০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:০৭:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক


বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘ। বিচার ব্যবস্থা ব্যবহার করে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানি করা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ জানিয়ে আসছে জাতিসংঘ। গত ৪ মার্চ সোমবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম সভায় বৈশ্বিক মানবাধিকার চিত্রের হালনাগাদ তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন সংস্থাটির মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

ভলকার তুর্ক বলেন, বাংলাদেশে হাজার হাজার বিরোধীদলের নেতা ও কর্মী আটক রয়েছেন এবং গত অক্টোবর থেকে আটক অবস্থায় বেশ কিছু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, তাতে আমি উদ্বিগ্ন। আমি যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে আটক বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মুক্তির লক্ষ্যে এসব মামলার দ্রুত পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। এছাড়া রাজনৈতিক বিরোধ মিটিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের প্রতি উৎসাহিত করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থা ব্যবহার করে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের হয়রানির অভিযোগে আমি উদ্বেগ জানিয়ে আসছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানদ- বজায় রেখে জোরপূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগগুলোকে তদন্তের জন্য সরকারকে উৎসাহিত করি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের কার্যালয়ের অভিযোগগুলোর তথ্য আমরা দিয়ে রেখেছি। বিশেষ করে যে সংখ্যাগুলো জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি না করা নিয়ে তথ্যও তাকে দেওয়া হয়েছে।

আবারও জাতিসংঘে যোগাযোগ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে যে, অনেকে জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। আর জাতিসংঘের সঙ্গে এটি আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা যোগাযোগে থাকবো, যাতে ঢালাওভাবে অপবাদ দেওয়ার আগে যাতে তথ্য যাচাই করে নেয়। একেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি একেক রকম, সবগুলো এক করে দেখা ভালোভাবে দেখছে না বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন