০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ১০:০০:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


বিএনপি মহাসচিব এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ
‘সরকার ‘মাস্টার প্ল্যান’ করে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৩
‘সরকার ‘মাস্টার প্ল্যান’ করে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে’ মির্জা ফখরুল/ফাইল ছবি


সরকার সম্পূর্ণ ‘মাস্টার প্ল্যান’ করে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাতে বিএনপি মহাসচিব এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘‘ যখন গ্রেফতার করে, বাস, ট্রেন, লঞ্চ পারাপার বন্ধ করে দিয়ে সরকার আমাদের মহাসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি।তারা যখন দেখেছে, বাধা উপেক্ষা করে লাখ লাখ লোক মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে তখন তারা পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাদের মহাসমাবেশকে পন্ড করে দিয়েছে।”  ‘‘ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টার প্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে। আমি আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

নয়া পল্টনের এই ঘটনায় আটককৃতদের মুক্তি দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। একই সঙ্গে এই হামলার প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা দেশবাপী হরতার সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি। বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেনের স্বাক্ষরে বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত তান্ডব ও সশ্বস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক। মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীদের ও পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির সমাবেশে সশ্বস্ত্র ও রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশের গণগ্রেফতার, হামলা এবং হুমকি ধামকি এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে আজ।”

এই হামলায় যুব দলের নেতা শামীমের নিহত হওয়ায় ঘটনার নিন্দা জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়, মানুষের ঢল যখন কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত গেছে তখন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাঠি নিয়ে, অস্ত্র নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। তারা গুলি করতে করতে রাবার বুলেট, টিয়ার সেল ছুড়তে ছুড়তে নয়া পল্টনের কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে।পুলিশের টিয়ার সেল ও গুলির ঘটনায় সমাবেশের মঞ্চে বসা সিনিয়র নেতারা মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হয়।

এই হামলায় অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল, যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ স্রহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা আহত হয়েছে।

শেয়ার করুন