০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:৪১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্টিত , সহজ গ্রুপে ব্রাজিল - যুক্তরাষ্ট্র ডি গ্রুপে স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া


বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৭-২০২৩
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজন ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের বনভোজনের দৃশ্য


আনন্দ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হলো প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনকের বার্ষিক বনভোজন। গত ২৫ জুন হ্যাকশেয়ার স্টেট পার্কের ডিয়ার রেঞ্জ প্যাভিলিয়ন পরিণত হয়েছিল প্রবাসে একখণ্ড ঢাকা জেলা। প্রবাসী ঢাকা জেলাবাসী বেলা ১১টা থেকেই প্যাভিলনে জড়ো হতে থাকে। পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে বনভোজন স্থল। 

একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়, আলাপচারিতা, শিশু-কিশোরদের খোলা মাঠে ছুটোছুটি, সব মিলিয়েই বনভোজন ধিরে ধিরে জমে উঠে। বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি আরিফ আহমেদ চৌধুরী ও আহ্বায়ক দুলাল বেহেদু। সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম স্বপনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন কার্যকরি ও আহ্বায়ক কমিটর সদস্যরা। আহ্বায়ক কমিটিতে ছিলেন যথাক্রমে আহ্বায়ক দুলাল বেহেদু, সদস্য সচিব মো. খায়রুল আলম, প্রধান সমন্বয়কারী মো. মিলন মোল্লা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো. উজ্জ্বল বিপুল, সমন্বয়কারী কামাল হোসেন রাকিব, যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন গনেশ কীর্ত্তনিয়া ও শাহজাহান মিয়া ডলার, সমন্বয়কারী ছিলেন আমির আফতাব, পৃষ্ঠপোষক হামিদুল্লাহ হামিদ (রকি) ও যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে ছিলেন মো. আজিজুর রহমান খান ও সোনিয়া জেসমিন কবির। অর্থ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল আজিজ, ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সবুজ, আর আপ্যায়নের দায়িত্বে ছিলেন শফি উদ্দিন সফা।

বনভোজনটি ছিল নানা ইভেন্টে ভরপুর। শিশু-কিশোরদের জন্য নানা ধরনের খেলাধুলা, যুবক ও মহিলাদের জন্যও ছিল নানা ইভেন্ট। খেলাধুলার পাশাপাশি ছিল হরেক রকমের স্ন্যাক্স ও কোমল পানিয়ের ব্যবস্থা। দুপুরে ছিল মজাদার খাবারে সাজানো সবার জন্য স্পেশাল লাঞ্চ। বিকালের আয়োজনেও ছিল বিভিন্ন ইভেন্ট ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বনভোজনে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা। যাদের মধ্যে ছিলেন শাহ মাহবুব, কৃষ্ণা তিথি, সেলিম ইব্রাহিম ও টিনা। সংগীতের মূর্ছনায় উপস্থিত সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। 

অনুষ্ঠানকে সফল ও আরো আনন্দঘন করে তুলতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন উপদেষ্টাম-লীর সদস্যরা। যাদের মধ্যে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা গিয়াস আহমেদ, উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ, ডা. তাজুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম খান বাদল, আলাউদ্দিন আহমেদ, জোয়াদ হাবিব, আমান উল্লাহ আমান, শেখ সালাহ উদ্দিন আহমেদ খোকন, নিশাদ আজাদ খান ও আমিন মেহেদি বাবু।

ঢাকা জেলার পাঁচটি থানার অনেক গুণীজন ও বীর মুক্তি যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন এবং কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দেওয়ান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী তোফায়েল, শহিদুল ইসলাম খোকা, মিশুক সেলিম (কবি), মো. দেলোয়ার হোসেন আরজু, মনি, মোস্তাক রহমান, আমিনুল ইসলাম (কচি), সভাপতি কেরানীগঞ্জ ফাউন্ডেশন, মো. কবির হোসেন, বোরহান খান, শফিক, রুবেল, তানভীর, মো. আজীজুর রহমান খান, আ. মান্নান।

আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম খান বাদল, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা মো. সুনসুর আলম, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. উজ্জ্বল বিপুল, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদ জামান, ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেলিম ইব্রাহীম, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এম রহামান সাচ্চু, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম এন হায়দার মুকুট, নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক মিয়া। এছাড়াও ছিলেন আতাউর রহমান খান, আবুল কালাম, নাসির খান, তানভীর করিম, সোয়েব রহমান, ইউসুফ ভূইয়া, নজরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান প্রমুখ।

বনভোজনের মূল আকর্ষণ ছিল র‌্যাফেল ড্র। উপস্থিত সবার মধ্যে ছিল গুঞ্জন- কে পাচ্ছেন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার। প্রথম পুরস্কার ছিল স্বর্ণালংকার সেট, দ্বিতীয় পুরস্কার ছিল বিমান টিকেট ও তৃতীয় পুরস্কার ছিল আইফোন। এ ছাড়াও আকর্ষণীয় ছিল আকর্ষণীয় ১০টি পুরস্কার।

সারাদিনের আনন্দঘন সময় কাটানোর পর কিছুটা ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার পালা। কার্যকরি কমিটি ও আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে বনভোজনে আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং ভবিষ্যতেও আবার মিলিত হওয়ার আশা নিয়ে প্রবাসী ঢাকাবাসীর এবারের বনভোজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন