২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:৩৭:৫০ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে সেলিম-ওয়াসি-কুনু-জাহিদের নাম শোনা যাচ্ছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১১-২০২৫
বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে সেলিম-ওয়াসি-কুনু-জাহিদের নাম শোনা যাচ্ছে


বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন এখনো দূরে। কিন্তু নির্বাচন দূরে হলেও নির্বাচন নিয়ে আলাপ- আলোচনা থেমে নেই। আবার প্রার্থীরাও তাদের মতামত বা নির্বাচন করার ইচ্ছা বাজারে ছুড়ে দিচ্ছেন। তারা বাজারে তাদের ইচ্ছা ছুড়ে দিয়ে বাজার যাচাই করছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান কমিটি আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ সভা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও তারা গঠনতন্ত্র সংশোধন করার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। সেই কমিটির প্রধান করা হয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খানকে। ইতিমধ্যেই তিনি কাজ শুরু করেছেন। তিনি আগামী ৩০ নভেম্বর সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে পরামর্শ সভার ডাক দিয়েছেন। সে সভা বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনী পালে আগেই হাওয়া লেগেছে। যে কারণে প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে। এবার সভাপতি হিসেবে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সভাপতি পদে নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বর্তমান সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম। তিনি বলেন, আমি গত নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বাংলাদেশ ভবন করার। সেই কাজ আমরা শুরু করেছি। এই কাজ আমি সমাপ্ত করতে চাই। যে কারণে নির্বাচন করার ইচ্ছা রয়েছে। এটা তার নির্বাচন করার কৌশল বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। সভাপতি হিসাবে আরো নাম শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন কুনু, সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াসি চৌধুরী, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমদের নাম। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছে বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদ মিন্টুর নাম। বাজারে আলোচনায় রয়েছেন আজমল হোসেন কুনু ও জাহিদ মিন্টু। কারণ গত নির্বাচনেও আজমল হোসেন কুনু ও জাহিদ মিন্টুর নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাহিদ মিন্টু। নির্বাচনে সেলিম-আলী প্যানেল ভূমিধস জয় পড়েছিল। অন্যদিকে রুহুল-জাহিদ প্যানেল পরাজিত হয়েছিল। যদিও তাদের কৌশলগত কারণেই তারা পরাজিত হয়েছিলেন। প্রথমত তারা ভোটার সংখ্যা কম বানিয়েছিলেন, নির্বাচন করা এবং না করা নিয়ে তারা দোটানায় ছিলেন। সর্বশেষে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। বাজারে প্রচার করা হয়েছে তারা অন্য প্যানেলের ভোটার ফেলে দিয়েছিলেন। এই প্রচারে তাদের কোণঠাসা করে উল্টো প্রোপাগ্রান্ড করে তাদেরই ভোট ফেলে হয়- এই ধরনের অভিযোগ ছিল। যাদের ওপর আস্থা রাখা হয়েছিল, তারাই আস্থাহীনতার কাজ করেছেন। যদিও নির্বাচনে পরে সবাই ফলাফল মেনে নিয়েছিলেন এবং বর্তমান কমিটিকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকাল জানা যায়, গত বারের হ-য-ব-র-ল অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এবার আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে যারা নির্বাচন নিয়ে মুরব্বিয়ানা করেন তারাও কাজ শুরু করেছেন। তারা বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গে আলাপ- আলোচনা শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে নানাবিধ কৌশল ঠিক করছেন। এদিকে বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যেও কেউ কেউ নির্বাচন করতে পারেন- এমন আভাস দিয়েছেন সাবেক কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। সময় আসলেই বোঝা যাবে কারা কারা নির্বাচন করছেন।

শেয়ার করুন