০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১:১৭:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তীব্র প্রতিবাদ
ছাত্রদল নেতার হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেয়া ঘটনার নিন্দা
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
ছাত্রদল নেতার হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নেয়া ঘটনার নিন্দা


ক’দিন আগেই ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় জানাজায় শরীক হওয়া একজন আসামীর সঙ্গে পুলিশের আচরণ নিয়ে তোলপাড় হয়। ডান্ডাবেড়ির জন্য মায়ের লাশ কবরে নামাতে পারেননি তিনি। সে ঘটনার পূনুরাবৃত্তি। এবার শরীয়তপুরে হাতে হাতকড়া আর পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নিলেন সেলিম রেজা নামে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা।

মায়ের মৃত্যুতে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেলেও জানাজার সময় তাঁর হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ঘটনার ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার পরও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।

গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার সুজনদোয়াল গ্রামে সেলিম রেজার মায়ের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মসজিদের কবরস্থানে তাঁর মাকে দাফন করা হয়।  মায়ের দাফনের সময় খোলা হাত-পায়ে কবরে মাটি দিতে পারেননি।

এমন ঘটনা বাংলাদেশের সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী।  কয়েকদিনের মধ্যে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রমাণ করে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীলরা সংবিধান ও মানবাধিকারকে অবজ্ঞা করেছেন, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আসক স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে ষ্পষ্টত বলা আছে, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না। 
পাশাপাশি এক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনারও ব্যত্যয় ঘটেছে। আসক এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ নির্দেশনা প্রদানের আহ্ববান জানাচ্ছে। আসক মনে করে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কিংবা সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার কারণে যারা আটক বা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের প্রতি এ ধরণের আচরণ শিষ্টাচার বহির্ভূত; একই সাথে রাজনৈতিক মূল্যবোধের পরিপন্থিও বটে। 

শেয়ার করুন