্ছি, এখনো সময় আছে, এখনো বাঁচতে পারবে সরকার। এরপর আর পালাবার সময় পাবে না তাড়াতিাড়ি। 


মো. আমজাদ হোসেন দেশে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ট সাহসী ভূমিকা রেখে প্রমংশিত হয়েছেন। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ে তিনি দলের সাথে থেকেছেন। তিনি ১৯৮১-’৮২ ছাত্রদল ধামরাই থানা সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৩-১৯৮৮ ছাত্রদল কবি জসিমউদদীন হল (ঢা.বি.) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪-১৯৮৮তে ছাত্রদল ঢাকা জেলা শাখা সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬-১৯৯০ ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


শেয়ার করুন