৩০ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০১:৪৮:১৬ পূর্বাহ্ন


মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৫
মুসলিম মেয়র পেতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স, মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি এবং কংগ্রেসওমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্টেজ।


নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ইতিহাসের দোরগোড়ায় জোহরান মামদানি। অথচ কয়েক বছর আগেও তার নাম কেউ জানতো না। এখন তার নাম শুধু নিউইয়র্ক নয়, পুরো আমেরিকায় নয়, সারা বিশ্বে পরিচিত। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন আগামী ৪ নভেম্বর। যদিও ২৫ অক্টোবর থেকে অগ্রিম ভোট শুরু হয়েছে। অগ্রিম ভোট চলবে আগামী ২ নভেম্বর। ৩ নভেম্বর বিরতি এবং ৪ নভেম্বর ভোট। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার সীমানা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে আলোচনার ঝড় বইছে। কে হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র। আলোচনার আরেকটি কারণ হলো-এই প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে একজন মুসলিম প্রার্থী প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছেন এবং চূড়ান্ত নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছে। এই প্রথমবারের মত জোহরান মামদানিকে দ্বিতীয়বারের মতো কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অন্যবার বাছাই পর্বের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে যিনি নির্বাচিত হয়ে থাকেন, তিনিই মেয়র নির্বাচিত হন। চূড়ান্ত নির্বাচন থাকে শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু এবার যেহেতু মুসলিম প্রার্থী সেহেতু কেউ এটাকে মেনে নিতে পারছেন না। স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেন জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এন্ড্রু কুমো প্রাথমিক নির্বাচনে জোহরান মামদানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। পরাজিত হওয়ার পর বলেছিলেন তিনি আর নির্বাচন করবেন না। কিন্তু নোংরা রাজনীতি এবং ইতিহাস সৃষ্টিকারী জোহরান মামদানিকে হারানোর জন্য তিনি আবারো প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। যদিও তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুশি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবার জোহরানের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনিও প্রেসিডেন্ট টোপ গ্রহণ করেছেন, দুর্নীতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে এবং লোভনীয় চাকরির লোভে তিনি লড়াই থেকে সরে গিয়ে এন্ড্রু কুমোকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু কোন কিছু করেই যেন জোহরানকে থামানো যাচ্ছে না। তার বিজয় রথ বন্ধ কর যাচ্ছে না। জিএনজি এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তার পক্ষে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে নতুন প্রজন্ম। এটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি এবং জয়ের মূল নেয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিউইয়র্ক সিটির কোনো নির্বাচনকে ঘিরে এমন উত্তেজনা দেখা যায়নি। বিশেষ করে বাংলাদেশি জনসমাজের মধ্যে। কারণ একটাই, এবারের প্রতিযোগিতা একেবারে অন্যরকম। একদিকে কুইন্সের তরুণ ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট জোহরান মামদানি, যিনি প্রাইমারিতেই দলীয় জায়ান্টদের হারিয়ে সাড়া ফেলেছেন। অন্যদিকে প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো, যিনি স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং শেষ সময়টায় ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। আর রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া, যিনি ‘গার্ডিয়ান অ্যাঞ্জেলেস’ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিচিত, তিনিও ভোটের অঙ্কে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছেন-বিশেষত মামদানি-বিরোধী ভোট ভাগ করে দিয়ে।

আগাম ভোট বা প্রাথমিক ভোটে ব্যাপক সাড়া পয়েছে। নিউইয়র্ক সিটি ইলেকশন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, শুরুর দুই দিনেই (২৫ ও ২৬ অক্টোবর) ভোট দিয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি ভোটার-যা ২০২১ সালের পুরো আগাম ভোটের প্রায় সমান। পাঁচ বোরোর হিসাব বলছে, ব্রুকলিনে ভোট পড়েছে প্রায় ৪৯ হাজার ৫০০, কুইন্সে ৩৮ হাজার ২০০, ম্যানহাটনে ২৯ হাজার, ব্রঙ্কসে ৩৪ হাজার ৮০০ এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে ১২ হাজার ৫০০। এ হার যথাক্রমে-২০২১ সালের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। ৫ বরোর প্রতিটিতেই এগিয়ে রয়েছেন জোহরান মামদানি।

জোহরান মামদানি এখনো ভোটে এগিয়ে আছেন, তবে নতুন জরিপে ব্যবধান সামান্য কমে এসেছে। সাফফোক ইউনিভার্সিটির জরিপে দেখা গেছে, মামদানি ৪৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন, কুমোর সমর্থন ৩৪ শতাংশ, আর রিপাবলিকান সিøওয়া ১১ শতাংশ। এখানো মামদানি ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে। মামদানির প্রচারণা মূলত সাশ্রয়ী নগরজীবনের স্বপ্ন নিয়ে বিনামূল্যে বাস, সর্বজনীন শিশু যত্ন, সবার জন্য আবাসন, এবং জলবায়ু ন্যায়েন প্রতিশ্রুতি। ফরেস্ট হিলস স্টেডিয়ামে তার শেষ বড় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কার্টেজ এবং সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল এবং মূলধারার একজন রাজনীতিবিদ। তাকে এন্ডোর্স করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টি মেজরিটি লিড়ার হ্যাকিম জাফরি। প্রায় ১৩ হাজার মানুষের সেই জনসভায় নিউইয়র্ক ইজ নট ফর সেল স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল কুইন্স।

অন্যদিকে অ্যান্ড্রু কুমো মরিয়া হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। মুসলমান, থ্রিস্টান ও ল্যাতিনো রক্ষণশীল গোষ্ঠীর ভোট টানার চেষ্টা করছেন তিনি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি ইসলামোফোবিক বক্তব্যের জন্য সমালোচিত হলেও, মামদানির উদারনৈতিক অবস্থান- যেমন যৌনকর্মীদের অধিকার, পুলিশ বাজেট সংস্কার ও অভিবাসী নীতি নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বিধা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।

রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়া আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে রয়েছেন। তাকে চেষ্টা করা হয়েছিল নির্বাচন থেকে সরানো জন্য। কিন্তু তিনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভালোভাবে রয়েছেন। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বড় কোনো অঘটন না ঘটে, তাহলে জোহরান মামদানি ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হবেন এবং নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে নাম লিখবেন। নিউইয়র্ক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে বলেছেন অনেকেই।

এখন পুরো নিউইয়র্ক অপেক্ষা করছে। ৪ নভেম্বরের রাতে টাইমস স্কোয়ারের আলোয় উঠবে নতুন এক ইতিহাসের নাম জোহরান মামদানি নাকি অ্যান্ড্রু কুমো, তা জানাবে ভোটের বাক্স।

মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় তোলা মামদানি যেভাবে রাজনীতিতে

জোহরান মামদানি তখন ব্রঙ্কস হাই স্কুল অব সায়েন্সের ছাত্র। এটি নিউইয়র্কের সবচেয়ে সম্মানিত পাবলিক স্কুলগুলোর একটি। স্কুলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়ে তিনি খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন ভোটার, সমর্থক, কর্মী। তার প্রচারণা ব্যর্থ হয়। 

আংশিক কারণ ছিল এক অসম্ভব প্রতিশ্রুতি: ‘সব ছাত্রের জন্য স্থানীয় ফলের টাটকা জুস।’ পরে তিনি স্বীকার করেন, আমি এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যা বাস্তবে করা সম্ভব ছিল না। এ খবর দিয়ে অনলাইন নিউইয়র্ক টাইমস একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে আরও বলা হয়, কিন্তু অন্য এক প্রচারণা দারুণভাবে এগোচ্ছিল। এটা তার কাছে অনেক বেশি অর্থবহ ছিল। তখন নিউইয়র্ক সিটির কোনো পাবলিক স্কুলেই ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক খেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। দক্ষিণ এশীয় পটভূমি থেকে আসা মামদানি ও তার বন্ধুদের কাছে এটি ছিল একটি প্রিয় খেলা। তাই তারা নিজেরাই স্কুলে ক্রিকেট টিম গঠনের উদ্যোগ নেন। তারা মাঠে মাঠে ঘুরে ব্যাট, প্যাড আর সাইনআপ তালিকা জোগাড় করেন। ফেসবুকে মামদানি লেখেন, এই খেলায় খেলতে হলে ব্রাউন হওয়া বাধ্যতামূলক না। ধীরে ধীরে তারা ছাত্র ও শিক্ষক- উভয় পক্ষকেই বোঝাতে সক্ষম হন যে, এটি সত্যিকারের একটি দলীয় খেলা।

সহপাঠী অবনীত সিং বলেন, জাহরান তখন যেন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিল। স্কুলে দেখা যেত, সে ছোটাছুটি করছে। সবাইকে বলছে, ‘আমরাই স্কুলের ক্রিকেট দল।’ আসলে দল হওয়ার আগেই তাকে দল হিসেবে অভিনয় করতে হয়েছিল।

শৈশব থেকে নেতৃত্বের শিক্ষা : ২০১০ সালে ব্রঙ্কস সায়েন্স থেকে স্নাতক হওয়ার ১৫ বছর পরও মামদানির জীবনীতে সেই ক্রিকেট দলের কথাই প্রধানভাবে উল্লেখ করা হয়। কারণ, এটি শুধু এক তরুণ আইনপ্রণেতার প্রাথমিক উদ্যোগ নয়, এটি তার সংগঠক মানসিকতারও প্রতীক। আজ তিনি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। জুনিয়র বছরে পৌঁছানোর পর মামদানির প্রচেষ্টায় নিউইয়র্কের স্কুল সিস্টেম ক্রিকেটকে আনুষ্ঠানিক খেলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। মাসের পর মাস বৈঠক, পরিকল্পনা ও তদবির শেষে তাদের দল প্রথমবারের মতো শহরের অনুমোদন পায়। মামদানি পরে বলেন, এই ঘটনাই আমাকে সংগঠনের শক্তি ও বাস্তবতা পরিবর্তনের ক্ষমতা শিখিয়েছিল।

ছোট শহর থেকে বৃহৎ দিগন্তে : উগান্ডায় জন্ম নেয়া এবং ভারতীয় বুদ্ধিজীবী দম্পতির সন্তান হিসেবে মামদানির বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কে। তবু তার শৈশবের নিউইয়র্ক ছিল ছোট। সীমিত বন্ধুবৃত্তের এক সাদা মধ্যবিত্ত দুনিয়া। ব্রঙ্কস সায়েন্সেই প্রথম তিনি বর্ণ, শ্রেণি ও সংস্কৃতির বৈচিক্র্যসহ প্রকৃত নিউইয়র্ককে চিনতে শেখেন। সেখানে তিনি শিখেছেন কীভাবে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, কীভাবে নিজের পরিচয়কে গ্রহণ করতে হয়, এমনকি কৌতুকে ভরা কৈশোরে নিজের ‘ব্রাউন’ পরিচয় নিয়েও গর্ব করতে হয়। তার এক ক্যাম্পেইন স্লোগান ছিল- হোয়াট ক্যান ব্রাউন ডু ফর ইউ? আর একবার স্কুলে পরে ছিলেন টুপি। তাতে লেখা- ‘উগিন্ডিয়াস ফাইনেস্ট’।

অসমতার পাঠ: ব্রঙ্কস সায়েন্স নিউইয়র্কের আটটি স্পেশালাইজড স্কুলের একটি। সেখানে ভর্তি সম্পূর্ণভাবে এক পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল। এই ব্যবস্থাকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে। মামদানি নিজেও বলেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলগুলো কতটা বিভাজিত। দীর্ঘদিন তিনি এই ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি তুলেছিলেন, যদিও সাম্প্রতিক নির্বাচনের আগে তিনি একে ‘সংঘাতপূর্ণ ইস্যু’ বলে নরম অবস্থান নিয়েছেন।

কমিউনিটি ও রাজনৈতিক শিকড় : ব্রঙ্কস সায়েন্সে প্রায় ৭০০ সহপাঠীর মধ্যে মামদানি ছিলেন পাতলা গড়নের প্রাণবন্ত এক কিশোর। তিনি নিজেকে দিয়ে আলাদা হয়ে উঠেছিলেন। ইতিহাস শিক্ষক মার্ক কাগান বলেন, চৌদ্দ বছর বয়সী সব ছেলের মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকে না। কিন্তু জাহরানের মধ্যে কিছু আলাদা ছিল। প্রথমে ধনী শ্বেতাঙ্গ সহপাঠীদের সঙ্গে মিশলেও, পরে মামদানি ক্রমে ঘনিষ্ঠ হন সেই ক্রিকেট দলের ছেলেদের সঙ্গে- যারা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশি অভিবাসী পরিবারের সন্তান। তাদের অনেকেই নিম্নবিত্ত। এই সম্পর্কই শ্রেডু-সংবেদনশীলতা, সংগঠনের দক্ষতা এবং সমাজ পরিবর্তনের বিশ্বাস তার রাজনীতির মূলভিত্তি গড়ে দেয়। তিনি নিজের হাইস্কুল ইয়ারবুকে লিখেছেন, আমি বোলার হতে ভালোবাসি। কারণ খেলার গতিপথ অনেকটা আমার হাতে থাকে। এই কথাই যেন আজ তার রাজনীতিতেও প্রতিধ্বনিত হয়।

নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ ও পুরনো স্কুলের গর্ব: আজও ব্রঙ্কস সায়েন্সের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মামদানির উত্থান নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। কেউ গর্বিত, কেউ বিস্মিত- একই স্কুল থেকে এত বামপন্থী একজন রাজনীতিক বেরিয়েছে, তা অনেকের কাছে অবাক করার মতো। মামদানি নিজেও মজা করে তার পুরনো ব্যর্থ নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেন। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নিউইয়র্ক পোস্ট আমার সেই ‘জুস ফর অল’ প্রচারণা নিয়ে লিখেছিল। আমি এখন শুধু বলতে পারি- ‘গো উলভারিনস!’ বছরখানেক আগে ম্যানহাটনের এক অনুষ্ঠানে তিনি দর্শকের ভিড়ে বসে থাকা তার পুরনো শিক্ষক কাগানকে চিনে ফেলেন। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক বলেন, ও আসলে তেমন বদলায়নি, শুধু এখন দাড়ি রেখেছে।

শেয়ার করুন