১৯ মে ২০১২, রবিবার, ১০:৫৫:০৯ অপরাহ্ন


ব্রঙ্কসে এক বাংলাদেশি হেইট ক্রাইমের শিকার
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০২-২০২৩
ব্রঙ্কসে এক বাংলাদেশি হেইট ক্রাইমের শিকার এমডি সদরুল ইসলাম চৌধুরী


বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের জেরুম অ্যাভিনিউ এবং ইস্ট ২১২ স্ট্রিটের ফ্যামিলি ডলার নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল চারটার সময় বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ এম ডি সদরুল ইসলাম চৌধুরী নামক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়রত অবস্থায় একজন আফ্রিকান আমেরিকান নোংরা ভাষায় ইন্ডিয়ান বলে গালি দিয়ে তার মুখের মধ্যে এলোপাতাড়ি ঘুসি মেরে রক্তাক্ত করে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ কল করা হলে পুলিশ এসে ঘটনা জানেন এবং আহত সদরুল ইসলামকে স্থায়ীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গেছে, চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছে। এই ঘটনায় স্থানীয় প্রিসিক্টে ডায়ারি হয়েছে কিন্তু আক্রমণকারী এখনো ধরা পড়েনি। এমডি সদরুল ইসলাম জানান, আমি ঐ দিন একটি চকলেট কেক ক্রয় করার জন্য ফ্যামিলি ডলার নাম স্টোরে যাই। কেক দেখে আমার পছন্দ হয়নি এবং তা রেখে দিই। এই সময় কৃষ্ণাঙ্গ একটি লোক আমার দিকে এগিয়ে আসে এবং আমাকে ইন্ডিয়ান বলে গালি দেয় এবং আমাকে ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি কোনভাবে বেরিয়ে পড়ি। আমার নাখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো। এই অবস্থায় আমি পুলিশ কল করি। পুলিশের আগে এম্ব্যুলেন্স আসে এবং আমাকে স্থায়ী একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ হাসপাতালে এসে আমার সাথে দেখা করে। অঅমাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হলেও আমার হাতে, নাকে প্রচন্ড ব্যাথা। আমার হাত এবং নাক ফুলে গেছে।

 ঘটনার দুই দিন পর আক্রমণকারীর সঙ্গে নিজ এলাকায় আবারও দেখা হলে পুলিশে অভিযোগ  দেয়ার কারণে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগকারী পুনরায় পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, তার প্রাণ নাশের হুমকিতে আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ব্রঙ্কসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দীর্ঘদিন থেকেই অবনতির দিকে। এই এলাকাতেই কয়েক দিন পর পর বাংলাদেশিরা হেইট ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে বার বার স্থানীয় প্রিসিক্টকে অবহিত করা হলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। প্রতিবারই ঘটনার পর প্রতিবাদ করা হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলোআপ করা হয় না। যে কারণেই ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এমডি সদরুল ইসলাম ২০১৬ সাল থেকে ব্রঙ্কসের ২০৫ এর মুসলো পার্ক এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন। তার স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে। তিনি উবার চালান। তার দেশের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়।

শেয়ার করুন